পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌৰ vరిv9s বঞ্চিণীরাই নিজের দেশ ছাড়িয়া সঙ্গে ধাইতে চায় না। কিন্তু মা-সোয়ের যে বড় সাধ ছিল সাহেবের সহিত ঐ বড় জাহাজে চড়িয় তাহাজের দেশে যাইবে । কতবার সেকথা স্বামীকে বলিয়াছিল, স্বামীও আশা দিয়াছিলেন, যখন দীর্ঘ অবকাশে ऋऋ* शोहेष्वन, ॐांशंद्र चांमदग्नब्र भां-cनां८६८क७ जहेंब्रां যাইবেন । তবে কেন সে এমন করিয়া ফাকি দিয়া গেল ? আঞ্জ কয় বৎসর হইতে আর চিঠিপত্র, টাকা কিছুই জাসে না। ম-সোয়ে কত ঠিকানায়, কত চিঠি পাঠাইয়াছে, কোন জবাবই আসে নাই। মায়ের মৃত্যুর পর তাহাদের বাড়ীম্বর জমিজমা সব ফায়ার সম্পত্তি হইয়া গিয়াছে । জীবিতকালে দুই মেয়েকে মা কিছু দান করিয়া বাইতে পারিতেন, উইল করিবার ত নিয়মই নাই, কিন্তু মেয়েদের ব্যবহারে মা এমনই ব্যথিত হইয়াছিলেন ষে তাহাদের ভবিষ্যতের চিন্তা জার করিবার ইচ্ছা হয় নাই। কে জানিত এত শীঘ্রই সে এমন ভাবে নিরাশ্রয় হইবে । এমনই দুঃখে, চোখের জলে মাসোয়ের দিন কাটে। দিনাস্তে গ্রামের ফায়ার মন্দিরে সে ভগবান বুদ্ধের চরণপ্রান্তে বসিয়া স্বামীর কল্যাণ প্রার্থনা করে। তরুণ ফুঙ্গীরা আড়চোখে স্বন্দরীর চোখের জলের সৌন্দর্ঘ্য দেখিয়া মুগ্ধ হয়, জাভাসে ইঙ্গিতে প্রলুদ্ধ করিতে চায়। মা-সোয়ে ঘৃণায় মুখ ফিরাইয়া ঘরে ফিরিয়া যায়, ভাবে যুবতী স্থনরীর বিপদ সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে, কোথায় সে নিরাপদ আশ্রয় পাইবে ? 發 ছোট্ট একখানি গ্রাম। পথের দুই পাশ্বে বংশের একচালা ঘরে ছোট ছোট দুই-একটি দোকান। দোকানওয়ালারা সপরিবারে ঐ ঘরেরই পশ্চাতে মেটে উঠানের পারে বাশের মাচাঙের কুঁড়েতেই বাস করে। স্বামী, স্ত্রী, ছেলে মেয়ে সবাই দোকানের সওদা বিক্রয় করে । চাল, ভাল হইতে আরম্ভ করিয়া খুচরা মণিহারী দ্রব্য, চুক্ৰট, গজেন্স, চকোলেট, রঙীন ছিটের লুণী, পুথি, মুক্তার গহনা, fলাবাম্বামের মিঠাই, বাঁশের কঞ্চিতে সাজানে কাটা জাখের টুকরা, পোড়া রাঙা আলু, লঙ্কার গুড়ে ও লবণ-মাখানে সিদ্ধ শিমের বীচি, আলু ও ডিম প্রভৃতি আসখ্য প্রয়োজনীয় এবং লোভনীয় জিনিষে সাজানো দোকানগুলি। ক্রেতার অভাব নাই, এসব জিনিষের চাহিদাও কম নয়। এইরূপ একখানা একচালার নীচে পুরনো মরিচা-ধর একটি সেলাইয়ের কল সম্মুখে রাখিয়া টুলের উপর পা তুলিয়, দুই ইটুে একত্র করিয়া চিন্তিত মুখে বসিয়া আছে এক জন প্রবীণ আধবাসী বস্ত্রী। লম্ব চুলগুলি মাখার ব-পাশ ৰেষিয়া জাট করিয়া একটি খোপায় বাধা । জীৰ্ণ, ময়ল এঞ্জি গায়ে, লাল চেক-কাটা ছিটের লুন্তী পর। পাশে একখানা ভাঙা BBBB BBBB BBB BSBB BBB SBSBBSBBS নামে পরিচিত । পুরুষমানুষটি বলিতেছে, “আমি ত চিরকেলে গরীব মানুষ, গ্রামের দর্জিগিরি করে দু-চার আনা যা পাই, কায়ক্লেশে একলার পেট ভরত, তুমি যে কি দুঃখে আমার ঘরে এলে, আমি তাই ভেবে অবাক হই। ছিলে কমিশনার সাহেবের স্ত্রী, আমার মত কত গণ্ডী চাকর পুযেছ, আর আজ কিনা ভিখিরীর ঘরের ভিখারিণী, একেই বলে অদৃষ্টের পরিহাস ।” ভ-মিয়া-সোয়ে রাগের ভান করিয়া বলিল,“দেখ, বারবার ঐ পুরনো কথা তুলে কেন আমায় জালাও । জামি'ত তোমার ধন-দৌলং দেখে আসি নি ? সংসারের ঐশ্বর্ধ্য ভোগ যথেষ্ট করেছি, স্থায়ী মুখশাস্তি পাই নি তাতে, তাই বুড়ে বয়সে একটু খাটি ভালবাসার আশায় তোমার ঘরে এসেছি। বৰ্ম্মী মেয়েদের এই গুণটুকু ভগবান দিয়েছেন, তারা সকল অবস্থাকেই সহজে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। আজ যে রাজরাণী, হীরের গহনায় আপাদমস্তক সজ্জিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কাল যদি অবস্থার ফেরে সে পথের ভিখারিণী হয়, তখন সে মাছের চুবড়ি মাথায় নিয়ে বাজারে বিক্রয় করতে যেতে একটুও সঙ্কোচ বোধ করবে না। বশ্বিণী কখনুও, টাকায়ই তার সম্মান, শুধু মনে করে না। মনুষ্যৰেই তার সম্মান, স্বাবলম্বনই তার অঙ্গের ভূষণ। সত্যই, ভাঙা ঘরে, ছেড়া কাথায় গুয়েও আমি আজ রাজরাণীর চেয়ে কম স্বর্থী মনে করছি না নিজেকে । ফায়ার আশীৰ্ব্বাদে বাকী জীবন যেন আমরা এমনই স্বখেই কাটিয়ে দিতে পারি, আর কিছু আমার প্রার্থনীয় নেই।” এমন সময় নিতান্ত বেরসিকের মত একটা পাগড়িভ্ৰাট, চাপানের উপর ভক্ষপের পাকানো গুদারী এক