পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سيا وجريح প্রবাসী పిvఠిgg ষ্টকহলমের টাউনহল [লেখককর্তৃক গৃহীত চিত্র ] ভেদ ক’রে রেলের লাইন চলে গেছে ; দুই দিকে সিলভার বাচ, আর পাইন, ফারের ঘন সবুজ বন ; লোকালয়হীন, পশুপক্ষীবিরল উপত্যকায় বস্থঙ্করার বিপুল বৈরাগ্য। যেখানেই নজরে পড়েছে একটা হ্রদ কিংবা ঝরণা, সেখানেই দেখতে পেয়েছি দু-চার জন মানুষের অস্তিত্ব ; কেউ হ্রদের তীরে বাসা বেঁধেছে, চাষের ব্যবস্থা করছে, আর কেউ ঝরণার স্রোত থেকে বিদ্যুৎকে বেঁধে তাকে কাগজের কিংবা অন্ত কোন কারখানার কাজে লাগাচ্ছে। এমন লোক-বিরল দেশ আর কখনও দেখি নি। নরওয়ে . আর সুইডেনের একত্রে ষে লোকসংখ্যা তা একমাত্র লওনেই প্রায় সমস্ত ধরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। क्6ि श्णि चाभाद्र कारझ ७क्झे ऋश्रब्र भउ । বোস্থ্যরের লেখা পড়ে ফিয়র্ডের যে-চিত্র মানসপটে জঙ্কিত হয়েছিল, বাস্তবে তার সত্যিকার রূপ কল্পনা कxएड *ांब्रि नि । क्रूि भछ। ७३, ८ष, cष-क्बल्लेi cवनं কিংবা স্থান সম্বন্ধে স্বপ্ন রচনা করেছিলাম শুধু ফিয়তে এসেই তার কোন লাঞ্ছনা হয় নি। প্রথম দৃষ্টিতে অনেক স্থানেই অতৃপ্তি বোধ করেছি—রোম, এথেন্স, প্যারিস, লওন, বার্লিন, কোনটাই বাদ যায় নি, যদিও ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে সকলের সঙ্গেই আত্মীয়তা বোধ করেছি। কিন্তু একমাত্র ফিয়ডের সঙ্গেই প্রথম শুভদৃষ্টিতে বহু দিনের পরিচিত এক জন স্বপ্ন-সঙ্গিনীর মূৰ্ত্তি দেখতে পেলাম। দু-দিকে অভ্ৰভেদী নগ্ন পৰ্ব্বতমালা, গ্রীষ্মের উত্তাপেও যার শিখরদেশের শুভ্ৰ তুষার-ভূষণ স্থলিত হয় নি; আর নীচে উত্তরসাগরের নীল জল পৰ্ব্বতমালার ব্যবধান খুজে খুজে প্রবেশ করেছে তার স্থির, শাস্ত দর্পণ নিয়ে। ক্রোশের পর ক্রোশ অতিক্রম ক'রে গিয়েছি, কিন্তু কোথাও লোকালয়ের চিহ্নমাত্র দেখতে পাই নি ; সমস্ত নীরব, নিশ্চল । ফিয়র্ডের সৌন্দর্য্যের মধ্যে আছে যে গাম্ভীর্ধ্য আর উন্মুক্ত উদারত, তাতে মনে হয় যে প্রকৃতি ধ্যানে বসে আছেন, তুলির রঙে বা কবিতার ছন্দে ধরা দিতে নারাজ । ইউরোপের চিত্রকর ফিয়র্ডের প্রকৃতিদেবীর সৌন্দর্ঘ্যের গুণ্ঠন মোচন করতে পারে নি ; ও কাজ একমাত্র ভারতীয় কিংবা চীনা শিল্পীর তুলিতেই সম্ভব, প্রকৃতির ধ্যানী মূৰ্ত্তিকে যারা রূপ দিয়েছেন রেখার সারল্যে । কিম্বর্ডের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম ভাইকিংরা কেন পেগ্যান অর্থাৎ প্রকৃতি-পূজক ছিল, কেন তারা বিশ্বাস করত নিয়তিতে, কেন তাদের বিজয়অভিযানে কেঁপে উঠেছিল ইউরোপের মাটি । নরওয়ের পশ্চিম উপকূলের সবগুলো ফিয়র্ডের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে হার্ডাঙ্গার ফিয়ড’। এখানে উলভিক ও নহাইম্স্কও এই দুটি পল্লীতে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম। জুন মাসের শেষ ; শীত তখন তত নেই, ওভারকোট ছাড়াই চলাফেরা করা যেত। ঐ সময়ে নরওয়েতে রাত্রি হয় না, হয় শুধু সভ্য, আর পরের দিনের স্বধোদয় পৰ্য্যস্ত থাকে একটি অদ্ভুত গোধূলি-আলোক। সেই গোধূলির মাক-স্পর্শের এমন একটি মোহ আছে যাতে যে-কোন বিদেশীরই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে । সেই প্রদোষের আলো-অন্ধকারে এমন একটি ঔদাসীপ্তের স্পর্শ আছে যাতে কল্পনা-বিলাসী অস্তরে প্রার্থনার প্রেরণা জাগায়।