পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Nలిపి “বাঙালী প্রতিভার ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে বসুর আবিক্রিয়াসমূহ বৈজ্ঞানিক জগতে সমাদর লাভ করিল। বাঙালী যুবকদের মনের উপর ইহার প্রভাব, ধীরে ধীরে হইলেও, নিশ্চিত রূপে রেখাপাত করিল।” ১৫৯ পৃষ্ঠা । পাছে কেহ ভুল বুঝেন, এই জন্ত এখানে একটি কথা স্পষ্টভাবে বলা আবশুক । জগদীশ চক্সের গবেষণা ও আবিষ্কার ভারতবর্ষের পক্ষে আধুনিক যুগে অভূতপূৰ্ব্ব ব্যাপার, ইহা বুঝাইবার চেষ্টা করায় কেহ যেন মনে না-করেন, গবেষকবছল ও বৈজ্ঞানিকবহুল পাশ্চাত্য কোন দেশের পক্ষে তাহার গবেষণা ও আবিষ্কার বিস্ময়কর হইত না । সেখানেও বিস্ময়কর নিশ্চয়ই হইত। স্বপ্রসিদ্ধ ইংরেজ বৈজ্ঞানিক লর্ড কেলভিন আচার্ধ্য বস্ত্রর একটি গবেষণা সম্বন্ধে ত বলিয়াইছিলেন, “ইহা আমার মনকে বিস্ময়ে পূর্ণ করিয়াছে।” আমরা ইহাই ৰলিতে চাই, যে, যাহা বিজ্ঞানোজ্জল কোন দেশেও প্রশংসনীয় হইত, তাহা বিজ্ঞানালোক হইতে বঞ্চিত তাৎকালিক ভারতবর্ষে অধিকতর শ্লাঘনীয় হইয়াছিল। জগদীশ চন্দ্র জীবিতকালে প্রশংসায় উৎফুল্প হইয়া নিদ্রালস द जकायटे झन माझे, मिमांञ्च कथनe अभिग्नां शांन माझे । এখন তিনি নিন্দ-প্রশংসার অতীত লোকে গিয়াছেন । আচাৰ্য্য বস্থর গবেষণার বিষয় আচার্ষ্য বম্বর গবেষণার বিষয় ছিল প্রথমতঃ পদার্থবিদ্যার তড়িৎশাখার কোন কোন বিষয়। সেগুলির কিঞ্চিৎ আভাসও এখানে দেওয়া চলিবে না। লেবল একটি বিষয়ের উল্লেখ করিব। তিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গের গুণাবলী সম্বন্ধে জ্ঞানলাভার্থ যে যন্ত্র উদ্ভাবন ও নিৰ্মাণ করেন, পরে বে-তার বাৰ্ত্ত প্রেরণে ব্যবহৃত কোহিয়ারার ( coherer ) যন্ত্রের সহিত তাহা প্রায় অভিন্ন, অর্থাৎ তিনিই এইরূপ যন্ত্র প্রথম উদ্ভাবন ও নির্বাণ করেন। এই কথাটিই “এন্সাইক্লোপীডিয়া ব্রিটানিক” নামক ইংরেজী মহাকোষের নূতন, চতুর্দশ, সংস্করণের তৃতীয় খণ্ডের ৯২৬ পৃষ্ঠায় একটুকু পেচাইয়া স্বীকার कुङ्खां क्लेश्वरघ् ।। ६षt $ “His first appearance before the British Association at Liyerpool in 1896 was to demonstrate an apparatus for studying...the properties of electric waves almost identical with the coherers subsequently used in all systems of wireless.” তিনি কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে ও টাউনহলে বিনা ॐथांमौ ১৬৪৪ তারে বৈদ্যুতিক শক্তি চালাইয়া প্রাচীরের অন্তরালে স্থিত পিস্তল আওয়াজ ও ঘণ্টাধ্বনি করিয়া তাহার যন্ত্রের কার্য্যকারিত প্রমাণ করিয়াছিলেন । ইহা মার্কোনির বেতারবাৰ্ত্তা প্রেরণ যন্ত্র প্রচারিত হইবার আগেকার কথা । র্তাহার কোহিয়্যারার-সদৃশ যন্ত্রটি ব্যবহার করিতে গিয়া তিনি দেখেন, তাহার মধ্যস্থিত ধাতুখণ্ডগুলি জীবের পেশীর মত কিয়ৎক্ষণ পরে শ্রাপ্ত হইয় পড়ে, আবার বিশ্রামের পর বা উত্তেজক ঔষধ প্রয়োগে কাৰ্যক্ষম হয়। ইহা দেখিয়া তিনি নিজ অমুসন্ধিৎসাকে জড়, উদ্ভিদ ও জীবের সাদৃশ্য ও ঐক্য নিৰ্দ্ধারণের দিকে চালিত করেন, এবং তাহা প্রমাণ করিতে সমর্থ হন। উক্ত এন্সাইক্লোপীডিয়াতে সংক্ষেপে এই কথা স্বীকৃত হইয়াছে। যথা:– “His discovery of a parallelism in the behaviour of the receiver to the oliving muscle led him to a systematic study of the response of inorganic matter as well as animal tissues and plants to various kinds of stimulus. After laborious researches he proved to the Batisfaction of various scientific bodies that the life mechanism of the plant is identical with that of the animal.” বন্ধ মহাশয়ের সমুদয় আবিষ্ক্রয়ার বৃত্তাস্ত বাংলা ভাষায় এখনও বাহির হয় নাই। তাহার কিছু পরিচয় পরলোকগত অধ্যাপক জগদানন্দ রায়ের জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কার সম্বন্ধীয় পুস্তকে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বাংলা ভাষা বিস্তৃততর ও সংক্ষেপে সম্পূর্ণ পুস্তক রচনা ও প্রকাশের ছুটি প্রধান বাধা আছে। বাংলায় অনেক পারিভাষিক শব্দ নাই, কিন্তু সংস্কৃতের সাহায্যে তাহ রচিত হইতে পারে। তাছা করিবার ও বহি লিখিবার লোক পাওয়া যাইতে পারে। দ্বিতীয় বাধা, এরূপ বহি প্রকাশিত হইলে কিনিবে কে ও পড়িবে কে ? কিনিবার ও পড়িবার কিছু লোক পাওয়া যাইবে বটে। কিন্তু পুস্তক রচনা ও প্রকাশের ব্যয়ের সংকুলান তাহাতে না হইবারই কথা । অতএব, এই অত্যাবগুক কাজটির জন্ত যদি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ টাকা তুলিতে ইচ্ছা করেন এবং তাহাজের চেষ্টা সফল হয়, তাহ হইলে বাঙালীদের একটি কৰ্ত্তব্য করা হয় এবং বঙ্গসাহিত্যেরও সমৃদ্ধি বাড়ে। • বৈজ্ঞানিক গবেষণা নানা বিষয়ে নানা রকমের হইয়া খাকে । বস্থ মহাশয় মানবজ্ঞানের বাহা গোড়াকার কখ,