পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৌকার ঘাট g o 編 আমরা কলম্বো থেকে ১৩৯৯ মাইল চলে এসেছি। সিঙ্গাপুর আর ১৭০ মাইল দূরে । খুব মেঘ করেছে। সিঙ্গাপুর বৃষ্টির দেশ ৰিন, কাছে আসতেই মেঘ। কাল ডোরেই সেখানে পৌছবে। বেলা ১১টার সময় এন-ওয়াই-কে লাইনের আর একটা জাহাজ আমাদের পাশ দিয়ে চলে গেল । তাদের যাত্রীরা সব ডেকে বেরিয়ে এসে খুব রুমাল ওড়াচ্ছে । আমরাও ওড়ালাম। যখনই কোনও জাহাজ-বিশেষ করে এন७ब्राहे-८क७ब्र खांशंख कांझ भिदध्न शां★ उर्थनई छुझे জাহাজের যাত্রীরা পরস্পরকে অভিবাদন করতে খুব ব্যগ্রতা দেখায়। মাঝসমুঞ্জে মাহুষের সঙ্গে এই ক্ষণিকের দেখাতেই কত আনন্দ । তারা মানুষ, আমরাও মানুষ এইটুকুই আনন্দের কারণ। আবার এই মাহুযে মাচুবেই পৃথিবীতে কি নিদারুণ শক্ৰতা । পরম্পরকে ধ্বংস করায় কি পৈশাচিক আনন্দ ! পথের বন্ধুদের মধ্যে অনেকে সিদ্ধাপুরে নেমে আবেন। ডেন মহিলা নেমে যাবেন বলে সহযাত্রীদের নাম ঠিকানা সব লিখে নিচ্ছেন। তামিল ভদ্রলোকও সকলের অটোগ্রাফ নিচ্ছেন। কাপ্তেন সকলকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তোলাতে এসেছেন। যার ধার ক্যামেরা আছে সবাই ছবি তুলে নিচ্ছে। বালিকাধাত্রী ছুটির গলায় লাইফ-বেণ্ট পরিয়ে সামনে বসানো হ’ল। ২০শে ভোরবেলাই ঘুম ভেঙে গেল, জাহাজ তখনও খামে নি। জাহাজটি বিশেষ জোরে যায় না, প্রায় মরালগামিনী। ঘণ্টায় মাত্র দশ মাইল এর গতি । খুব দিন ভাল থাকলে আর একটু বেশী যায়, ১১ কি বড়জোর ১২ মাইল। রাজহাসের এর চেয়ে আস্তে চলে কিনা জানি না। কাল দ্বপুরে ১৭• মাইল বাকী ছিল বলে আন্দাজ করে ছিলাম ভোর পাচটায় নিশ্চয় ডাঙায় ভিড়ব এসে। ভোরে কেবিন থেকে আকাশে সাউদার্ণ-ক্রস নক্ষত্রমালা দেখলাম । আমাদের দেশ থেকে একে দেখা যায় না। তখনও জাহাজ वांरभ नि । - জাহাঙ্গ বন্দরে পৌছল সাড়ে ছটায়। বন্দরের কাছে এসে সব জাহাজই এত আস্তে চলে ষে যা আশা করা যায়