পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক ঐবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় s খুব জ্যোংস্ক, তেমনি হাড়ভাঙা শীত। পৌষ মাসের শেষ। সদর কাছারি হইতে লব টুলিয়ার ডিহি কাছারিতে তদারক করিতে গিয়াছি। লব টুলিয়ার কাছারিতে রাত্রে রায় শেষ হইয়া সকলের আহারাদি হইতে রাত এগারটা বাজিয়া ধাইত। এক দিন খাওয়া শেষ করিয়া রায়াধর হইতে বাহিরে আসিয়া দেখি তত রাত্রে আর সেই কনকনে হিমবধী আকাশের তলায় কে একটি মেয়ে ফুটফুটে জ্যোৎস্নায়ু কাছারির কম্পাউণ্ডের সীমানায় দাড়াইয়া আছে। পাটোয়ারীকে জিজ্ঞাস করিলাম-ওখানে কে দাড়িয়ে ? পাটোয়ারী বলিল—ও কুস্তা। আপনার আসবার কথা শুনে আমায় কাল বলছিল—ম্যানেজার বাৰু আসবেন, র্তার পাতের ভাত আমি গিয়ে নিয়ে আসবে। আমার ছেলেপুলের বড় কষ্ট। তাই বলেছিলাম-ধাস । কথা বলিতেছি এমন সময় কাছারির টহলদার বলোয় আমার পাতের ডালমাখা ভাত, ভাঙা মাছের টুকুর, পাতের গোড়ায় ফেলা তরকারি ও ভাত, ভূধের বাটির ভূক্তবিশিষ্ট দুধ-ভাত-সব লইয়া গিয়া মেয়েটির আনীত একটা পেতলের কানাউচু থালায় ঢালিয়া দিল। মেয়েট চলিয়া গেল । আট দশ দিন সেবার লবটুলিয়া কাছারিতে ছিলাম, প্রতি রাত্রে দেখিতাম ইধারার পাড়ে সেই মেয়েটি আমার পাতের ভাতের জন্ত সেই গভীর রাত্রে আর সেই ভয়ানক नेरङब्र मtश दाश्रिद्र उधू चेळ्नि भारब बिब शेफ़ादेश আছে। প্রতিদিন দেখিতে দেখিতে একদিন কৌতুহলবশে পাটোয়ারীকে জিজ্ঞাসা করিলাম-কুম্ভ ধে রোজ ভাত নিয়ে যায়, ও কে, আর এই জঙ্গলে থাকেই বা কোথায় ? দিনে ত কখনও দেখি নে ওকে । পাটোয়ারী বলিল-বলছি হুজুর। ঘরের মধ্যে সন্ধ্যা হইতে কাঠের গুড়ি জালাইয় গনগনে আগুন করা হইয়াছে—তারই ধারে চেয়ার পাতিয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া বসিয়া কিস্তীর আদায়ী হিসাব মিলাইতেছিলাম । আহারাদি শেষ করিয়া আসিয়া মনে হইল এক দিনের পক্ষে কাজ যথেষ্টই করিয়াছি। কাগজপত্র গুটাইয়া পাটোয়ারীর গল্প শুনিতে প্রস্তুত হইলাম। —গুম্বন ছদুর, বছর-দশেক আগে এ অঞ্চলে দেবী সিং রাজপুতের বড় রবরব ছিল। তার ভয়ে ধত গাজোতার জার চাষী ও চরির প্রজা জুজু হয়ে থাকৃত। দেবী সিংয়ের ব্যবসা ছিল খুব চড়া স্থদে টাকা ধার দেওয়া এই সব লোককে—আর তার পর লাঠিবাজি ক'রে স্বদ ও আসল টাকা আদায় করা। তার ভাবে আট ন-জন লাঠিয়াল পাইকই ছিল। এখন যেমন রাসবিহারী সিং রাজপুত এ-অঞ্চলের মহাজন, তখন ছিল দেবী সিং । দেবী সিং জৌনপুর জেলা থেকে এসে পূর্ণিয়ায় বাস করে। তার পর টাকা ধার দিয়ে আর জোর-জবরদস্তি করে এ দেশের যত ভীতু গাঙ্গোত প্রজাদের হাতের মুঠোয় পুরে ফেললে। এখানে আসবার বছর-কয়েক পরে সে কাশ যায় এবং সেখানে এক বাইজীর বাড়ী গান গুনতে গিয়ে তার চৌদ্ধ-পনর বছরের মেয়ের সঙ্গে দেবী সিয়ের খুব ভাব হয় । তার পর তাকে নিয়ে দেবী সিং পালিয়ে এখানে আসে। দেবী লিংয়ের বয়েস তখন সাতাশ-আটাশ হবে । এখানে এসে দেবী সিং তাকে বিয়ে করে। কিন্তু বাইজীর মেয়ে ব’লে সবাই যখন জেনে ফেললে, তখন দেবী সিংয়ের निरछब्र छांख्छांदे ब्रांछशूडब्बा ७ब्र मtव थांeध-मांeञ्च वर्ष ক'রে ওকে একঘরে করলে। পয়সার জোরে দেবী সিং সে সব গ্রাহ করত না। তার পর বাবুগিরি আর অযথা ব্যয় করে এবং এই রাসবিহার লিংয়ের সঙ্গে মকদম করতে গিয়ে দেবী সিং সৰ্ব্বস্বাস্ত হয়ে গেল। আজ বছরচারেক হ’ল সে মারা গিয়েছে।