পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ、2 影 よーブ多 རྩི দেশ-বিদেশের কথা ΣΔΜ3 ミエ考 @ পরলোকগত লর্ড রাদারফোর্ড লড রাদারফোড় গত ত্রিশ বৎসর বিজ্ঞানের একটি বিশেষ অংশে ( রেডিও-একৃটিভিটির ক্ষেত্রে ) অধিনায়কত্ব করিয়া গিয়াছেন । তিনি যখন প্রথম পরমাণুর গঠন সম্বন্ধে টমসন-কল্পিত পূৰ্ব্বপ্রচলিত মতের বিরোধিতা করিলেন তখন সৰ্ব্বপ্রথম বিজ্ঞান-জগৎ তাহার অসামান্য ক্ষমতা অমুভব করিল। এই মতের জন্য তাহাকে অনেকের বিরাগভাজন হইতে হইয়াছিল । তাহার মত অমুসারে, অপুর মধ্যে একটি ধনাত্মক কোষকে কেন্দ্র করিয়৷ ঋণাত্মক বিদ্যুতিনগুলি অবিরাম ঘুরিয়া অপুর বৈদ্যুতিক সাম্য রক্ষা করিতেছে। পরবর্তীকালে বোর (Bolu) অণুর এইরূপ গঠনকে ভিত্তি করিয়ু বিজ্ঞান-জগতে যুগান্তর আমিয়াছিলেন । রাদারফোণ্ডের এই আণবিক চিত্রের ফলে বৈজ্ঞানিকগণ সমস্ত জড়জগৎকে, বিশেষ করিয়ী রসায়নকে একটি নূতন দৃষ্টিতে দেখিতে আরম্ভ করিলেন । লে বে এবং রাদারফোড সৰ্ব্বপ্রথম দেখান লড রাদারফোর্ড

যে রেডিয়ামের স্থায় তেজবিকীরক বস্তু সাধারণত তিন প্রকার রশ্মি নির্গত করে-ক-রশ্মি, খ-রশ্মি এবং গ-রশ্মি । রেডিয়ামকে ভগ্ন করিয়া তিনি দেখাইয়াছিলেন যে ঐ ক-রশ্মি একটি তড়িম্ময় fiftwo-so ( Ionised Helium atom ) । ক-রশ্মির দ্বার রাদারফোডা অঞ্চকোষের ভর (mass ) নির্ণয় করিতে সমর্থ श्झेब्र!ছিলেন । তিনি কয়েকটি বস্তুর অপুকে ভগ্ন করিয়া দেখাইয়াছিলেন যে ইহার ভগ্নাংশ হাইড্রোজেন-অণুর স্তায় একটি কোষ এবং একটি বিদ্যুতিন দ্বারা গঠিত । ১৮৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে নিউজিল্যাণ্ডের অস্তগত নেলসন শহরে রাদারফোর্ড জন্মগ্রহণ করেন। রাদারফোর্ড নিউজিল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এম. এ. এবং বি. এসসি. পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হইয়া কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে যোগদান করেন এবং ক্যাভেণ্ডিশপরীক্ষাগারে গবেষণা করিতে আরম্ভ করেন। কয়েক বৎসরের মধ্যেই তিনি এক জন শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকরূপে পরিচিত হন । বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করিয়া তিনি পূৰ্ব্বেই নানা গবেষণা করিয়াছিলেন, পরে মন্‌টলে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপকৰূপে তেজবিকীরক পদার্থের বিভিন্ন রূপান্তর সম্বন্ধে গবেষণা করেন এবং ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকৰূপে তিনি ঐ সম্বন্ধে আরও গবেষণা করিয়া বিজ্ঞানের ঐ অংশকে অধিকতর উন্নত করেন। তাহার বহু কৃতী এবং প্রতিভাবান ছাত্রদের মধ্যে কয়েক জনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য—যথা ডেন বোৱ, মোসূলে, গাইগার, ডারউইন এবং চ্যাডউইক । ইহার প্রত্যেকেই আধুনিক পদার্থ-বিজ্ঞানের এক একটি স্তম্ভ । ১৯১৪ সালে আৰ্ণেষ্ট রাদারফোড'নাইট উপাধিতে ভূষিত হন এবং ১৯৩১ সালে লণ্ড উপাধি প্রাপ্ত হন । তিনি ইংলণ্ডের ব্যবহারিক বিজ্ঞানের মন্ত্রণাসভার এবং রয়্যাল সোসাইটির সভাপতি ছিলেন । ১৯২৮ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং ঐ বৎসরেই টউরিনের বিজ্ঞান-সমিতির ব্রেস পুরস্কার লাভ করেন । ঐঅশোককুমার বসু