পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ বিবিধ প্রসঙ্গ—জাপান-চীন যুদ্ধ 88° আধুনিক অর্থে বিজ্ঞান, প্রাচীনদের পূৰ্ব্বোল্লিখিত উক্তিগুলি ও ডক্টর যতীন্দ্রকুমার মজুমদারের প্রতি এবং অন্তবিধ আধুনিক অর্থে বিজ্ঞান নহে। সাহায্যকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করিবেন। প্রাচীন কালে আমাদের দেশে বহু দার্শনিককে মুনি বা ঋষি বলা হইত, বহু কবিকেও মুনি বা ঋষি বলা হইত, বৈজ্ঞানিক কাহাকেও কাহাকেও ঐ নামে অভিহিত করা হইত। তাহা হইতে এই সত্যেরই জাভাস পাওয়া যায়, যে, মুনি ঋষি কবি দার্শনিক বৈজ্ঞামিক-ইহাদের পরস্পরের মনোবৃত্তি সম্পূর্ণ পৃথক নহে। তাঙ্গদের মনের সাদৃশু আছে, সংযোগস্থল আছে । আধুনিক ইউরোপে ইহা হয়ত স্পষ্ট অন্তর্ভূত হয় না ; প্রাচীন ভারতে হইয়াছিল। বর্তমানে জগদীশ চন্দ্রের ব্যক্তিত্ব এবং বৈজ্ঞানিক সাধন ও সিদ্ধি ভারতবর্ষের পূর্বাহুভূতি স্মরণ করাইয়া দিয়াছে। অনেক বৈজ্ঞানিক নাস্তিক ও জড়বাদী—যদিও সকলে নহেন । তাহারা জড়ের দ্বারা চেতনেব ও চেতনার ব্যাখ্যা করিতে প্রয়াসী। র্তাহারা আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না । হৃদয় মন প্রাণ আত্মা, ষে শব্দই ব্যবহার করা যাক, র্তাহারা সমস্তষ্ট জড়ের কোন গুণ বা প্রক্রিয়ার ফল বলিয়া বুঝাইতে চান। তাহারা আত্মাকে অনাত্ম দ্বারা, শ্রেষ্ঠকে অশ্রেষ্ঠের দ্বারা ব্যাখ্যা করিয়া জড়কেই একমাত্র সত্তা বলিতে চান। জগদীশ চন্দ্র ইহার বিপরীত মার্গ অবলম্বন করিয়াছিলেন । মনে হয়, তিনি বিশ্বের সর্বত্র প্রাণের, আত্মার, শ্ৰেষ্ঠের লীলা দেখিতে ৪ দেখাইতে চাহিয়াছিলেন । র্তাহার ভারতীয় বৈশিষ্ট্য এইখানে । «...assa...& রামমোহন রায় সম্বন্ধীয় কাগজপত্রের পুস্তক বর্তমান সংখ্যায়ু শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দের প্রবন্ধটিতে পাঠকেরা দেখিবেন, বাংলা গবন্মে স্টের ও ভারত-গবন্মেন্টের রেকর্ডসমূহের মধ্যে, হাইকোর্টের রেকড সমূহের মধ্যে এবং কোন কোন জেলার রেকড সমূহের মধ্যে রামমোহন রায় সম্বন্ধীয় ধে-সকল দলিল পাওয়া যাইতেছে, তাহা মুদ্রিত করা হইতেছে । এই কাজটিতে যাহাদের সাহায্য পাওয়া যাইতেছে, তাহাদের সকলের নাম রমাপ্রসাদ বাবু করিয়াছেন, কেবল নিজের নাম করেন নাই। কলিকাতায় দলিল অনুসন্ধান, তাহার নকল লওয়া ও মূলের সহিত নকল মিলাইবার কাজ প্রভৃতিতে র্তাহার প্রভূত পরিশ্রম হইয়াছে। নিজ ব্যয়ে তিনি দিনের পর দিন বাংলা-গবন্মেন্টের রেকর্ড অফিসে ও হাইকোর্টে গিয়াছেন। কাগজপত্র সমুদয় পড়িয়া প্রয়োজন মত প্রবন্ধ লিখিতেও তাহাকে হইতেছে। দলিলগুলি হইতে রামমোহন রায় সম্বন্ধে সত্য উদ্ধার করিবার স্ববিধ হইতেছে ও হইবে । রামমোহন রায়কে যাহার শ্রদ্ধা করেন এবং তাহার ব্যক্তিত্ব ও কাৰ্য্যকে জগতের, ভারতবর্ষের ও বন্ধের পক্ষে মূল্যবান মনে করেন, তাহারা রমাপ্রসাদ বাৰু ইটালীর লীগ অব নেশুন্স ত্যাগ ইটালী বৎসরাধিক কাল লীগ অব নেশুন্সের সহিত কাৰ্য্যতঃ কোন সম্পর্ক রাখে নাই ও তাহার আদর্শের অমুসরণ করে নাই ; এখন প্রকাগু ভাবে নামেও লীগের সদস্তত্ব পরিত্যাগ করিল। তিনটি সামরিক প্রবল শক্তিশালী দেশ, ইটালী, জাৰ্ম্মেনী ও জাপান, এখন এক দিকে । ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া যদি বিপরীত দিকে দলবদ্ধ হয়, ভাহা হইলে তাহারা নিশ্চয়ই ইটালী, জাৰ্ম্মণী ও জাপানের পরদেশগ্রাসের ইচ্ছা ও চেষ্টা ব্যর্থ করিতে পারে । কিন্তু তাহার দলবদ্ধ হইবে বলিয়া মনে হয় না। পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা অধিক অংশ ব্রিটেনের সাম্রাজ্যভূক্ত, তাহার নীচে ফ্রান্স ও রাশিয়ার । তাহারা নিজ নিজ অধিকৃত দেশসমূহ আপনাদের দখলে রাখিতে ব্যস্ত। ইটালী, জাৰ্ম্মেণী, বা জাপান ব্রিটেন, ফ্রান্স বা রাশিয়ার অধিকারে হস্তক্ষেপ নাকরিয়া যদি কোন দেশ গ্রাস করিতে চায়, তাহ হইলে তাহারা কেন উক্ত তিন দেশের পরদেশলোলুপতা নিবারণের চেষ্টা করিবে ? এই তিন দেশের কাজে বাধা দিতে গেলে অর্থব্যয় ও লোকক্ষয়ও অনেক হইবার কথা । স্বার্থপরতার যুক্তি এই প্রকার । wo জাপান-চীন যুদ্ধ জাপান যখন মাঞ্চুরিয়া লইবার চেষ্টা করে, তখন হইতেই যদি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সমবেতভাবে জাপানের কাজের প্রতিবাদ করিত, এবং প্রতিবাদ না শুনিলে তাহারা চীনের সাহায্য করিবে বলিত, এবং সাহাষা করিত, তাহা হইলে বৰ্ত্তমান জাপান-চীন যুদ্ধ ঘটিত না বলিয়াই মনে হয়। কিন্তু উক্ত তিনটি দেশ সেরূপ কিছু করে নাই। ফলে, এখন যদি জাপান চীন দখল করিতে সমর্থ হয়, তাহা হইলে চীনে ব্রিটেনের যে কোটি কোটি পাউণ্ড মুলধন থাটিতেছে তাহা নষ্ট হইবে এবং চীনে বাণিজ্য করিয়া ব্রিটিশ বণিকরা ষে প্রভূত লাভ করিত, তাহাও যাইবে । শুধু তাহাই নহে। এশিয়ায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষা করা কঠিন হইবে । ফ্রান্সেরও এইরূপ ক্ষতি ও অস্থবিধা হইবে—যদিও তাহার ক্ষতি ও অস্থবিধ ব্রিটেনের মত অত বেশী হইবে না। 畿 - এ সব কথা সভ্য হইলেও চীনকে ব্রিটেন বা ফ্রান্স সাহায্য কfরবে মনে হয় না। রাশিয়। ষে সাহায্য করবে, তাহারও লক্ষণ দেখা যাইতেছে না-যদিও রাশিয়ার কমুনিজমের