পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপান ভ্রমণ ঐশাস্তা দেবী ১৬ই আকাশ একেবারে পরিষ্কার। শরৎকালের মত নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ছাড়া জার কোনও মেঘ নেই। সমূদ্র ঘন নীল, উজ্জ্বল নীলার মত, কিন্তু এমন সুন্দর দিনেও তেমনই তাওব নৃত্যে রত। আগে মনে হ’ত পাহাড়ের মত ঢেউ কথাটা একটা কবিত্বের কথা, এখন দেখছি কবিজের এক কণা ভেজালও এতে নেই। অনবরত সমূদ্র মন্থন চলেছে আর ঢেউএর মাথায় মাথায় মণি জলে উঠছে। এটা বঙ্গোপসাগর ব'লে এর এত দস্তিপন । অল্প সমূঞ্জের তুলনায় এর দুর্দান্তপন চিরকালই বেশী । মানুষের পেটের ভিতরও মন্থন চলেছে বলে মেমসাহেবরা দুই-তিন জন আজও কেবিনে কাতরভাবে পড়ে আছেন। আমার মেয়েটি একবার ছুটোছুটি করতে চেষ্টা করছে জাবার কান্নাকাটি করছে । কেউ সারাদিনে একবার টেবিলে খেতে আসে কেউ তাও আসে না। চাকরের অল্প-স্বল্প খাবার ঘরের ভিতর নিয়ে যায়, তাও খানিক পরে ট্রে-স্থদ্ধই ফিরে আসে। আমাদের জাহাজটা ছোট বলে এতে খেলাধুলোর আয়োজন খুব বেণী নেই। গ্রামোফোন, পিস্থানে ইত্যাদি ছাড়া ডেকৃ-গল্ফ প্রভৃতি কয়েকটা খেলার ব্যবস্থা ও জিনিষ আছে। সেদিন উপরের ডেকে ডেক-গল্ফ খেলা হচ্ছিল। আমাদের জাপানী সহযাত্রী বললেন, "ভেক্-গল্ফ সাতারের পোষাক প'রে খেলতে হয় ।" গুনেই ফরাসী বালিকাটি তার সাতারের পোষাকটা নিয়ে এসে হাজির করল । জাপানীকে বললে, “আমি পরছি, তোমাকেও, কিন্তু