পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

/পৌষ হচ্ছে। সগাও-কেরিশরা ক্রহ্মবাসীদের মত চতুর এবং বুদ্ধিমান না হলেও অনেক ক্ষেত্রে ওদের চেয়ে শিক্ষিত। ব্ৰহ্মবাসীদের থেকে এদের জাতিগত পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্য বজায় রাখবার জন্তে অনেকে এদের জবাচিত উপদেশ এবং পরামর্শ দেয়। কিন্তু এদের মধ্যে বাস ক’রে আমাদের এই ধারণা হয়েছে যে এরা যদি এই সব ভুল উপদেশনা গুনে ব্ৰহ্মবাসীদের সঙ্গে মিশে যায়, তাতে এদের পৃথক অস্তিৰ বজায় রাখা সম্ভব না হতে পারে, কিন্তু তার পরিবর্তে মস্তান্ত অনেক বিষয়ে এর প্রচুর লাভবান হবে । বনে বনে, অৰ্দ্ধসভ্য জাতির মত নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার চেয়ে শিক্ষিত ও সমৃদ্ধিশালী ব্ৰহ্মজাতির সঙ্গে ভ্রহ্মের কেরিণ জাতি جع توجيه মধ্যে অনেকে চিকিৎসক, আইন-ব্যবসায়ী এবং বিদ্যালয়ের बिक्रक ट्रब्रzछ्न ! কেরিণদের মধ্যে যারা বনে-জঙ্গলে বা পাহাড়-পৰ্ব্বতে বাস করে তারা কোন অচেনা লোক অথবা বিদেশীকে দেখলে বস্ত পশুর মত, সন্ত্রস্ত ভাবে পালিয়ে যায়। বিশেষ ক’রে ব্ৰহ্মবাসীদের সম্বন্ধে এদের একটা বদ্ধমূল ভয় আছে এবং সেটা পুরুষপরম্পরায় চলে আসছে। এরা লোকালয় থেকে শত যোজন দূরে, গভীর অরণ্যের মধ্যে পর্ণকুটার বেঁধে বাস করে । যেখানে রাজপথ আছে অথবা নদীর পথে আগন্ধকের আস্যর সম্ভাবনা আছে, সে-স্থান ওরা বিষবৎ পরিত্যাগ করে । তাই সকল পন্থার অতীতে, নদনদীর সোয়েড্যাগন প্যাগোডার একটি অংশ মিশে যাওয়া হয়ত জাতির পক্ষে বিশেষ উপকারঞ্জনক হত। ভারতবর্ষে সে দৃষ্টাম্ভেরও অভাব নেই। শক, হণ, দ্রাবিড় প্রভৃতি কত উপজাতিই ত আৰ্য্যজাতির বিপুল সভ্যতার সঙ্গে এক হয়ে মিশে গেছে । আজ তাদের পৃথক অস্তিত্ব নেই স্বীকার করি, কিন্তু সমগ্র জাতি হিসাবে আমরা ধে তাতে লাভবানই হয়েছি, সে কথা অস্বীকার করা চলে না । সেই হিসাবে, ব্রন্ধেও যদি মিলনের বঙ্ক আসে, তাতে কোন ক্ষতি নেই আর তৃতীয় পক্ষের তাতে হস্তক্ষেপ করাও সমীচীন নয় । কেরিণদের মধ্যে আবার অধিকাংশই গিরিপর্বতে বাস করে। সমতলভূমিতেও কেউ কেউ থাকে। সমতলবাসীরা বেশ সভ্য হয়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তি দেখা যায়। আজকাল এদের ومبس-88 শেষে, ত্রহ্মের ধে জনবিরল অরণ্যানী আছে তারই নিবিড়ভম অস্তরে এই পাহাড়ী কেরিণঙ্গের বাস। যদি ওরা দৈবাৎ শুনতে পায় ধে ওদের বাসস্থানের কাছে কোন রাস্তা তৈরি হবার সম্ভাবনা আছে, তবে ওরা অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না ক'রে তখনই বাসা গুটিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। বাইরের লোকের উপর তাদের অগাধ বিতৃষ্ণ । এই রকম অবস্থা এবং আবহাওয়ার মধ্যে থাকতে থাকতে এরা ক্রমশঃ ভীরু এবং সন্দিহান হয়ে উঠেছে। পরস্পরের মধ্যে তেমন বিশ্বাস নেই এবং মন খুলে কেউ কারুর সঙ্গে আলাপ করতে পারে না। এরা যদিও শিকারে খুব তৎপর, তবু যোদ্ধা হিসাবে কোন দিন এদের খ্যাতি নেই। লোকালয়-ভীতিই বোধ হয় তার প্রধান কারণ । তা ছাড়া এদের মধ্যে এমন কোন বুদ্ধিমান নেতা কখনও জন্মগ্রহণ