পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ আণফ্রিকা \9ట్రNరి কি-পুরুষ যেন বামনাবতার হয়ে ছেয়েছে দেশ মহাদেশ : কারো খাত কদমূল কারো বা মাছমাংস কেউ অহিংসাধৰ্ম্মী, কেউ হিংসাব্রতী কেউ গড়েছে কৃষিবিজ্ঞান কেউ শিকার-সন্ধান, কেউ স্থল-পথে কেউ জল-পথে গেছে ধেয়ে সব মানুষের আগে, সব জাতির অগ্রদূত, এই কালো মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে অতলাস্তিক, ভূমধ্য-সাগর বেয়ে পাশ্চাত্য মগুলে ভারত-সমূদ্র বেয়ে মৃদুর প্রাচ্যখণ্ডে । মানবজাতির প্রশম্য পথিকৃৎ । প্রণাম করি তোমায় । মানুষের শতাব্দী-সঞ্চিত ঘৃণা অত্যাচার ও দাসত্বের ভারে তোমার ঘাড় গিয়েছে কুয়ে, পা গিয়েছে বেঁকে ; প্রাণ দিয়ে থেটেও মেলে নি তোমার মুখশান্তি স্থায়ী অাবাস নামও নেই যেন তোমার শুধু ঘৃণ্য পরিচয়—তুমি ক্রীতদাস । অপরিসীম স্পৰ্দ্ধা মানুষের, যারা এসেছে সবার পরে, করেছে সব লুটু, তারাই কিনেছে তোমার ভিটে-মাটি, তোমার সব, তোমার প্রাণ ! কী দাম দিয়ে n কে ছিল সাক্ষী ? কে করেছে যাচাই ? এত অবিচার এত প্রতারণ সন্ধ করবে মানবের ইতিহাস, নীতি, ধৰ্ম্ম ? গুণয়ের ক্ষেত্রেও কি আছে জাতিভেদ । কার গড়া এই নব্য ভায় ? কত দিন তার স্থিতি ? fচত্রশাল ভরে রয়েছে তোমার বিচিত্র স্বাক্ট— মানবদ্ৰে দাবীর পাকা দলিল : জলীম সাহসে ছুর্তেম্য জঙ্গল করেছ ভেন চিনেছ লতাপাত কাঠপাথর, রচেছ প্রথম গৃহস্থত্র-পর্ণকুটার, গেখেছ প্রথম মালা গৃহলক্ষ্মীর গলায় দিয়েছ শোলার গয়না, কাঠের কষ্ট, ঝিমুকের কঙ্কণ বলয়, কাচমণির হার, গজদম্ভের অলঙ্কার পাথর ঘষে উদ্ভিদরসে রসিয়ে একেছ ছবি, পুরাণ পৃথিবীটা বোপে, হিম্পানী গুহা থেকে ভারত-সাগরের উপকূল পৰ্য্যস্ত সাজিয়ে তুলেছ তুমি তোমার রেখায় রঙে। জানি শিল্পী তুমি, চিত্রী তুমি, আদি নট তুমি । ভাষায় নাটক লেখনি পায়ের ছন্দে অদ্ভুত মৃত্যতাওবে মাতিয়ে তুলেছ সবাইৰে নাচিয়ে তুলেছ তোমার শাদা প্ৰভুদ্ধের ; তা’র প্রথম হেসেছিল বোধ হয় স্থণার হাসি যখন তোমার ভাষাতীত বেদৰু মূৰ্ত্তি ধরে ফুটেছিল তোমার নাচে। প্রথম দাস-জাহাজের বুকে, সমূত্রের তাওবে মনে পড়েছিল বোধ হয়— একদিন তুমিই গড়েছিলে প্রথম কাঠের কাটামারান, লঙ্ঘন করেছিলে অসীম সাগর । আজ তোমারই পায়ে বেড়ি, হাতে শিকল, তবু তার মধ্যেই জাগছে যেন জন্মান্তরের স্বতি । নেচে উঠেছ তুমি নাচিয়ে তুলেছ তুমি, তাজো নৃত্যে, শাদা-কালোর ভেঙ্গ ঘুচিয়ে ; জাগছে স্বণ-প্রীতির যুগ্ম-নৃত্য ! অৰ্কেষ্ট্রায় এনেছ নতুন তাল, নতুন প্রাণ, গানে দিয়েছ নতুন প্রেরণা শেক্সপীরের রচ্ছে নতুন টাক, ক্রীতদাসের ভাবে ধন্থ হয়েছে শ্বেত কবি-গুরুর রচনা,— তোমাৰু পায়ে অর্থ দিয়েছে