পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88い。 প্রবাসী sペつ88 হয়, তাহতে এই মৰ্ম্মের একটি প্রস্তাব সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়, যে, হিন্দু সমাজে হিন্দুদের জীবনধাত্র নির্বাহের জগু যে-কোন সামগ্রী আবগুক হয়, তাহ প্রস্তুত করা হিন্দুদের কৰ্ত্তব্য এবং তাহা প্রস্তুত করা সকল জাতির ও শ্রেণীর হিন্দুর পক্ষে বৈধ। বহি বাধাইবার জন্ত চামড়ার মলাটে এবং ছোট ছোট চৰ্ম্মপেটিকায় শোভন চামড়ার কাজ আজকাল অনেক ভদ্র হিন্দু গৃহস্থবাড়ীর মেয়েরাও শিখেন ও করেন। ডারুইনের ও জগদীশ চন্দ্রের আবিক্রিয়ায় নূতনত্ব ডাক্লইন ক্রমবিকাশ বান, বিবৰ্ত্তন বাদ বা অভিব্যক্তি বাদের আবিষ্কারক বলিয়া বিখ্যাভ। কিন্তু ইউরোপে প্রাচীন গ্রীক দর্শনে অভিব্যক্তি বাদের মত একটি মত ছিল। ভারতবর্ষেও কোন কোন দর্শনে এবং পুরাণাদিতে বণিত সৃষ্টির বৃত্তাস্তে বিবর্তন বাদের মত একটি মত লক্ষিত হয়। তদ্ভিয়, অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়েও কোন কোন ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিক অভিব্যক্তি বাদের মত একটি মত প্রচার করিয়াছিলেন। সুতরাং ভারুচন যাহা আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহা সৰ্ব্বাংশে সম্পূর্ণ নূতন ও অশ্রুতপূৰ্ব্ব ছিল না ; তাহার সামান্য কিছু আভাস বিদ্বৎসমাজ অতীত কালেও পাইয়াছিলেন। তথাপি র্তাহাকে যুগান্তরকারী আবিষ্কারক কেন বলা হয় ? বলা হয় এই জন্ত, যে, আধুনিক সময়ে যাহাকে সায়েন্স নাম দেওয়া হইয়াছে, এবং যাহার বাংলা করা হইয়াছে বিজ্ঞান, তাহ প্রমাণসাপেক্ষ । বিনাপ্রমাণে কোন বৈজ্ঞানিক মত গৃহীত হয় না। ডাক্লইন যাহা যাহা বলিয়াছেন, তাহার প্রমাণ দিতে চেষ্টা করিয়াছেন । তাহার মতের যে-ষে অংশের প্রমাণ তিনি দিতে পারেন নাই, তাহার কিছু কিছু প্রমাণ পরে পাওয়া গিয়াছে, আবার তাহার মতের কোন কোন অংশের বিরুদ্ধেও অনেক যুক্তি প্রদশিত হইয়াছে। পৃথিবীতে গোড়া খ্ৰীষ্টিয়ান অনেক আছেন যাহারা ডাক্লইনের মতে বিশ্বাস করেন না । আমেরিকার ইউনাটেড ষ্টেটসের কোন কোন স্থানে এই গোড়ামি এত বেশী, যে, তথাকার শিক্ষালয়সমূহে অভিব্যক্তি বাদ শিক্ষ দেওয়া নিষিদ্ধ ; কোন শিক্ষক তাহা শিথাইলে তাহার চাকরি যায়, কোন শিক্ষালয়ে তাহা শিখান হইলে তাহার সরকারি সাহায্য বন্ধ হয় । এইরূপ নানা বিরুদ্ধবাদিভা ও বিরুদ্ধাচরণ সত্ত্বেও ভারুইন খুব বড় বৈজ্ঞানিক বলিমা জগতে সম্মানিত, এবং তাহার মত মোটের উপর সত্য বলিয়া স্বীকৃত। এই সম্মান ও এই স্বীকৃতির তিনি যোগ্য। আধুনিক সময়ে বিজ্ঞান বলিতে কি বুঝায়, তাহা একটি দৃষ্টান্ত লইলে সহজে