পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ বিবিধ প্রসঙ্গ-মাধ্যমিক শিক্ষণ বোর্ভ বিল 88> কারখানার মালিকের শ্রমিকদের দাবী সম্বন্ধে সালিসী বা আপোষে মিটমাটে সহজে রাজী না হইতে পারে তখন অগত্য ধৰ্ম্মঘটই উপায় । প্রধানতঃ ইউরোপে এবং পৃথিবীর অক্ষত্রও ফাসিষ্ট ও কমু্যনিষ্টদের সংগ্রামে মানবসভ্যতা নষ্ট হইতে চলিয়াছে । কমুনিষ্টরা মনে করিয়াছিল, তাহারা সব দেশে প্রভু হুইবে, কোথাও সামাজিক শ্রেণীবিভাগ থাকিবে না, এবং একবার রক্তপাত দ্বারা অভিজাত ও মধ্যবিত্তদিগকে নিঃশেষ করিয়া দিলে তাহার পর সর্বত্র শাস্তি বিরাজ করিবে । কিন্তু ঐরূপ নিঃশেষের চেষ্ট রাশিয়াতে যত দূর সম্ভব করিয়াও শাস্তি স্থাপিত হইয়াছে কি ? এখনও ত সেখানে হত্যা চলিতেছে । অন্য দিকে ইটালী, জামেনী, জাপান, স্পেন, জুগোস্লাভিয়া প্রভৃতিতে কমুনিষ্ট-বিরোধী ফাসিষ্টরা প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। এখন রাশিয়ায় কমুনিষ্টদিগকে এবং অন্যত্র সমাজতন্ত্রীদিগকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যক্তিব্যস্ত থাকিতে হইবে । সংগ্রাম ও সংঘর্ষের পথে শাস্তির ও উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে না। ভারতবর্ষে র্যাহার শ্রেণী:যুদ্ধ ( class war ), ইচ্ছা পুৰ্ব্বক বা অনভিপ্রেত ভাবে, ঘটাইতেছেন এবং আরও ব্যাপক ভাবে ঘটাইবার আয়োজন করিতেছেন, র্তাহারা কুরুক্ষেত্রের আয়োজন করিতেছেন । আমাদের কথা তাহারা শুনিবেন না জানি, কিন্তু যাহা বলা আমাদের কৰ্ত্তব্য তাহা বলিতেছি । তাহারা অভিজাত ও ধনিকদের প্রতি বিদ্বেষ অপেক্ষ শ্রমিক ও কৃষকদের প্রতি আস্তরিক প্রীতি ও দরদের দ্বারা চালিত হইয়া সামঞ্জস্য ও সদ্ভবের পথ আবিষ্কার করিলে ফল ভাল হইতে পারে। জমিদার ও অন্য ধনিকরা ধনশালিতার দায়িত্ব বুঝুন। তাহারা ধনের মালিক নহেন, আছি মাত্র, এই বিশ্বাসে মানবের কল্যাণার্থ ধনের সদ্ব্যবহার করুন।

লীগ অব নেশ্যন্সের ম্যালেরিয়া উচ্ছেদ প্রচেষ্টা লীগ অব নেগুন্সের অর্থাৎ বিশ্বরাষ্ট্রসংঘের প্রধান উদেশ্ব পৃথিবীতে যুদ্ধ নিবারণ ও জগদ্ব্যাপী শাস্তিস্থাপন । এই উদ্বেগু সিদ্ধ হয় নাই। কিন্তু সংঘ অন্য অনেক ভাল কাজ ও কাজের চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন । তাহার একটির বিস্তুতি নীচে দেওয়া হইল । সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাস্থ্যসমিতি স্থির করিয়াছেন, যে, পৃথিবীতে কুইনিন এবং ম্যালেরিয়া-প্রতিষেধক অন্যান্ত ঔষধের সরবরাহ সম্বন্ধে আলোচনা করিবার জন্য বিভিন্ন রাজসরকারের সহযোগিতায় একটি সম্মেলন আহবান করা প্রয়োজন । সেই হেতু, স্বাস্থ্য-সমিতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মন্ত্রণা-সভাকে অম্বুরোধ করিয়াছেন, উক্ত সম্মেলন আহবানে বিভিন্ন রাজসরকারের সম্মতি আছে কিনা, মন্ত্রণা-সভা যেন তাহা জানিতে চেষ্টা করেন। তবে, ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দের পূৰ্ব্বে উক্ত সম্মেলনের অধিবেশন হওয়া সম্ভব