পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Фоо প্রবাসী 仓\°$8 ঝরণা ? আমার কৌতুহল হইল। ঝরণা কোথায় ? শুনি নাই ত এখানে বরণ অাছে ! উহার বলিল-ঝরণা না হজুর, উমুই। পাথরের গর্ভে একটু একটু করে জল জমে, এক ঘন্টায় আধ সের জল হয়, খুব সাফ পানি, ঠাণ্ডাও বহুৎ । জায়গাটা দেখিতে গেলাম। কি স্বন্দর ঠাও বনবীথি ! পরীরা বোধ হয় এই নির্জন অরণ্যে শিলাতলে শরৎ বসস্তের দিনে কি গভীর নিশীথ রাত্রে জলকেলি করিতে নামে । বনের খুব ঘন অংশে বড় বড় পিয়াল ও কেঁদের ডালপালাদিয়া-ঘেরা একটা নামাল জায়গা, তলাটা কালে পাথরের ; একখানা খুব বড় প্রস্তুর-বেদী যেন কালে ক্ষয় পাইয়া টেকির গড়ের মত হইয়া গিয়াছে। যেন খুব একটা বড় প্রাকৃতিক পাথরের খোরা । তার উপর সপুষ্প পিয়াল শাখা ঝুপসি হইয়া পড়িয়া ঘন ছায়ার স্থষ্টি করিয়াছে। পিয়াল ও শাল মঞ্জরীর স্বগন্ধ বনের ছায়ায় তুরতুর করিতেছে। পাথরের খোলে বিন্দু বিন্দু জল জমিতেছে, এইমাত্র জল তুলিয়া লইয়া গিয়াছে, এখনও আৰ ছটাক জলও জমে नांदे । উহারা বলিল—এ ঝরণার কথা অনেকে জানে না হুজুর, আমরা বনে জঙ্গলে হরবখত বেড়াই, আমরা জানি । আরও মাইল-পাচেক গিয়া কারো নদী পড়িল, খুব উচু বালির পাড় দু-ধারে, অনেকটা খাড়া নীচু নামিয়া গেলে তবে নদীর খাত, বর্তমানে খুব সামান্তই জল আছে, দু-পারে অনেক দূর পর্যন্ত বালুকাময় তীর ধূ-ধূ করিতেছে। ফেন পাহাড় হইতে নামিতেছি মনে হইল। ঘোড়া জল পার झहेब यांहे८ङ बाहेरङ ५ीक छांच्चत्रांम्र cचांज्रांब्र जिन পৰ্যন্ত জাসিয়া ঠেকিল, রেষাবলম্বন্ধ পা মুড়িয়া অতি সন্তপণে পার হইলাম। ওপারে ফুটভ রক্তপলাশের বন, উচু নীচু রাঙা ডাঙ, শিলাখণ্ড, আর শুধুই পলাশ, আর পলাশ, সৰ্ব্বত্র পলাশ ফুলের মেলা। একবার দূরে একটা বুনো মহিবকে ধাতুপ, ফুলের বন হইতে বাহির হইতে দেখিলাম—সেটা পথের উপর দাড়াইয়া পায়ের খুৱ দিয়া মাটি খুঁড়িতে লাগিল। ঘোড়ার মুখের লাগাম কসিয়া খম্কিয় দাড়াইলাম, ত্রিসীমানায় কোথাও जनभानव नाहे, शनि नि६ भांठिब फॉफी कब्रिग्रां चांटन ? কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় সেটা জাবার পথের পাশের বনের মধ্যে চুকিয়া অদৃগু হইয়া গেল । r নদী ছাড়াইয়া আরও কিছু দূর গিয়া পথের দৃপ্ত কি চমৎকার । তবুও ত ঠিক-দুপুর বা বা করিতেছে, অপরাহ্লের ছায়া নাই, রাত্রির জ্যোৎস্নালোক নাই—কিন্তু সেই নিস্তত্ত্ব খররৌদ্র মধ্যাহ্নে বঁ-দিকের বনাবৃত দীর্ঘ শৈলমাল, দক্ষিণে লৌহগ্ৰস্তর ও পাইয়োরাইট ছড়ানো উচুনীচু জমিতে শুধুই শুভ্র কাওগোলগোলি ফুলের গাছ ও রাঙা ধাতুপ, ফুলের জঙ্গল। সেই জায়গাটা সত্যিই একেবারে অদ্ভূত, অমন রুক্ষ অথচ সুন্দর, পুষ্পাকীর্ণ অথচ উজ্জাম ও অতি মাত্রায় বন্য ভূমিত্ৰ দেখিই নাই কখনও জীবনে। আর তার উপর ঠিক-দুপুরের সেই খ খ রৌদ্র । মাথার উপরের আকাশ কি ঘন নীল | আকাশে কোথাও একটা পার্থী নাই, শূন্ত–মাটিতে বস্ত প্রকৃতির বুকে কোথাও একটা মানুষ বা জীবজন্তু নাই—নিঃশব্দ, ভয়ানক নিরালা । চারি দিকে চাহিয়া প্রকৃতির এই বিজন রূপলীলার মধ্যে ডুবিয়া গেলাম —ভারতবর্ষে এমন জায়গা আছে জানিতাম না ত ? এ যেন ফিলমে দেখা দক্ষিণ-আমেরিকার আরিজোনা বা নাভাজো মরুভূমি কিংবা হডসনের পুস্তকে বণিত গিলা নদীর অববাহিকা-অঞ্চল । মেলায় পৌছিতে বেলা একটা বাজিয়া গেল। প্রকাও মেলা, যে দীর্ঘ শৈলশ্রেণী পথের ব-ধারে জামার সঙ্গে সঙ্গে ক্রোশ-তিনেক ধরিয়া চলিয়া আসিতেছিল, তারই সৰ্ব্বদক্ষিণ প্রান্তে ছোট্ট একটা গ্রামের মাঠে, পাহাড়ের ঢালুতে, চারি দিকে শাল পলাশের বনের মধ্যে এই মেলা বসিয়াছে । মহিবারডি, কড়ারী তিনটাঙা, লছমনিয়াটোলা, ভীমদাস টােল, মহালীমারুপ প্রভৃতি দুরের নিবটের নানা স্থান হইতে লোকজন প্রধানতঃ মেয়ের আসিয়াছে । তরুণী বন্ত মেয়ের জাসিয়াছে চুলে পিয়াল ফুল কি রাঙা ধাতুপ, ফুল গুজিয়, কারো কারো মাথায় বাকী খোপায় কাঠের চিরুণী আটকানো, বেশ স্থঠাম, স্কুললিত, লাবণ্যভরা দেহের গঠন প্রায় অনেক মেয়েরই—তারা আমোদ করিয়া খেলো পুতির দানার মালা, সন্তা জাপানী স্কি জাৰ্ম্মানীর সাবানের বাক্স, বাশি, আয়ন, অতি বাজে এসেঙ্গ কিনিতেছে, পুরুষেরা এক পয়সায় দশটা কালী সিগারেট কিনিতেছে, ছেলেমেয়েরা তিলুয়া, রেউড়ি,