পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ মরু ও সঙঘ (SS চুম্বন করিতে করিতে অবশেষে যেন নিজের দুৰ্জয় জাবেগের নিকট পরাজিত হইয়া শিথিল দেহে অবনত মুখে বালুর উপর বসিয়া পড়িল । শ্রান্ত ঝড়ের অবসয় আক্ষেপের মত তাহার বক্ষ হইতে এক প্রকার অবরুদ্ধ আৰ্ত্তশ্বাস বাহির হইতে লাগিল । নির্বাণও জামু মুড়িয়া তাহার পাশে বসিয়া পড়িল । অকস্মাৎ এ কি হইয়া গেল। এই অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব অচিন্তনীয় আবির্ভাবের সম্মুখে উভয়ে যেন বিমূঢ় হইয়া রহিল। বহুক্ষণ দুই জনে এই ভাবে অগ্নিবী আকাশের তলে বসিয়া রহিল। তার পর শুষ্ক তপ্ত চক্ষু তুলিয়া দিগন্ধের পানে চাহিল । শুামল উপবন তখন অদৃগু হইয়াছে। অফ ট স্বরে নিৰ্ব্বাণ বলিল, মরীচিকা।’ সেই দিন হইতে নিৰ্ব্বাণের সহিত ইতির সহজ সরল সখের অবসান হইল ; নিৰ্ব্বাণ যেন ইতিকে ভয় করিয়া চলিতে আরম্ভ করিল। তাহাকে দূর হইতে দেখিয়া সে সঙ্কুচিত হইয়া উঠে ; তাহার সহিত কথা বলিতে রসনা জড়িত হয়, মুখ উত্তপ্ত হইয়া উঠে ; অথচ অস্তরের অস্তস্তল হইতে একটা জুনিবার আকর্ষণ তাহাকে ইতির দিকে টানিতে থাকে। ইতির তপ্ত কোমল অধর স্পর্শের স্থতি মাদক স্বরার মত তাহার চিত্তকে বিশৃঙ্খল করিয়া তোলে। সে এই সৰ্ব্বগ্রাসী মোহের আক্রমণ হইতে দূরে নির্জনে পলায়ন করিতে চায়। ইতির মনোভাব কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। এত দিন সে নিৰ্ব্বাণের খেলার সাথী• ছিল, অম্বুজা সখী ছিল, জাজ বিপুল নারীত্বের সঙ্গে সঙ্গে সে নিৰ্ব্বণিকেও যেন সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাবে পাইয়াছে। নিৰ্ব্বাণ তাহারই, আর কাহারও নয়,— নিজ অধর, দেহ, নারীত্বের নিক্ষয়ে সে নিৰ্ব্বাণকে আপন করিয়া লইয়াছে। এই চূড়ান্ত দাবির কাছে পৃথিবীর অন্ত সমস্ত দাবি মাথা নীচু করিয়া থাকিবে। তাহার আচরণে, এমন কি চাহনিতে ও দেহভঙ্গিমায় এই অবিসম্বাণী অধিকারের গৰ্ব্ব পরিস্ফুট হইয়া উঠিতে লাগিল। নারী ও পুরুষের প্রভেদ বোধ করি এইখানে । ইহাঙ্গের অন্তরের এই বিপ্লব অন্ত দুই জনের কাছেও গোপন রহিল না । মনুষ্য-সমাজে যাহা লঙ্গা নামে প্রচলিত তাহা ইতি কোনও দিন শিখে নাই,তাই তাহার মনের কথাটি কুণ্ঠাহীন আলজ্জিত আনন্দে প্রকাশ পাইল । পিথুমিত্ত ও উচণ্ড সব দেখিলেন, সব বুঝিলেন। স্থবিরের বর্ণহীন ছু করশায় নিষিক্ত হইয়া উঠিল, এত দিন ধাহা আশঙ্কিত गै४ीबना श्नि, चाण उॉश नउ श्हेब ७ीशग्रु । शब তথাগত, সঙ্ঘের বৈরাগ্যভন্মের মাঝখানে এ কোন ভঙ্গুর হুকুমার পুপ ফুটাইয়া তুলিলে । ভিক্ষু উচণ্ডের কঠোর गणittं नििखं वॆीक्षिङ्ग चक्रुब्रि भूड्डि श्ङेंझ। ७ळैण । डिनि অন্তরমধ্যে গর্জন করিতে লাগিলেন—“মার প্রবেশ করিয়াছে! সত্তেঘ মার প্রবেশ করিয়াছে।’ প্রথম দিন হইতেই ক্ষুদ্র মানবিক ইতির প্রতি ভিক্ষু উচণ্ডের মনে একটা বিমুখত জন্সিয়াছিল। ভিক্ষুর মনে ভেদজ্ঞান থাকিতে নাই ; কিন্তু ভিক্ষু উচও নিৰ্ব্বাণকে কাছে টানিয়া লইলেন, ইতিকে দূরে দূরে রাখিলেন। নিৰ্ব্বাণ ধৰ্ম্ম-বিনয়ে শিক্ষা পাইতে লাগিল, ইতি মরুবিহারিণী প্রকৃতিকস্ত হইয়া রহিল। ইতির দেহে যখন প্রখম যৌবন-লক্ষণ প্রকাশ পাইল, সৰ্ব্বাগ্রে উচওই তাহা লক্ষ্য করিলেন। র্তাহার বিমূর্খতা গভীর আক্ৰোশে পরিণত হইল ; ভিক্ষুর নিপীড়িত ব্যর্থ যৌবন যেন ইতির মূৰ্ত্তি ধরিয়া নিরস্তুর র্তাহাকে কশাঘাত করিতে লাগিল। জর্জরিত উচণ্ডের মস্তিষ্কে সঙ্গীতের ধ্রুবপদের স্থায় কেবল ধ্বনিত হইতে লাগিল—মার প্রবেশ করিয়াছে ! মার প্রবেশ করিয়াছে ! নিৰ্ব্বাণের প্রতি ৪ তাহার আচরণ কঠোর হইয়া উঠিল । তিনি দেখিলেন, ইতি সৰ্ব্বদা নিৰ্ব্বাণের সঙ্গে ঘুরিতেছে, এক দও উভয়ে পৃথক থাকে না। তাহার দেহে অগ্নিশলাকা বিদ্ধ হইতে লাগিল। মার প্রবেশ করিয়াছে—ইতি নিৰ্ব্বাণকে প্রলুদ্ধ করিবে। তার পর r বুদ্ধের সঙ্গ ব্যভিচারের আগার হইয় উঠবে ? কখনও না—কখনও না ! উচণ্ড নিৰ্ব্বাণকে স্বকঠিন ব্রহ্মচৰ্য্য শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিলেন। মনে হইতে লাগিল তিনি নিৰ্ব্বাণকে উপলক্ষ করিয়া ভিক্ষু-জীবনের পরুষ নিৰ্ম্মমতা নূতন করিয়া সঙ্ঘে প্রবর্তন করিতেছেন । নিগৃহীত নিপীড়িত আকাঙ্ক্ষা যখন বিকলাঙ্গ মূৰ্ত্তিতে বাহির হইয়া আসে, তখন তাহার স্বরূপ সকলে চিনিতে পারে না। সঙ্গে সত্যই মার প্রবেশ করিয়াছিল—কিন্তু কাহার দুৰ্ব্বলতার ছিদ্রপথে প্রবেশ করিয়াছিল তাহা ভিক্ষু উচও জানিতে পারেন নাই। মরুভূমির স্বল্পায়ু বসন্ত এই ভাবে নিঃশেষ হইয়া আসিল । ইতিমধ্যে নিৰ্ব্বাণ ও ইতির মনোভাব প্রকট হইয়া পড়িল। তখন এক দিন মাধব পূর্ণিমার প্রভাতে উচও নিৰ্ব্বাণকে উপসম্পদ দান করিয়া পরিপূর্ণ রূপে সঙ্ঘের নিয়মাধীন করিবার প্রস্তাব করিলেন। 攀 章 to প্রস্রবণের মুকুরোজ্জল জলে একটি চঞ্চল ছায় পড়িল। দিবাস্বপ্ন ভাঙিয়া নিৰ্ব্বাণ উঠিয়া বসিল ; ইতি আসিতেছে। ইতির দেহে একটি মাত্র শ্বেতবস্ত্র। পঞ্চ হস্ত পরিমিত একটি ছকুল-পট কটি ও নিতম্ব বেষ্টন করিয়া সম্মুখে বক্ষ