নহে ; কেন না ইঙ্গার সম্যক আয়োজন করিতে যথেষ্ট সময় লাগিবে । উক্ত সম্মেলন বিষয়ে বিভিন্ন রাজসরকার এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদিগের নিকট প্রশ্নপত্র পাঠাইবার প্রস্তাব হইয়াছে । সম্মেলনের কার্য্যসূচী অমুসারে প্রশ্নপত্রে তিনটি আলোচ্য বিষয় থাকিবে । প্রথম আলোচ্য বিষয়-পৃথিবীতে কি পরিমাণ ম্যালেরিয়াপ্রতিষেধক ঔষধের প্রয়োজন ও বর্তমান উৎপাদনের পরিমাণ এবং ভবিষ্যৎ উৎপাদন ও প্রয়োজনের পরিমাণ । এই বিষয়টি দুই ভাগে আলোচনা করা স্থির হইয়াছে : (ক) ম্যালেরিয়াপ্রতিষেধক ঔষধে বর্তমান উৎপাদন ; (খ) ভবিষ্যতে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব কি না ? স্বাস্থ্য-সমিতির মতে, ম্যালেরিয়া-প্রতিষেধক ঔষধাদির উৎপাদন সম্বন্ধে মোটামুটি কিছু নিরূপণ করিবার পূৰ্ব্বে ম্যালেরিয়ার মৃত্যুহার এবং ম্যালেরিয়ায় কত লোক পীড়িত হয়, তাত নির্ণয় করা প্রয়োজন এবং বিভিন্ন দেশীয় সরকারী স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃক এই বিষয়ে তদন্তু অমুষ্ঠিত হওয়া কৰ্ত্তব্য । স্বাস্থ্য-সমিতি আরও বলিয়াছেন, যে-সমস্ত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের ম্যালেরিয়াপীড়িত অধিবাসীরা সাধারণতঃ দরিদ্র, তাহাদিগের পক্ষে ব্যয়সাপেক্ষ ম্যালেরিয়া-নিবারণ-প্রণালীর অনুষ্ঠান না করিয়া, যাহাতে তাহার সহজেই এবং সুলভে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করাইবার সুযোগ পায়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখাই বেশী দরকার । কাৰ্য্যসূচীর দ্বিতীয় আলোচ্য বিষয়--ম্যালেরিয়া-প্রতিষেধক ঔষধ উৎপাদনের ব্যয় এবং বাজার দর। সেই হেতু, (ক) ম্যালেরিয়া-প্রতিষেধক ঔষধাদি উৎপাদন-ব্যয়ের তুলনায় বাজার দর ; (খ) বিভিন্ন রাজসরকার ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলি কি দরে উক্ত ঔবধাদি ক্রয় করিয়া থাকেন ; এবং (গ) ব্যক্তিগত ক্রেতার জঙ্গ খুচরা দর ইত্যাদি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হইবে । তৃতীয় আলোচ্য বিষয়—ম্যালেরিয়া-প্রতিষেধক ঔষধাদি বিতরণের ব্যবস্থা । বৰ্ত্তমানে কি ব্যবস্থায় ঔষধাদি বিতরণ করা হইয়া থাকে এবং ভবিষ্যতে ঔষধ-বিতরণের আরও ভাল ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়েও সমাচার ও প্রস্তাব সংগৃহীত হইবে। _ মাধ্যমিক শিক্ষা বোড বিল যে-সব বিদ্যালয় হইতে ছাত্রছাত্রীরা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেয়, সেগুলিকে উচ্চ বিদ্যালয় বলা হয় । তাহার নিম্নস্থানীয়গুলিকে মধ্যইংরেজী বা মধ্যবাংল। বিদ্যালয় বলা হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষা এখন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। এই পরীক্ষার শিক্ষণীয় বিষয় ও পাঠ্যপুস্তক কলিকার্তা বিশ্ববিদ্যালয় নিৰ্দ্ধারণ করেন । প্রশ্নপত্র-রচয়িতা ও পরীক্ষক-মনোনয়নও বিশ্ব বিদ্যালয় করেন। কোন কোন বিদ্যালয় ছাত্রছাত্ৰাদিগকে