পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ অণরণ্যক "כ3 ঐ কুম্বাই দেবী সিং রাজপুতের সেই বিধবা স্ত্রী। এক সময়ে ও লং টুলিয়া থেকে কিংখাবের ঝালর-দেওয়া পালকি চেপে কুশী ও কলবলিয়ার সঙ্গমে স্নান করতে যেত, বিকানীর মিছরী খেয়ে জল খেত—জাজ ওর ওই দুর্দশ । আরও भृश्नि ७३ ८ष दहेिछौब्र cभtब्र गवाहे छांटन द'tण eब्र এখানে জাত নেই, তা কি ওর স্বামীর আত্মীয়বন্ধু রাজপুতদের মধ্যে, কি দেশওয়ালী গাঙ্গোতাদের মধ্যে। ক্ষেত থেকে গম কাটা হয়ে গেলে যে গমের গুড়ো শীষ পড়ে থাকে, তাই টুকুরি করে ক্ষেতে ক্ষেতে বেড়িয়ে কুড়িয়ে এনে বছরে দু-এক মাস ওর ছোট ছোট ছেলেমেয়েজের আধপেট খাইয়ে রাখে। কিন্তু কখনও হাত পেতে ভিক্ষে করতে ওকে দেখি নি হুজুর । আপনি এসেছেন জমিদারের ম্যানেজার, রাজার সমান, আপনার এখানে প্রসাদ পেলে ওর তাতে অপমান নেই। বলিলাম—ওর মা সেই বাইজী, ওর খোজ করে নি তার পর কখনো ? পাটোয়ারী বলিল—দেখি নি ত কখনও হুজুর। কুস্তাও কখনও মায়ের খোজ করে নি। ওই দুঃখ-খান্দা ক’রে ছেলেপুলেকে খাওয়াচ্ছে। এখন ওকে কি দেখছেন, ওর এক সময় যা রূপ ছিল, এ-অঞ্চলে সে রকম কখনও কেউ দেখে নি। এখন বয়েসও হয়েছে, আর বিধবা হওয়ার পরে দুঃখে কষ্টে সে চেহারার কিছুই নেই। বড় ভাল জার বড় শাস্ত মেয়ে ফুস্তা। কিন্তু এদেশে ওকে কেউ দেখতে পারে না, সবাই নাক সিটকে থাকে, নীচু চোখে দেখে, বোধ হয় বাইজীর মেয়ে ব’লে । বলিলাম—তা বুঝলাম, কিন্তু এই রাত বারোটার সময় এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ও এক লক্ট্রলিয়া বস্তিতে যাবে—সে ত এখান থেকে প্রায় তিন পোয় পথ ? —ওর কি ভয় করলে চলে হুজুর ? এই জঙ্গলে হরবখত শুকে একল ফিরতে হয় । নইলে কে আছে ওর, ষে চালাবে ? তখন ছিল পৌষ মাস, পৌষ-কিস্তির তাগাদ শেষ করিয়াই চলিয়া আসিলাম। মাৰ মাসের মাঝামাঝি জার **वाब ५कÉ क्रूज छब्रि भशंण हेछांब्रkक्विांद्र फेरकाश শবটুলিয়া যাওয়ার প্রয়োজন হইয়াছিল। তখনও শীত কিছুমাত্র কমে নাই, তার উপরে সারাদিন পশ্চিমা বাতাস বহিবার ফলে প্রত্যহ সন্ধ্যার পরে শীত দ্বিগুণ বাড়িতে লাগিল ৷ এক দিন মহালের উত্তর সীমানায় বেড়াইতে বেড়াইতে কাছারি হইতে অনেক দূর গিয়া পড়িয়াছি—সেদিকটাতে বহুদূর পর্ষাভ শুধু কুলগাছের জঙ্গল। এই সব জঙ্গল জমা লইয়া ছাপরা ও মজঃফরপুর জেলার কলোয়ার-জাতীয় লোকে লাক্ষার চাষ করিয়া বিস্তুর পয়সা উপার্জন করে । কুলের জঙ্গলের মধ্যে প্রায় পথ জুলিবার উপক্রম করিয়াছি, এমন সময় হঠাৎ একটা নারীকণ্ঠে আৰ্ত্ত ক্ৰেন্দনের শব্দ, পালক-বালিকার গলার চীৎকার ও কাল্প এবং কর্কশ পুরুষ কণ্ঠে গালিগালাজ শুনিতে পাইলাম । কিছু দূর অগ্রসর হইয়া, দেখি একটি কে মেয়েকে লাক্ষার ইজারাদারের চাকরেরা চুলের মুঠি ধরিয়া টানিয়া লইয় জালিতেছে। মেয়েটির পরনে ছিন্ন মলিন বস্ত্র, সঙ্গে দু-তিনটি ছোট ছোট রোরুদ্যমান বালক-বালিকা, দু-জন ছন্ত্রি চাকরের মধ্যে এক জনের হাতে একটা ছোট ঝুড়িতে আধঝুড়ি পাকা কুল । আমাকে দেখিয়া ছত্রি দু-জন উৎসাহ পাইয়া যাহা বলিল তাহার অর্থ এই যে তাহাদের ইজার+করা জঙ্গলে এই গাঙ্গোতীন চুরি করিয়া কুল পাড়িতেছিল বলিয়া তাহাকে কাছারিতে পাটোয়ারীর কাছে বিচারার্থ ধরিয়া লইয়া যাইতেছে, হুজুর আসিয়া পড়িয়াছেন, ভালই হইয়াছে। ●धषरभट्टे ५भक मिश्वां ८भरघ्नन्ट्रिक ऊांशंरषद्ध शङ श्रड ছাড়াইলাম। মেয়েটি তখন ভয়ে ও লঙ্গয় জড়সড় হইয়া একটি ফুলঝোপের আড়ালে গিয়া দাড়াইয়াছে। তাহার দুর্দশা দেখিয়া এত কষ্ট হইল । ইজারাদারের লোকেরা কি সহজে ছাড়িতে চায় ? তাহাজের বুঝাইলাম—বাপু, গরীব মেয়েমানুষ যদি ওর ছেলেপুলেকে খাওয়াইবার জন্য আধঝুড়ি টক্‌ কুল পাড়িয়াই থাকে, তাতে তোমাদের লাক্ষাচাষের বিশেষ কি ক্ষতিটা হইয়াছে, উহাকে বাড়ী যাইতে দাও। এক জন বলিল—জানেন ন হুজুর, ওর নাম কুস্তা, এই লব টুলিয়াতে ওর বাড়ী, ওর অভ্যেস চুরি করে কুল পাড়া। আরও একবার আর বছর হাতে হাতে ধরেছিলাম—ওকে এবার শিক্ষা না দিয়ে দিলে— প্রায় চমকিয়া উঠিলাম , কুন্তা 1 তাহাকে ত চিনি