পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ রাজণ রামমোহন রায়ের অপবাদ gఇN9 আল মানষ্টার ) ১৮১৭ কি ১৮১৮ সালে কলিকাতায় স্থির করিয়াছেন f বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের জন্ত রামমোহন রায়ের সহিত আলাপ করিয়াছিলেন । ফিটজক্লেরেন্স তাহার ভ্রমণবৃত্ত্বাস্তে রামমোহন রায়ের সম্বন্ধে লিখিয়াছেন – His learning is most extensive, as he , is not only conversant with the best books in English, Arabie, Sanskrit, Bengalee and Hindoostanee, But has even studied rhetoric in Arabic and English, and quotes Locke and Bacon on all occasions.” টাঙ্গার পাণ্ডিত্য অত্যন্ত বিশাল । তিনি কেবল উংকৃষ্ট ইংরেজী, আরবী বাঙ্গাল এবং হিন্দুস্থানী সাহিত্যের সচিত পরিচিত নষ্টেন, তিনি আরবী এবং ইংরেজী অলঙ্কারশাস্ত্রও অনুশীলন করিয়াছেন, এবং সৰ্ব্বদাই বেকনের এবং লকের বচন উদ্ধত করে • }* রামমোহন রায় ভারতবর্ষে থাকিয়া পাশ্চাত্য দর্শন অধ্যয়ন করিয়াই ক্ষণস্ত থাকিতে সম্মত ছিলেন না, ভিনি ইংলণ্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সকল শাস্ত্রের যথারীতি অনুশীলন করিতে ইচ্ছুক ছিলেন। ফিটঙ্গ ক্লেরেন্স লিথিয়াছেন— | {e is very desirous to wisit England and "nter one of our universities where I shall be most tuxious to see him, and to learn his ideas of our country, its manners and customs." তিনি ইংলণ্ডে আসিতে এবং আমাদের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতে বিশেষ ইচ্ছুক। এখানে তাঙ্গার সহিত সাক্ষাং করিতে এবং তাতার নিকট হইতে আমাদের দেশের সম্বন্ধে, এবং ঐ দশের আচার-ব্যবহার সম্বন্ধে, ঠাহীর মতামত শুনিতে আমার বিশেষ আগ্রহ আছে ।" ১৮১৬ সালে রামমোহন রায় একখানি চিঠিতে জম ডিগবীকেও লিথিয়াছিলেন, তিনি ইংলওে স্বাত্রা করিবেন

  • Lt.-Col. Fitzclarence, Journal of a Route across India, through Egypt to England, in the years 1817 and 1818, , quoted by Mary Carpenter in Last Days of Raja Rammohun Roy, Calcutta, 1915, pp. 54.57.

ইংলণ্ডে যাওয়া রামমোহন রায়ের পক্ষে ঘটিয়া উঠিয়াছিল না। কিন্তু ইউরোপীয় দর্শনের বিচারপ্রণালীর মাহাত্ম্য তিনি যেমন বুঝিয়াছিলেন, তেমন এখনকার দিনের অতি অল্পসংখ্যক ভারতবাসীই বোধ হয় বুঝিতে পারে। ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তন সম্বন্ধে লণ্ড আমহাষ্টকে যে চিঠি লিখিয়াছিলেন তাহাতে রামমোহন রায় লোকশিক্ষার যন্ত্ররূপে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান দর্শনকে বেদাস্তের উপরে স্থান দিয়াছেন। অথচ তিনিই ১৮২৬৮ সালে বেদাস্তের পঠন-পাঠনের জন্ত বেঙ্গবিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন । রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর ষে শত বৎসর অতীত হইয়া গিয়াছে, তন্মধ্যে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান দর্শনের অমুশীলন এ-দেশে বিশেষ বিস্তার লাভ করিয়াছে । কিন্তু সেই অনুপাতে এ-দেশের শিক্ষিত সমাজে যুক্তিনিষ্ঠা ( rationalism ) বিস্তার লাভ করিতে পারে নাই । বিশ্বাসপ্রবণতা হিন্দুর মনোবৃত্তির একটা প্রবল অঙ্গ । হিন্দুর প্রামাণ্য শাস্ত্রের সীমা আছে ; কিন্তু হিন্দুর বিশ্বাসের শক্তির সীমা নাই । রাজা রামমোহন নিরঙ্কুশ বিশ্বাসপ্রবণতার পোষক ছিলেন না । নিরঙ্কুশ বিশ্বাস-প্রবণতা হয়ত মোক্ষ লাভের সহায়তা করিতে পারে, কিন্তু বর্তমান যুগে ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ একত্র এই চতুৰ্ব্বৰ্গ লাভের সহায় হইতে পারে না । রাজা রামমোহন রায় হিন্দুর শাস্ত্র এবং পাশ্চাত্য দর্শন বিজ্ঞানের সামঞ্জস্তের প্রতীক ছিলেন । শ্রদ্ধার সহিত অনুশীলন করিলে তঁাহার জীবনকথা এবং গ্রন্থাবলী এই সামঞ্জস্তসাধনে বিশেষ সহায়তা করিতে পারে। কিন্তু সেই জীবনকথা গল্পগুজববর্জিত শুদ্ধ সত্য হওয়া আবশুক । of S. I.). Collet, Life and Letters of 1*;n Joаттohш+ Roy, p, 37.