পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬৪ প্রস্ফুটিত হইবে তাহা নয় কিন্তু মানুষের অস্তরে সমগ্র মানবজাতির একত্বের বোধ ফুটিয়া উঠিবে, অথচ ষে কারণে মানুষ মামুষের সহিত কলহ বা সংগ্রাম করে সে সকল ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ সমস্যারও একটি ভাল সমাধান হইবে। এমন একটি যুদ্ধ-কৌশলের বিশেষ প্রয়োজন হইয়াছে। সত্যাগ্রহ এমনই একটি কৌশল। সভাগৃহ ব্যক্তিগতভাবে জগতের ইতিহাসে কোন কোন মনীষী ব্যবহার করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর পূৰ্ব্বে এত বৃহৎ ক্ষেত্রে তাহা কখনও প্রযুক্ত হয় নাই। প্রায় এক-শ বৎসর আগে হাঙ্গেরিতে অসহযোগ আন্দোলন হইয়াছিল। কিন্তু পুরা সত্যাগ্রহীর মনোভাব লইয়া বোধ হয় তাহা অনুষ্ঠিত হয় নাই । তাহার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়গণের সহিত স্থানীয় রাজশক্তির সংগ্রামে ইহা ব্যবহৃত হয় । ভারতবর্ষে ইহা ১৯১৭ সালে চম্পারণ জেলায় প্রযুক্ত হয়। তাহার পর ১৯১৭-১৮তে খেড়া জেলায়, ১৯১৮তে बांग्भशंसांभ करणब्र भक्षूद्ररमग्न दांब्रां हेंश वादशङ হইয়াছিল। ১৯১৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারিখে গান্ধীজী রাউলট আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ করেন । তাহার পর খিলাফৎ এবং পঞ্জাব-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করিতে করিতে ১লা আগষ্ট ১৯২৭ সালে অসহযোগ আন্দোলন স্বরু হয়। ইহা ১৯২২ সাল পৰ্য্যস্ত চলিয়াছিল। ১৯২৪ সালে ভারতবর্ষের মধ্যে ডাইকম ও অমৃতসরে ধৰ্ম্ম সংস্কারের চেষ্টায় সত্যাগ্ৰহ অমুস্থত হইয়াছিল। তাহার পর ১৯২৮ সালে গুজরাটে বারদোলিতে ব্যাপকভাবে চাষীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্ত ইহা প্রযুক্ত হইয়াছিল। অবশেষে ১৯৩১-৩৩এর আইন-অমাপ্ত আন্দোলনের সময়ে ইহা পুনরায় সারা ভারতবর্ধময় ছড়াইয়া পড়ে। ১৯১৭ এবং ১৯২৮ এর আন্দোলনে সত্যাগ্রহীগণ পুরাপুরি জয়লাভ করিয়াছিলেন, কিন্তু ১৯০৬-১৩, ১৯২০২২, ১৯২৪ এবং ১৯৩১-৩৩ এর সংগ্রামে সত্যাগ্রহ সম্পূর্ণ সফল হয় নাই। তাহ সূত্বেও সত্যাগ্রহের দ্বারা ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে চরিত্রগত এত বেশী পরিবর্তন ঘটিয়াছে, তাহারা পূৰ্ব্বাপেক্ষ এত অধিক সচেতন, সাহসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হুইয়াছে যে দেশ এখন পৰ্য্যন্ত স্বাধীনতা লাভ করিতে প্রবাসী ১৩৪৪ না পারিলেও ভবিষ্যতের জন্ত ষে কতকাংশে তৈয়ারী হইয়াছে ইহা কেহ অস্বীকার করে না । সেই সত্যাগ্রহের কৌশল আমাদের ভাল করিয়া শিখিভে হইবে। যে যুদ্ধের অস্ত্র ভারতবাসীরা আজ হাতে ধরিয়াছে তাহার ব্যবহার যদি ভাল করিয়া জানা না থাকে তবে স্বফল অপেক্ষা ফুফলই বেশী হইবার সম্ভাবনা, এবং হয়ত যুদ্ধের षांब्रां धडकै जांड चांभांरभद्र भ१&श् कद्रा छेऽिङ श्रख्ञांटमद्भ বশে আমরা তাহ হইতে বঞ্চিত হইব, সে ফল সম্যকৃভাবে সঞ্চয় কুরিতে পারিব না । সত্যাগ্রহের প্রথম নিয়ম হইল প্রেম বা অহিংসা । আমাদের বুঝিতে হইবে ষে মানুষ যদিও ভিন্ন ভিন্ন দেশে বাস করে, ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, নিজের স্বার্থকে সমগ্র মানবজাতির স্বার্থ হইতে পৃথক করিয়া দেখে, তাহা আসলে ভুল দৃষ্টির বশে করে। এই জ্ঞান সত্যাগ্রহীর সমস্ত চেষ্টার মূলে থাকা চাই। ইহাতে বিশ্বাস হয়ত গোড়া হইতেই হইবে না, কিন্তু অন্তরে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ প্রেম এবং স্বার্থহীনতা বজায় রাখিয়া অগ্রসর হইলে প্রেমের পরিমাণও সভ্যাগ্রহীর অস্তরে বাড়িতে থাকিবে, অবশেষে সমগ্র মানবের স্বার্থ যে শেষ পৰ্য্যস্ত এক এই ধারণাও গভীরভাবে তাহার হৃদয়ে অঙ্কিত হুইবে । এই ধারণাটি সভাগ্রহীর পক্ষে ধারমোমিটারের মত । সত্যাগ্রহ যুদ্ধের মধ্যে যদি তিনি দেখেন, যুদ্ধ অবিরাম চালাইয়াও মানবের প্রতি প্রেম র্তাহার কমিতেছে না বরং বাড়িতেছে তবে তিনি ঠিক পথে চলিয়াছেন । আর যদি তাহার প্রেম কমে বা মামুষে মামুষে ভেদের বোধ বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ তাহার ধারমোমিটারের অঙ্ক নীচের দিকে নামিতে থাকে, তবে তাহাকে বুঝিতে হইবে ষে তাহার সত্যাগ্রহে কোথাও না কোথাও ভুল হইয়াছে। মানুষের ঐক্যে বিশ্বাস সত্যাগ্রহের ভিত্তি এবং সেই তত্বের সম্যক উপলব্ধি এক হিসাবে সত্যাগ্রহীর লক্ষ্যও বটে। সত্যাগ্রহের দ্বিতীয় বিশ্বাস হইল এই ষে মানুষ ও তাহার নিৰ্ম্মিত প্রতিষ্ঠান এক নহে। মানুষকে তাহার নিৰ্ম্মিত প্রতিষ্ঠান হইতে পৃথক করিা দেখিতে হইবে। ষে ইংরেজ আজ জগতে সব চেয়ে বড় সাম্রাজ্য গঠন করিয়াছে তাহার সাম্রাজ্যবাদ যতই অনিষ্টকর, যতই হীন হউক না কেন, সেই ইংরেজ জাতিকে তাহার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান হইতে জালধি