পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ হার্ডাঙ্গারের বিশিষ্ট পোষাকে নরহাইমসুণ্ডের তরুণী লেখককর্তৃক গৃঙ্গীত চিত্র } উপকৃগ থেকে উদ্ধার কর হয়েছে । জাহাজ-নিৰ্ম্মাণ যাদের ব্যবসা কিংবা জাতীয় স্বার্থের ভিত্তি তারা এই নৌকোগুলো নিয়ে খুব গবেষণা চালাচ্ছে । ভাইকিংদের জাহাজ-নিৰ্ম্মাণকৌশল যে অতি উচুদরের ছিল তাতে আর কোন সন্দেহ নেই, কারণ কিছুদিন আগে এক জন নরওয়েজিয়ান ভাইকিংদের রীতিতে তৈরি একখানি জাহাজ তৈরি ক’রে আটলাণ্টিক পাড়ি দিয়ে এসেছে। ওস্লোর কোন নরওয়েজিয়ান বৈশিষ্ট্য নেই। ওখানে ইংরেজ আর আমেরিকান টুরিষ্টদের ভিড় দেখলে মনে হবে ইউরোপের যে-কোন আর একটা শহরের মত । তাছাড়া ওস্লোর বর্তমান শহরটি খ্ৰীষ্টীয় রাজত্বের আমলে প্রতিষ্ঠিত। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে নরওয়ের এক রাজা তার নিজের নামকে অমরত্বের স্পর্শ দেবার জন্তে এই শহরের নাম বদলে রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানিয়া। এই রাজার অসংখ্য অপকীৰ্ত্তির মধ্যে এটা ছিল একটি মাত্র। ১৯২৪ সনে ج: جسسسده 4 দুর দেখা NSS^ ওস্লে তার পুরনো নাম ফিরে পেয়েছে। ওসলোতে অপ্রত্যাশিত ভাবে কয়েক জন ভারতবন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয়ে গিয়েছিল । ওখানে প্রাচ্য সভ্যতার অনুশীলন এবং প্রচারের জন্ম একটি পরিষদ আছে। এই পরিষদের সভাপতি মাদাম ডিবোয়াড় ও নরওয়ের সুফী-নেত। মি. জন এগেবের্গ, এরা উভয়েই ভারতীয় সভ্যতা এবং সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট । ওস্লোতে আমার সবচেয়ে যা ভাল লেগেছিল তা এদের আতিথ্য এবং জন্মভূমি সম্বন্ধে কয়েকটি মিষ্টি কথা । ওস্লোর দৈনন্দিন জীবনধাত্র আর ভাইকিং সভ্যতার প্রাণের মধ্যে যে অনৈক্য দেখে প্রথমটা একটু নিরাশ হয়েছিলাম, তার দ্বিগুণ উৎসাহিত হলাম ফিয়ডের অঞ্চলে এসে। ওস্লো বেগেনের রেলওয়ের পথটা অপূৰ্ব্ব সুন্দর—এই সৌন্দৰ্য্যই নরওয়েকে সমস্ত থেকে ইউরোপের মধ্যে প্রকৃতি-পুজার বৃহত্তম তীর্থক্ষেত্র করেছে । কখনও কখনও পাহাড়ের মৰ্ম্ম পাহাড়ের গা ঘেষে,