বুঝা যাইবে। আমাদের দেশে রামায়ণে ও অন্ত কোন কোন কাব্যে ও নাটকে পুষ্পক রথের উল্লেখ ও তাহাতে আরোহণ করিয়া ভ্রমণের বৃত্তান্ত দেখা যায়। গ্রীক পুরাণে বর্ণিত আছে, যে, উীভেলস ও র্তাহার পুত্র আইকেরস নিজ নিজ স্কন্ধদেশে পক্ষ জুড়িয়া উড়িতে সমর্থ হইয়াছিলেন। আরব্য উপন্যাসে ঐন্দ্রজালিক গালিচায় বসিয়া বা ঐন্দ্রজালিক ঘোড়ায় চড়িয়া আকাশপথে গমনগমনের বর্ণনা আছে । কিন্তু এ সমুদয় সত্ত্বে ৪ বৰ্ত্তমান সময়ে যত প্রকার আকাশযান আছে, তাহ নিৰ্ম্মাণ করিতে যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ও কারিগরীর প্রয়োজন হষ্টয়াছে, তাহা নূতন মনে করা হয় ও তাহার প্রশংসা করা হয়। এই যানগুলি আমরা চক্ষুর সম্মুখে দেখিতেছি । যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান থাকিলে এগুলি নিৰ্ম্মাণ করা যায়, তাহ যোগ্য ব্যক্তি মাত্রেই শিখিলে পারে । কিন্তু আগেকার পুষ্পক রথ, উীডেলস ও আঠকেবসের পাখা, এবং ঐন্দ্রজালিক গালিচা ও ঘোড়া যে কিরূপ ছিল, কেমন করিয়া সেগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, বা আবার হইতে পারে, কোথাও লেখ নাই, কেহ জানে না, জানিতে পারে না । সুতরাং আগেকার ঐ সব জিনিষের উল্লেখ বা বর্ণমার কোন বৈজ্ঞানিক মূল্য নাই । আমাদের দেশের পূর্বতন ঋষিগণ আধ্যাত্মিক অস্তদৃষ্টির বলে সমুদয় বিশ্বের ঐক্য, সৰ্ব্বত্র এক আত্মার অস্তিত্ব, এবং বস্তুর মধ্যে একের সন্ধানু পাইয়াছিলেন এবং তাহা ঘোষণা করিয়াছিলেন । উদ্ভিদের প্রাণ আছে, এ কথাঃ র্তাহীদের মধ্যে কেহ কেহ বলিয়া থাকিবেন । ইউরোপেও কেহ কেহ মোটামুটি এইরূপ কিছু বলিয়া থাকিবেন । কিন্তু নানাবিধ সুহ্ম ষন্ত্রের উদ্ভাবন ও নিৰ্ম্মাণ এবং তাহাদের সাহায্যে বহুসংখ্যক পরীক্ষা করিয়া জগদীশ চন্দ্র জীবিত ও অঞ্জীবিতের, উদ্ভিদ ও প্রাণীর যত প্রকার সাদৃপ্ত পুনঃ পুন: দেখাইয়াছেন ও বর্ণনা করিয়াছেন, তাহণদের সম্বন্ধে যাহা কিছু বলিয়াছেন, প্রাচীন কালে সেরূপ কিছু কেহ করেন নাই, ও বলেন নাই। প্রাচীনের সমূদয় বিশ্বে একের বিদ্যমানতা উপলব্ধি করিয়াছিলেন বটে। কিন্তু সেই উপলব্ধি অন্তকে অকাট্য বাহ প্রমাণ দ্বাধী দেওয়া ধায় না। জগদীশ চন্দ্র যে-সব বৈজ্ঞানিক উপায়ে নিরে মত প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, সেগুলি অন্তকে দেখান, শুনান, বোঝান যায়। প্রয়োজনাতুরূপ বৈজ্ঞানিক শিক্ষা যাহার আছে, তিনিই তাহার পরীক্ষাগুলির পুনরাবৃত্তি করিতে পারেন, এবং সেগুলির সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ হইলে নিরে সন্দেহ ভঞ্জন করিতে পারেন । এই সমস্ত কারণে জগদীশ চন্দ্রের আবিক্রিয়াগুলি