পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8్సe প্রবাসী SN°88 লক্ষ্মীছাড়া সংসারে লক্ষ্মীপ্র এনেছেন উনি, তা বোঝবার ক্ষমতা নেই—যেটা বেচারী জানেন না সেইটে নিয়ে খোটা দিচ্ছ আর নিজে কাব্য করছ ব'সে ? বি-এ পাস ক’রে নিজে ত একটি আস্ত গাধা হয়েছ ; আমিও গাধার চেয়ে যে কোনও অংশেই বড় হই নি তা ত নিজের চোখেই দেখছিল—তবু তোর লেখাপড়ার মোহ কাটল না ?” স্বরেশ নীরবে খাইতে লাগিল, উত্তর দিল না এবং পুনৰ্ব্বার কচুরি মুখে তুলিয়৷ অমুকুলের রাগও বোধ করি পড়িয়া গেল, কেন-না ইহার পর সেও তর্ক ভুলিয়া বিনবাক্যে কচুরির খালা নিঃশেষ করিতে মন দিল । দুই বন্ধুতে খাওয়া শেষ করিলে অমুকুল রেকাবিধান চোরের নীচে নামাইয়া হাত ধুইল। রুমালে মুখ মুছিয়া উঠিয় দাড়াইয়া বলিল, “খুব খাওয়া হ’ল। যাই, বাড়ী ধাই—ইন্দু একলাটি আছে।” স্থরেশ বলিল, “একলা রেখে এলি কেন ? দু-জনে এলেই পারতিস ” অমুকুল হাসিয়া বলিল, “আরে দাদ। দুঃখের কথা বল কেন ? ওখানেও যে মেঘদূত | ঐ তোমার হাতে যে রকম একখানা বই ছিল ঐ রকম একখানা যে শ্বশুর-মশাই ওখানে ইন্দুকে আজ পাঠিয়েছেন কি না—ডাকে এল আজ দেখলাম—আর ইন্দু তাই নিয়ে একেবারে ডুবে গেছে । আমাকে ধরেছিল—বলেছিল পড়ে শোনাতে। চন্থ চড়কগাছ আর কি ! এই একটু ঘুরে আসছি বলে পালিয়ে এসে বৌদির শরণ নিয়েছিলাম। যাক, এখন পেট ভরেছে —এবারে ধাই, দেখি দু-একটা কবিতা হয়ত সইতেও পারে।” স্বরেশ হাসিল । বলিল, “তোমার কপালে ঠিক বাদরের গলায়ু মুক্তোর হার হয়েছে আর কি। একেবারে বাদর তুই অকু-মুক্তে চিনলি নে ?” অনুকূল ধাইতে যাইতে বলিল, “কি ক’রে চিনব দাদা ? দেখি নি যে কখনও । তবে ভয় নেই, এবার মনে হচ্ছে চিনব বোধ হয় ক্রমে ক্রমে । বাড়ীর পাশে তুমি, ঘরের মধ্যে ইন্দু—এমন দুই মূৰ্ত্তিমান কবিতার দিবারাত্রির সংসর্গেও যদি একদিন দ্বিতীয় রবি ঠাকুর না বনে যেতে পারি ত ধিক্ আমাকে ৷” अश्कूण फणिब्रा बाहेबाब्र नरब्रहे कभ-कभ कब्रिब इ*ि নামিল । স্বরেশ একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়। বইখানা ও চেয়ারগুলা টানিয়া লইয়া বারান্দায় উঠিল ও একখানা চেয়ার টানিয়া জালোর নিকটে গিস পড়িতে বসিয়া একটু পরেই একবারে বইয়ের ভিতর ধেন ভূবিয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে অপর্ণ যখন, স্বরেশকে খাইবার জন্ত ডাকিতে আসিল সে তখন স্থর করিয়া কবিতা পড়িতেছে ; অপর্ণকে দেখিতে পাইল না। অপর্ণ সুরেশের চেয়ারের পিছনে দাড়াইয়া নীরবে কিছুক্ষণ গুনিল—কিছু বুঝিয় কিছু ন-বুঝিয় তাহার মন যেন কি এক জহুভূতিতে পূর্ণ হইয়া গেল। ধীরে ধীরে স্বামীর মাথায় হাত দিয়া ডাকিল, “খাবে না ? রাত হ’ল ষে।” স্বরেশ চমকাইয়া মুখ তুলিয়া চাহিল। "তুমি কখন এলে ? দেখতে পাই নি তো । এস—বসবে *ি অপর্ণ বলিল, “রাত হয়েছে অনেক—খাবে চল । এখন কি জার বসে ?” স্বরেশ মুখ নামাইয়া আবার বইয়ের পাতায় মন দিয়া বলিল, “আবার খাব ? আমি কি একটা রাক্ষস নাকি ? এই তো কতকগুলো কচুরি খেলাম খানিক আগে, আবার কি খাওয়া যায় ?” অপর্ণ ক্ষুণ্ণ হইল, মান মুখে বলিল, “ওমা কত করে খিচুড়ী রাখলাম তুমি খাবে ব’লে, তা মুখে দেবে না? ঐ কট কচুরি থেয়েই পেট ভরে গেল ।” স্বরেশ উত্তর দিল, “পেটট তোমার কল্যাণে প্রায় ভরাই থাকে অপর্ণ—মনটা ভরাই মুস্কিল ” স্বরেশ আবার পড়িতে আরম্ভ করিল—অপর্ণ কিছুক্ষণ নীরবে দাড়াইয়া থাকিয় ধীরে ধীরে ভিতরে চলিয়া গেল । সেই একই সময়ে অনুকূলের বাটতে ইন্দু বলিতেছিল, “তুমি ষে সেই সন্ধ্যেবেল এখনি আসছি’ ব’লে চলে গেলে, তার পর আর এলে না তো । আমি ভেবেছিলাম ছু-জনে আজ একসঙ্গে নতুন বইখানা পড়ব । আমি বরাবর বাবার সঙ্গে পড়েছি কিনা সব বই—তাই একলা কিছু পড়তে আমার ভাল লাগে না। তা তুমি আজ কত দেরি করে এলে বল তো ? কখন আর পড়া হবে ? রাত তো ৰুম হয় নি।” জমুকুল উষ্মার সহিত উত্তর দিল, “দেরি করে আসব কেন ? স্বরেশদের বাড়ী গিয়েছিলাম—বৌদ্ধি খাওয়ালে— খেয়েই তো চলে এলাম তাড় ক’রে । কিন্তু এসে দেখলাম, না এলেও ক্ষতি ছিল না। তুমি তো বই নিয়ে এমন বসেছিলে যে কখন যে আমি এলাম, দেখলেও না চেয়ে । এখনও বোধ হয় দেখতে না যদি আমি ন ডাকতাম।” ইন্দু আশ্চর্ধ্য হইয়া গেল। বড় বড় চোখ তুলিয়া বিস্ময়ে বলিল, “কখখনো না। আমি এমন পড়ছিলাম ৰে তুমি ঘরে এসেছ আর আমি টেরই পাই নি ?” অমুকুল বলিল, “পাওই নি তো। কি এত পড় ইন্দু রাতদিন ? আমার একটুও ভাল লাগে না।” चांशैब्र कठैिन चरब देव्यू चांझछ श्ण । शैदब्र शैtब्र