পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ মাটির বাস। ՑՊՖ পাইলেন না ? ক্ষোভে, রোবে মৃণালের দুই চোখ জলে ভরিয়া উঠিল। বাবা এবারে জাসিন্ধা দেখি তাহার ঘোরতর অপকারই করিয়া গেলেন । ছুটির দিনকয়টা ত দেখিতে দেখিতে ফুরাইয়া গেল। দুই-তিন দিন পরেই মৃণাল কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবে । এবার মনের দুঃখ তাহার ষেন দ্বিগুণ হইয়া পাষাণ-ভারের মত বুকের উপর চাপিয়া বসিয়া আছে। কলিকাতা বাস শেষ হইয়া যাইবে সে জঙ্ক ত দুঃখ নাই, এই বৃহৎ কারাগার হইতে মুক্তি পাইলেই সে বাচিয়া যায়, কিন্তু চিরদিনের মত অঙ্ক এক নাগপাশ-বন্ধনে না বাধা পড়ে এই ভয় অহৰ্নিশি তাহাকে অভিভূত করিয়া রাখিয়াছে। তাহার ব্যথার ব্যর্থী হইতে পারে এমন একটা মানুষও সে দেখিতে পায় না। বেলা নয়টা-দশটার সময় সে চিনি-টিনিকে লইয়া পুকুরঘাটে স্বান করাইতে গিয়াছে। নিজে সে হয় ঘরে তোলা জলে স্নান করে, না-হয় শীতের তীব্র দংশন উপেক্ষা করিয়া ভোর বেলায় ঘাটে গিয়া স্বান করিয়া আসে । হাজার লোকের চোখের উপর স্বান করিতে সে পারে না, দশ বৎসর কলিকাতাবাসের ফলে তাহার এই অবনতিটুকু বটিয়াছে। পাড়ার লোকে ইহা লইয়ু হাসহাসি করিতেও ত ছাড়ে না । ঘাটে তখন অনেকগুলি মেয়ে। কেহ বা স্বান করিতেছে, কেহ কাপড় কাচিতেছে, কেহ জলে তখনও নামে নাই, উপরে দাড়াইয়া সখীদের সঙ্গে গল্প করিতেছে। বাতাসের তীব্রতা যেন শাণিত বর্শাফলকের মত দেহের এপিঠ ও-পিঠ ফুড়িয়া বাহির হইয়া ধাইতেছে। তবু এই নারীবাহিনীর অধিকাংশেরই অঙ্গে একের অধিক দ্বিতীয় কোন বস্ত্র নাই । শাড়ীর আঁচলখনি গান্ত্রে দুই পাক করিয়া জড়াইয় তাহার নিশ্চিন্তু । একটি তরুণী বধু মৃণালের গরম জামার আস্তিনটায় এক টান দিয়া বলিল, “বাব, কত জামাজুমিই ষে তোর পরতে পারিস, হাত পা চলে কি ক'রে ?” মৃণাল বলিল, “কেন গো, জামাটা কি লোহার ? হাত ‘ চলবে না কেন ? তুমি যে কহুই অবধি চুক্তি বাল দিয়ে ভৰ্ত্তি করেছ, তা তোমার কি হাত চলছে না ?” বউটর ননদ এতক্ষণ দুটের ছাই দিয়া মাত মাজিতে ছিল, সে একবার ফুলকুচে করিয়া জল ফেলিয়া বলিল, “ঐ ত, লিখিপড়িদের সঙ্গে কথায় পারবার জোট নেই। এক কথার উপর দশ কথা বলবে । আচ্ছ, এর পর দেখব লো, কত জামাজোড়া পরিস।” মৃণাল বলিল, “তা দেখো এখন, চিরকালই পরব।" “হ্যা পরতে আর হয় না, এর পর বুক অবধি ঘোমটা টেনে চলতে হবে।" বলিয়া আর একটি বউ খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। মৃণাল মনে মুনে একেবারে জলিয়া গেল। সব ফুলেই কাটা আছে, কোন-ন-কোন সময় তাহ ফুটিবেই হাতে। তাহার এই স্বন্দর শান্ত পল্পীজীবনটির ভিতরও কাটা ७३षाप्न, ७३ भूर्भुङ, dहे cशैफ़ॉभि, ७३ अछडॉ। কিছুদূরে একটি প্রৌঢ়া রমণী বসিয়া একরাশ পূজার বাসন ধুইতেছিলেন। তাহার কাছে গিয়া একটি মেয়ে জিজ্ঞাসা করিল, “ই্যা মামীম, তোমাদের বড় বউ ঘোমটা দেয় না গা ?” প্রৌঢ় ভারি গলায় বলিলেন, “ঘোমটা দেবে না কেন # ? ७ कि *ङ्रब्र दिवि, माँ ८वन्प्रख्ञांनौ ? चांभांtश्द्र चट्ब्र ও সব থিরিষ্টানী চালচলন কেউ হ’তে দেয় না । ছেলেমেয়েদেরও সে শিক্ষা নেই।” টিনি-চিনিকে এক ই্যাচকায় জল হইতে তুলিয়া মৃণাল তাড়াতাড়ি তাহাজের মাধ-গ। মুছিয়া দিতে লাগিল। তাহার পর তাহাদের ভিজা কাপড় ছাড়াইয়া, গায়ে ছোট ब्रrांशांद्र कुशेफ़ि छज्जाहेब ब्रि, इन् इन् कब्रिश घा? शक्लिब চলিয়া গেল। চিনি-টিনিও দিদির পিছন পিছন দৌড়িয়া চলিল । ধে বউটি প্রখম মৃণালের সঙ্গে কথা আরম্ভ করিয়াছিল সে বলিল, “দেখেছ মেয়ের দেমাক, মাটিতে পা পড়ে না যেন। দুখান বই পড়েছে কিনা, তাই মুখ্য মানষের সঙ্গে কথা কইতেও ওর ঘেন্না ধরে।” তাহার ননদ বলিল, "রেখে দে লো, অমন দেমাক ঢের দেখেছি। কুড়ি বছর বয়স হ’ল, এখনও খুবড়ি হয়ে ব’লে আছে, তার আবার দেমাক । মামী-মাগীর গলা দিয়ে ভাত স্বায় কি ক'রে তাই ভাবি।" . মৃণালকে আধঘণ্টার মধ্যেই ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া