পৌষ বিবিধ প্রসঙ্গ—কলিকাতা মিউনিসিপাল আইন সংশোধক ৰিল 3(చి ধারায় লেখা আছে, ষে, গবক্সেণ্ট যদি মনে করেন, যে, বোড়ের দ্বারা কাজ ঠিক মত হইতেছে না বা মন্দ কিছু হইতেছে, তাহা হইলে সমূদয় সদস্যকে অপস্থত করিয়া র্তাহাজের জায়গায় অন্য সদস্য মনোনয়নের আদেশ কfরবেন। অর্থাৎ গবক্সেণ্ট বোডের ও উচ্চ বিদ্যালয়সমূহের উপর সম্পূর্ণ প্ৰভুৰ করিবেন। নূতন অর্থাৎ ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন-আইন অমুসারে বাংলা-গবন্মে ণ্ট ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাহার কোন অধিকার হইতে বঞ্চিত করিতে পারেন না, আমরা এইরূপ মনে করি । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে আইন কfরবার ও বদলাইবার ক্ষমতা কেবল ভারত-গবন্মেন্টের আছে । বঙ্গের মন্ত্রীরা ইহা বিবেচনা করিয়াছেন কি ? হয়ত তাহারা ভারতশাসন-আইনটারই পরিবর্তন করাইতে পারিবেন ভাবিয়াছেন । দেখা যাক, কি হয় । আমরা সাম্প্রদায়িকতার ভূতাবিষ্ট বোডের বিরোধী, তাহা প্রথমেই বলিয়াছি । কিন্তু যদি সম্প্রদায় অনুসারে শিক্ষাবোডের সদস্যসংখ্যা নিৰ্দ্ধারণ করিতেই হয়, তাহা হইলে ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষাবিষয়ক যোগ্যতা এবং বিদ্যালয়স্থাপনাদি কার্ষ্যে উৎসাহ, দান, ও কৃতিত্বই বিবেচিত হওয়া উচিত, শিশু হইতে বৃদ্ধ পৰ্য্যস্ত নরনারী কোন সম্প্রদায়ে কত আছে, তাহা বিবেচ্য নহে । মনে করুন, দেশে মোট কয়েক হাজার চিকিৎসককে চিকিৎসা করিবার অনুমতি দেওয়া হইবে, এইরূপ একটা আইন হইবে এবং তাহাতে এইরূপ ব্যবস্থা থাকিবে, যে, হাজারে ৫৫০ জন চিকিৎসক হইবে মুসলমান এবং বাকী ১০ জন অন্যান্ত ধৰ্ম্মাবলম্বী। কিন্তু রীতিমত শিক্ষাপ্রাপ্ত হাজারকরা ৫৫০ জন মুসলমান চিকিৎসক না-থাকায় যাহারা চিকিৎসা জানে না, এইরূপ মুসলমান পরিয়া কি কাজে লাগাইতে হইবে ? তাহার ফল যাহা হইবে, তাহা সকলেই অনুমান করিতে পারেন। ফলভোগী মুসলমানেরাও হইবে। সেই রূপ শিক্ষা সঙ্কোচনের কুফল মুসলমানেরাও ভূগিবে। মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে শিক্ষার অবস্থা বঙ্গে কিরূপ, ফুেৰিয়ে কতকগুলি অঙ্ক ভারত-গবন্মে স্টের আইন-সচিবের পহি হইতে দিতেছি। সংখ্যাগুলি শতকরা । Sa-ר:) এবং ৪৭০ জন হিন্দু মেডিক্যাল কার্ষ্যে ব্যাপৃত—মুসলমান ১৭, হিন্দু ৭৯-৭ । মেডিক্যাল শিক্ষালয়ে শিক্ষাধীন—মুসলমান ১২-১, হিন্দু ৮৬২ । লিখনপঠনক্ষম—মুসলমান ৩৩৫, হিন্দু ৬৪২ । ইংরেজী লিখনপঠনক্ষম—মুসলমান ২৪৯, হিন্দু ৬৯৬। উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষাধীন—মুসলমান ১৭৯, হিন্দু ৭৯৩৬ । ইন্টারমাডিয়েট ক্লাসে—মুসলমান ১৩৬, হিন্দু ৮৩৬ । ডিগ্ৰী ক্লাসে—মুসলমান ১৪-২, হিন্দু ৮২.৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ও গবেষণার মুসলমান ১৩, হিন্দু ৮৫-৭ । হিন্দুদের স্থাপিত সংস্ৰাধিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল ধৰ্ম্মের ছাত্রদের জন্য দ্বার অবারিত। মুসলমান ছাত্রেরা ও তাহাতে উপকৃত হইয়াছে। ভবিষ্যতেও সকলে উপকৃত হইতে থাকুক, আমরা ইহাই চাই । যদি বোড গঠন করাই স্থির হয়, তাহা হইলে তাহাকে অসম্প্রদায়িক করিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালমেরই একটি অঙ্গ করা উচিত। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমটি বিলটার আলোচনা করিয়াছেন, তাহাতে ইংরেজ, হিন্দু, মুসলমান ও ব্রাহ্ম ছিলেন। সকলে একমত হইয়া বিলটার প্রতিকূলে রিপোর্ট দিয়াছেন। তাহারা আত্মকর্তৃত্ববিশিষ্ট, অসাম্প্রদাম্বিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বোর্ড চান । কলিকাতা মিউনিসিপাল আইন সংশোধক বিল কলিকাতা মিউনিসিপাল আইন সংশোধনাৰ্থ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার অন্ততম সদস্য বেগম হাশিনী মোর্শেদ একটি বিলের খসড়া প্রস্তুত করিয়াছেন, বা তাহার নামে উহ! প্রচারিত হইয়াছে । উহাতে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের প্রতিনিধির পৃথক নিৰ্ব্বাচনের ব্যবস্থা আছে, মুসলমানদের সংখ্যা বা প্রদত্ত ট্যাক্সের পরিমাণ অনুসারে যাহা প্রাপ্য কেহ মনে করিতে পারে, তদপেক্ষ অধিক প্রতিনিধি তাহাদিগকে দেওয়া হইয়াছে, ইংরেজ বণিকদের প্রতিনিধি ও সরকারী প্রতিনিধি বাড়ান হইয়াছে, মুসলমানদিগকে মিউনিসিপালিটার চাকরির একটা বেশী রকম নির্দিষ্ট অংশ দিবার ব্যবস্থা . আছে—ইত্যাদি । সাম্প্রদায়িকতার বিষ সৰ্ব্বত্র ঢুকাইবার এবং ধোগ্যতমতাকে অধিকারচুতে ও স্থানভ্রষ্ট করিবার চেষ্ট। হইতেছে । ... •
