অগ্রহণয়ণ বিৰিখ প্রসঙ্গ—“হন্দেমাতরম" ఇన్సారి সনাতন ধৰ্ম্ম নহে, সে একটা লৌকিক অপকুষ্ট ধর্শ্ব ; তাহার প্রভাবে প্রকৃত সনাতন ধৰ্ম্ম-মেচ্ছের যাহাকে হিন্দুধৰ্ম্ম বলে—তাহ লোপ পাইয়াছে। প্রকৃত হিন্দুধৰ্ম্ম জ্ঞানাত্মক-কৰ্ম্মাত্মক নহে ।” ইহাতে বুঝা যায়, বঙ্কিমচন্দ্র পৌত্তলিক ছিলেন না, সুতরাং "বন্দেমাতরম্ রচনা করিয়া তিনি পৌত্তলিকতা প্রচার করিতে চাহিয়াছিলেন, ইহা ধরিয়া লওয়া যায় না। গানটিতে আছে বটে, “তোমারই প্রতিম গড়ি মন্দিরে মনিরে”। ইহাতে ইহা বুঝায়, ষে, যেমন “তুমিই দুর্গ, কমলা, বাণী," অন্য কোন দুর্গ, কমলা, বাণী নাই, তদ্রুপ, মন্দিরে অন্য যে-সব দেবতার কল্পিত মূৰ্ত্তি গড়া হয়, তুমিষ্ট সেই সব, অন্য সেই সব দেবতা নাই । তদ্ভিন্ন, আমরা অনেক বিখ্যাত মানুষের সম্বন্ধেও ত বলিয়া থাকি, তাহীদের মূৰ্ত্তি দেশের লোকদের বা জগদ্বাসীর হৃদয়মন্দিরে গৃহে গৃহে চিরকাল বিরাজ কবিবে। তাহাতে পৌত্তলিকতা হয় না। “আনন্দমঠে” “হরে মুরারে মধুকৈটভারে ! গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরে।” ইত্যাদি গানটি আছে বটে। কিন্তু তাহান্তে বহিখানি পৌত্তলিকতfদুষ্ট মনে করা উচিত নহে, ঘেখন রবীন্দ্রনাথের “বাল্মীকি প্রতিভ” পুস্তকে কালীবিষয়ক কয়েকটি গান আছে বলিয়া কেহ তাহাকে পৌত্তলিক পুস্তক বলে না । दठरक्तदान इडेरङ सङ्कङ अझ दादइात्र भाङ३ শেহলিকতা নহে। সঙ্গীতের ইংরেজী প্রতিশব্দ music গ্রীক বহুদেববাদ জ্ঞাত। তদ্রুপ ইংরেজী jovial, satarnine, martial, son of Mars, Mammonite, votary of the Muses, Cupid's arrows (attos পুষ্পবাণ' ) ইত্যাদিও বহুদেববাদপ্রস্থত। ভাহা তষ্টলেও এইগুলির ব্যবস্থায়হেতু ইংরেজুদিগকে কেহ পৌত্তলিক বলে না। শয়তানে ও বঙ্ক ফেরেস্তায় বিশ্বাস ও এক প্রকার বহুদেববাদ । কিন্তু সেরূপ বিশ্বাসহেতু, কিংবা মুসলমানী কোন পুস্তকের fবজ্ঞাপনে তাহাকে “কৌস্তু ভমণি' বলায়, কিংবা মুসলমান অনেক কবি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক কবিতা রচনা করায়, কিংব। আধুনিক কোন কোন মুসলমান কবি ‘প্রেমবৃন্দাবন' প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করায় কেহ মুসলমানদিগকে পৌত্তলিক বলিলে ঠিক বলা হইবে না ” “ব্রাহ্মধর্শ্ব” গ্রস্থে ও “ব্রহ্মসঙ্গীতে" শিব, শঙ্কর, শঙ্করী, ভূ বিষ্ণু, মঙ্গেশ প্রভৃতি শব্দ পাওয়া যায়। কিন্তু তজ্জন্তু ব্ৰাহ্মদিগকে কেহ পৌত্তলিক বলে না । কতকগুলি কবিতা পড়িয়া “শ্বেত্তভূজা ভারতীকে" রবীন্দ্রমাথের মনে পড়িয়াছিল বলিয়ু তিনি বলিয়াছেন। তাহাতে তিনি পৌত্তলিক হইয়া যান নাই । গানটিতে মাতৃভূমির শক্তিব্যঞ্জক অনেক কথা আছে । কিন্তু শক্তি থাকিলেই তাহার হিংস্র ব্যবহার অবগুম্ভাবী नtई । श्रटेब्र नशन ७ अभत्रज्ञ दिनार*व्र खछ *ख्ि আবগুক । بيان سيسbrكا অধিক লিখিবার স্থান নাই, সময় নাই, ইচ্ছাও নাই । কেবল উপসংহারে দু-একটা কথা বলি । ংগ্রেস “বন্দেমাতরম্ সম্বন্ধে শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত কfরবেন জানি না। সকল পক্ষের সব কথা শুনিয়া বিচার করিলে কাজটি সুবিবেচিত হইবে । র্তাহার সিদ্ধান্ত যাহাই করুন, বন্দেমাতরমের স্বান জাতীয় জীবনে থাকিবে । আপাততঃ কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কৰ্মীটি যেরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, তদ্বিষয়ে সংক্ষেপে আমাদের বক্তব্য বলি । তাহারা যে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে বন্দেমাতরমের প্রধান স্থান স্বীকার করিয়াছেন, তাহাতে ভক্তেরা প্রীত । কোন কবিতা ও গানের সমালোচনা করিতে হইলে তাহার মৰ্ম্মগত ভাবটির দিকেই, তাহার প্রাণের দিকেই বেশী লক্ষ্য রাখা আবশ্বক। কর্মীটি তাহ করেন নাই । তাহার। ইহার আক্ষরিক ও শাব্দিক অর্থের প্রতিই বেণী দৃষ্টিপাত করিয়াছেন। তাহা ঠিক হয় নাই। স্বদেশভক্তি এই গানটির প্রাণ, এই তত্ত্বের উপর সমুচিত ও যথেষ্ট জোর দেওয়া হয় নাই । দ্বিতীয়তঃ, সাধারণত: এক-একটি গান ও কবিত—অন্ততঃ এই গানটি—একটি অখণ্ড সমগ্র বস্তু। দুই দাবীদারের মধ্যে একটি শিশুকে কাটিয়া ভাগ করিয়া দিলে যেমন তাহার প্রাণ ৰায়, অনেক কবিতা ও গানের দ্বিথওঁীকরণেও সেইরূপ তাহার প্রাণ যায়। এক্ষেত্রে হয়ত বন্দেমাতরমের অশক্র কেহ কেহ “সৰ্ব্বনাশে সমুংপয়ে অৰ্দ্ধং ত্যজতি পণ্ডিত” নীতির অতুসরণ করিয়া গানটির অধিকাংশ বর্জনে সায় দিয়াছেন। কিন্তু তাহাতে তাহার প্রাণ গিয়াছে । যে-দুটি অংশ রাখা হইয়াছে, “স্বপদাং বরদাং” ছাড়া তাহার সমস্তটি মাতৃভূমির বাহ রূপ ও বাহ উপাদান বিষয়ক । গানটির পরবর্তী অংশে জন্মভূমি হইতে জনগণ যে ঐক্য শক্তি সাহস জ্ঞান ধৰ্ম্ম বিদ্যা প্রভৃতির অনুপ্রেরণা পাইতে পারে ও পায়, তাহাই লিখিত হইয়াছে। বাহ রূপ অপেক্ষা এই প্রাণময়ী মনোময়ী আত্মিক মূৰ্ত্তির মূল্য অধিক। তাহ বাদ পড়িাছে। যাহাতে ইন্দ্রিয়পরতন্ত্রতা, দুনীতি, কুরুচি প্রশ্রয় tয়, যাহাতে ধৰ্ম্মান্ধত, বিবাদপরায়ণতা, হিংস্র তা বাড়ে, আমরা তাহার বিরোধী। লেখকদের স্বেরূপ স্বেচ্ছাচারিতায় ঐরূপ কুফল ফলিতে পারে, আমরা তাহার বিরোধী। কিন্তু আমরা চিস্থায়, কথায়, লেখায় মাহুষের স্বাধীন আত্মপ্রকাশ অতি মূল্যবান অধিকার মনে করি। ইংরেজ গবন্মেটি তাহদের স্বার্থরক্ষার জন্য ভারতে এই অধিকারে হস্তক্ষেপ মধ্যে মধ্যে করিয়া থাকেন। • তাহাদের কত আইন স্বারা তাহাব। এই • ক্ষমতা লইয়াছেন । কংগ্রেগও कि অনভিপ্রেত রূপে পরোক্ষ ভাবে মাম্বন্ধের এই অধিকারে হাত দিতে চান ? ভারতীয় কবি কী রূপক, কী পৌরাণিক
