পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి$8 প্রবাসী 。N●●8 উপমার প্রয়োগে আত্মপ্রকাশ করিবেন, তাহ! কি তাহারা বাধিয়া দিতে চান ? কোন প্রকৃত কবি এ-বাধন মানিবেন না। ফল এই হইবে যে, প্রকৃত কবিদের সহিত কংগ্রেসের বিচ্ছেদ ঘটিবে , বরাত দিয়া ফরমাশ করিয়া অনুপ্রেরণপূর্ণ জাতীয় সংগীত কংগ্রেস পাইবেন না। "নিরঙ্কুশা কবয়ঃ”, কংগ্রেস যেন ইহা না ভুলেন । ভারতীয় সংস্কৃতির স্বাভাবিক ধারায়, বিবর্তনে, বিকাশে, কংগ্রেসের পরোক্ষ হস্তক্ষেপও অবাঞ্ছনীয় ও অনিষ্টকর । ংগ্রেসের ফেডারেশন-বিরোধিতা কংগ্রেস ফেডারেগুন চান, কিন্তু ভারতশাসন-আইনে ব্যবস্থিত ফেডারেগুন চান না । আমরাও চাই না। তাহার কারণ অনেক বার বলিয়াছি । কলিকাতায় নিখিল-ভারত কংগ্রেস কর্মীটির যে অধিবেশন সম্প্রতি হইয়া গিয়াছে, তাহাতে সরকারী ব্যবস্থার ফেডারেশুনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে। কংগ্রেস সরকারী “প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বে'রও বিরোধী ছিলেন, কিন্তু শেষে মন্বিত্ব গ্রহণ করিয়াছেন। সরকারী ফেডারেশুনিও শেষ পর্য্যস্ত গ্রহণ কfরবেন কিনা, বলা যায় না। যা হউক, আমাদের একটা আশঙ্কার কথা दठिण । - মোক্সেম লীগও সরকারী ফেডারেশুনটার বিরোধী । কিন্তু আমরা যত দূর বুঝিতে পারিয়াছি, মোস্লেম লীগের বিরোধিতার কারণ, ব্রিটিশ ভারতের জন্য যেমন সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা আছে, দেশী রাজ্যগুলির জন্য সেরূপ বাটোয়ার নাই। অধিকাংশ দেশী রাজ্যের নৃপতি ( এবং প্রজা ও ) হিন্দু। এই জগু মোস্লেম লীগ মনে করেন, ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট ধেমন মুসলমানদিগের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করিয়ু ব্রিটিশ ভারতে তাহাদিগকে দ্যাধ্য পাওনার অতিরিক্ত অধিকার দিয়াছেন, “দেশী" ভারতে র্তাহার। তাহ পাইবেন না। ব্রিটিশ ভারতে হিন্দুদের প্রতি যে গুরুতর অবিচার হইয়াছে, *দেশী" ভারতের মনোনীত প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা স্কায়ামুগত হইলে হিন্দুদের প্রতি এই অবিচারের অতি সামান্য একটু প্রতিকার হইতেও পারে। কিন্তু ব্রিটিশ গবষ্মেন্ট কংগ্রেসের ও মোস্লেম লীগের সম্মিলিত ফেডারেগুন-বিরোধিতার সম্মুখীন হইয়া প্রকাশু বা গুপ্ত কোন উপায়ে “দেশী" ভারতেও কাৰ্য্যভঃ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার জারি করিয়া মোক্সেম লীগকে হাত করিতে পারেন হিন্দুদের প্রতি গুরুতর অবিচার ত এক দফা হইয়াই গিয়াছে। মোস্লেম লীগকে গবয়েস্ট এই রূপে সন্তুষ্ট করিলে হিন্দুদের প্রতি আর এক দফা অবিচার হইবে এবং হিন্দু “দেশী” রাজাদের প্রতি জবরদস্তী হইবে । সব দিক্‌ বুঝিয়া, সকল কংগ্রেস-নেতার গুপ্ত প্রবৃত্তি বুঝিয়, আপনাদের সকলের ওজন বুঝিয়, দৃঢ়তা বুঝিয়, ংগ্রেসের প্রতিজ্ঞ ও কাজ করা উচিত । সকল বঙ্গভাষী অঞ্চলের একীকরণ নিখিল-ভারত কংগ্রেস কর্মীটির গত অধিবেশনে একটি আলাদা অন্ধ প্রদেশ ও একটি আলাদা কর্ণাটক প্রদেশ গড়িবার অমুকুল প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। সেই সুযোগে সংশোধন ও সংযোজন দ্বারা বিহারের অন্তভূত বাংলাভাষী অঞ্চলগুলিকে বঙ্গের সহিত জুড়িয়া দিবার প্রস্তাবও গৃহীত হইয়াছে। আপাতত: আসামভুক্ত ঐক্লপ অঞ্চলের কথা ংগ্রেসের কোন কৰ্মীটিতে উঠে নাই । কিন্তু বিহারভুক্ত ঐ অঞ্চলগুলি বঙ্গভুক্ত হইলেও কতকট ন্যায়বিচার হইবে। বিহারের কাগজগুলি কিন্তু এ-বিষয়ে নিৰ্ব্বাক! মেদিনীপুরের দুঃখদুর্দশ নিখিল-ভারত কংগ্রেস কর্মীটিতে শ্ৰীযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্তু মেদিনীপুরের দুঃখদুর্দশ সংষত গম্ভীর ভাষায় বর্ণনা করিয়াছেন। অবাঙালীর। তাহ শুনিয়া এবং, আশা করি, বুঝিয়া গিয়াছেন। তবে, কোন ফলের প্রত্যাশ না করাই ভাল । “ইণ্ডিয়া মেশিনারী কোম্পানী লিমিটেড” ঐযুক্ত আলামোহন দাসের উদ্যোগে ভারত জুট মিলস স্থাপিত হওয়ায় চারি হাজার বাঙালীর অল্পসংস্থান হইয়াছে। র্তাহার উদ্যোগিতায় “ইণ্ডিয়া মেশিনারী কোম্পানী” স্থাপিত হইতে যাইতেছে। ইহাতেও কয়েক হাজার বাঙালীর কাজ জুটিবে। আলামোহন বাবুর প্রতিষ্ঠিত ছুটি কারখানায় আগে হইতেই রেলগাড়ীর ওজনের কল, ছাপাখানার কল, জুট মিলের কল প্রভৃতি প্রস্তুত হইয়া আসিতেছে। ঐ দুটি কারখানা নুতন কোম্পানীর পরিচালনাধীন হইবে এবং ক্রমশঃ আরও নানা রকমের কল নিৰ্ম্মিত হইবে। এই (কারণ র্তাহারা ফেডারেগুন চালাইতে দৃঢ়সংকল্প)। কোম্পানীর সাফল্য প্রার্থনীয়।