পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eఫిa প্রবাসী పెళి8g হ্রদ থেকে কাটানো থাল ধৌথ মূলধন থেকে, বা গবর্ণমেণ্টের কর্জ লওয়া টাকা থেকে প্রথমতঃ তোলা যেতে পারে, পরে ক্রমশ: কিন্তীবনী ক’রে সে ঋণ শোধ করা কঠিন হবে না অমিয়বাবুকে প্রশ্ন করেছিলাম, কৃষিব্যবসা অবলম্বন করতে ইচ্ছুক কেউ যদি তার কাছে হাতে-কলমে চাষের কাজ শিখতে চায় তাহলে কি তিনি তাকে সাহায্য করবেন ? তিনি সানন্দে সম্মতি জানিয়েছিলেন, ও বলেছিলেন যদি সত্যই উৎসাহী ও পরিশ্রমী ছেলেরা তার সাহায্যপ্রার্থী হয় তিনি সব রকমে তাদের সাহায্য করতে, এমন কি শিক্ষা দিতে, প্রস্তুত আছেন। ধারা চাষ বা ট্র্যাক্টর কর্ষণ সম্বন্ধে অতিরিক্ত খবর চান, তারা স্বচ্ছন্দে অমিয়বাবুকে চিঠি লিখে জানতে পারেন। তার ঠিকানা— ঐঅমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, জমিদার, হরিহরপুর, ডাকঘর মানবাজার, জেলা মানভূম । কৃষিবিদ্যালয়ে যারা শিক্ষা পেয়েছেন, দেখা যায় তাদের অধিকাংশই চাকরির জন্য লালায়িত। নিজেরা চাষ করতে র্তার চান না। কাজেই তাদের পুথিগত বিদ্যা কাৰ্যকরী হয় না। আশা করি উত্তরোত্তর বাঙালী যুবকেরা, চাকরির জন্ত বৃথা ছুটfছুটি না ক'রে কৃষিকৰ্ম্মে মনোনিবেশ করবেন। অমিয়বাবু নিজে কৃষিব্য সি ক’রে এ-কথা প্রমাণ করেছেন ধে যদি বৈজ্ঞানিক রীতিতে চাষ করা যায় তা হলে শুধু বেকার-সমস্যার সমাধানই সহজ হবে না—দেশের, বিশেষ ক’রে পল্লীগ্রামের, সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি সাধিত হবে । অনেকে আপত্তি করতে পারেন যে পল্পীজীবনের নানা অস্থবিধ', পল্লীর স্বাস্থ্যও সব জায়গায় ভাল নয়। এ-কথা যদিও মূলত: সত্য, তবু এও স্বীকার না করে উপায় নেই যে পল্পীজীবনে অভ্যস্ত হ’লে উদ্যোগী যুবকেরা সম্মিলিত হয়ে ইচ্ছামুরূপ বিবিধ সংস্কার সাধন করতে পারেন । পল্লীসংস্কার বিনা কৃষিপ্রধান দেশের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয় ; আর পল্পীসংস্কারও তখনই স্বসাধ্য হবে যখন ভদ্রলোকে জীবিকার জন্য গ্রামে থাকতে বাধ্য হবেন । * বাংলার বাইরে বাঙালী যুবকের চেষ্টায় যা সম্ভব হতে পারে, বাংলা দেশের পল্লীগ্রামেও তা অসম্ভব হ’তে পারে না | চাই শুধু অদম্য উৎসাহ ও পুরুষোচিত উদ্যম, যার অভাবে আজ দেশে অল্পসমস্ত দিন দিন মারাত্মক হয়ে উঠছে ।