পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপান ভ্ৰমণ E4s ধধস্থিানে পৌছতে সৰ্ব্বদাই তার চেয়ে দেরি হয়ে যায় । আমরা জাহাজ খামবার আগেই কেবিন ছেড়ে হুড়োছড়ি করে ডেকে এসে হাজির হলাম। জাহাজ বন্দরের ভিতর টুক্‌ছে, আজ প্রথম বেশ ঠাণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে, সমুদ্রের জলের বেশ ফিকে কচি কলাপাতার মত রং, দূরে ঘাসের মত সবুজ। ডকে অনেক জাহাজ দাড়িয়ে আছে, সাতটা আটটা হবে। ছোট ছোট সবুজ পাহাড়ের উপর সিঙ্গাপুরের সীমানা স্থক। বোম্বাই কিম্ব কলম্বোতে পাহাড় যেমন জল থেকে একটু দূরে এখানে তা নয়। একেবারে জল থেকে ছোট ছোট পাহাড়গুলি মাথা তুলেছে, জার জলের ধার থেকেই ঘন পাতাওয়ালা বড় বড় গাছ, বালিটালির চিহ্ন নেই, কালো পাথর পড়ে নেই, বেলাভূমির বালাই নেই। অবগু, কোন বন্দরেই বেলাভূমি থাকে না, কিন্তু এত গাছপালাও থাকে না ; তাছাড়া এটা বন্দরের আগের কথা । পাহাড়গুলি খুব সামান্তই উচু। তাদের উপর থেকে ঢালু স্বাস্তা ও সিড়ি জলের ধারে নেমে এসেছে, পাহাড়ের মাখায় শাখায় রাঙা খোলা-ছাওয়া ছবির মত ছোট ছোট বাড়ী, *াঝে মাঝে কংক্রিটের বড় বড় ব্যারাকের মত সাদা সাদা "ী। পুকুরের জলে ৰেমন কলমী শাক লাগিয়ে অনেকে "শের বেড়া নিয়ে জলের ভিতর ধিরে নেয়, এখানেও জলের به حساسیسt 8 हांब्रांनांश्छद्र भक बूर्डि “Nalagarang” ভিতর তেমনি ঘেরা অনেকগুলি রয়েছে। কলমী শাক অবগু নেই, কিন্তু কেন ষে ঘেরা আমি বুঝতে পারলাম না। প্রাতরাশের ঘণ্টা পড়ল, কাজেই তাড়াতাড়ি খেতে ছুটতে হ’ল। সাতটার মধ্যেই খাইয়ে দিল । জাঙ্গ ভাঙায় নামতে হবে বলে সহষাত্ৰিণীরা সব মহিলাজনোচিত বেশভূষা করেই খেতে এসেছেন, অন্ত দিনের মত হাতকাটা বেনিয়ান, হাফপ্যান্ট, রাত-পাজাম, কি পুরা পাতলুনের ঘটা জাজ নেই। আগু দিন ধারা খালি পায়ে ঘাসের চটি টানতে টানতে ঘোরেন আজ তারা সবাই ফ্যাশনেবল জুতামোজা পরেছেন । খাওয়া-দাওয়া সেরে উপরে এসে দেখি ডেক-যাত্রীদের কাঠগড়া খুলে নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয়ের মধ্যে ভেদবুদ্ধি দূর করা হয়েছে। সব ডেক-যাত্রীরা তাদের বাক্স-পেটরা বেঁধে ভাল ভাল কাপড়চোপড় পরে দ্বিতীয় শ্রেণীর ডেকে উৰু হয়ে এসে বসেছে। নীচে লঞ্চ এসে দাড়িয়েছে, জাহাজ ভাঙায় ঠেকাবে না, জল পৰ্যন্ত সিড়ি নামানে হয়েছে। ছাড়া পেলেই যাত্রীরা ছড়মুড় ক'রে সবাই নেমে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকের উপবাসক্লিষ্ট চেহারা দেখে কষ্ট হচ্ছিল। এই সব জাহাজ সচরাচর কলম্বে থেকে পাচ দিনে সিনাপুরে