পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যাগ্রহের দার্শনিক ভিত্তি ও কৌশল ঐনিৰ্ম্মলকুমার বস্তু উইলিয়ম জেমস আমেরিকার একজন বিখ্যাত পত্তিত ছিলেন। মাহবে মামুষে যুদ্ধ করে ইহা তিনি ভালবাসিতেন না। যুদ্ধের নানা দোষ, অথচ সংগ্রাম করিলে মানুষের অস্তরে সাহস, দৃঢ়তা, পরস্পরের সহিত সহযোগিতা, নিম্নমামুবৰ্ত্তিত প্রভৃতি কতকগুলি গুণ বৃদ্ধি পায় ইহাও তিনি বুঝিতেন। সেই জন্ত তাহার চেষ্টা ছিল মামুষে মানুষে সংগ্রাম বন্ধ করিয়া এমন কোনও উপায় বাহির করা যাহার স্বারা যুদ্ধের স্বফলগুলি মানুষের অস্তরে ফুটিয়া উঠিবে, অথচ যুদ্ধের ক্ষতি মানবসমাজকে ভোগ করিতে হইবে না। তিনি এ বিষয়ে গভীর চিন্তা করিয়া একটি উপায় নির্দেশ কfরয়া গিয়াছিলেন । তিনি বলিয়াছিলেন, মানবসমাজে সংগ্রাম বন্ধ না করিয়া যদি তাহার মোড় ফিরাইয়া দেওয়া স্বায় এবং মানুষের পরিবর্তে যদি নৈসর্গিক শক্তিপুঞ্জের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালান যায় তাহা হইলে এই স্বফল ফলিতে পারে। একজন মানুষ বা এক দল মানুষ অপর দলের মুঠ হইতে খাদ্যসামগ্রী ছিনাইয়া না লইয়া যদি প্রকৃতি-দেবীর কবল হইতে খাবার ছিনাইয়া লয় তাহা হইলে সব দিক দিয়া মঙ্গল হয়। প্রকৃতি সহজে মানুষকে খাইতে পরিতে দেয় না । ঝড়, বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শীত, গ্রীষ্ম, বনের পশু, কীট, পতঙ্গ, রোগ তাপ সবই মামুষের সহজ মুখের অস্তুরায় । তাহদের সঙ্গে যুঝিয়া মানুষকে বাচিতে হইবে। আগুন, জল, মেঘ, বিদ্যুৎ, স্বর্ঘ্যের কিরণ প্রভৃতির মধ্যে এমন অনেক শক্তি লুকান আছে যাহা আজ আমাদের কোনও কাজে লাগে না । সেগুলিকে বুদ্ধির দ্বারা কাজে লাগাইতে হইবে । উইলিয়ম জেমসের কল্পনা ছিল, যদি এই সংগ্রামের অজুহাতে জগতের সকল মানুষকে একতাবদ্ধ করা যায় তবে ক্ষত্র ধর্মের যে স্থফল ভাহা মানবচরিত্রে বিকশিত হইবে, কিন্তু " মহিষে মাহবে লড়াইয়ের কুফল হইতে সমাজকে আর স্থগিতে হইবে না। উইলিয়ম জেমস ইহাৰে “মর্যাল ইইইভ্যালেন্ট অব ওয়ার” নাম দিয়াছিলেন। উইলিয়ম জেমস ১৯১০ সালে মারা গিয়াছেন। তাহার পর জগতে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়াছে। কিন্তু র্তাহার প্রদর্শিত পথ কেহু গ্রহণ করে নাই, বরং মামুষে মানুষে যুদ্ধ বাড়িয়ছে, যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং জগতে দুঃখের ভার পরিমাণে হস্ত আরও বেশী হইয়াছে। সমগ্র মানবজাতি একতাবদ্ধ হইয়া প্রকৃতির শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করিলে ভাল হইত। কিন্তু সেই একতাবদ্ধ হইবার যে-শিক্ষা তাহ বচনে বা কৰ্ম্মে কেহ মানুষকে শিখাইতেছে না । স্বার্থের দ্বারা অন্ধ হইয় তাহারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়িতেছে এবং যাহার এই স্থযোগে দু-পয়সা কামাইয়া লয় এবং যাহারা জগতের অধিকাংশ রাষ্ট্রকে নিজেদের কবলে রাখিয়াছে তাহারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করিতেছে । ঐক্যের শিক্ষা পাইয় ষাহাতে তাহাদের অন্ধত্ব না ঘোচে সে-বিষয়ে তাহারা তীক্ষ দৃষ্টি রাখিয়াছে। স্বার্থের বশে তাহারা নিজেই যখন অন্ধ তখন অপরের অজৰ তাহার ঘুচাইবে কেমন করিয়া ? ধুতুরার গাছে ধুতুরা ভিন্ন আর কি ফল ফলিতে পারে ? এমন অবস্থায় পড়িলে প্রকৃত সজ্জনের কি করা উচিত ? মানবসমাজ ছাড়িয়া বনে পলাইয়া গেলে ত চলিবে না । বনের মধ্যে একাকী থাকিস্থা মানবের একত্বে বিশ্বাস করিয়া লাভই বা কি ? যে একত্বের বিশ্বাস সংঘাতের মধ্যে, বিরুদ্ধ শক্তির স্বারা বেষ্টিত অবস্থায় জয়যুক্ত হয় না তেমন বিশ্বাসে সমাজের কি উপকার হইতে পারে ? ৰে মাটির পাত্র এমন ইনকা ধে দশ জনের হাতে দিলেই তাহা ভাঙিয়া যায়, তেমন পাত্রে সংসারের কয়জনের তৃষ্ণ নিবারণ করা যাইতে পারে ? তাই সংসারে এমন একটি কৌশলের প্রয়োজন হইয়াছে बांश नडा नऊाहे “भब्राणि श्कूश्छादनप्ले श्रव eघ्नांब्र” अर्षां९ যুদ্ধের নীতিসিদ্ধ কৌশল বলিয়া,গণিত হইতে পারে। যাহা দ্বারা শুধু যে মানুষের অন্তরে ক্ষত্রিধর্মের স্বফল