পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাছপালার বংশবিস্তারের ফন্দী শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য প্রাণী-জগতের বংশবিস্তারের দুৰ্দ্দমনীয় আকাঙ্ক্ষার অন্ত্ররূপ পৃথিবীর সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত হইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রবৃত্তি উদ্ভিদ-জগতেও মুপরিস্ফুট। প্রাণীর যেরূপ এক স্থান হইতে অস্ত স্থানে যাতায়াত করিয়ু অপেক্ষাকৃত অল্পায়াসে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িবার সুযোগ লাভ করিতে পারে, অধিকাংশ উদ্ভিদের সেইরূপ ক্ষমতার অভাব সত্ত্বেও তাহার। পৃথিবীর প্রায় সৰ্ব্বত্র আপন আধিপত্য বিস্তার করিয়া লইয়াছে। সাধারণতঃ উদ্ভিদের এত বীজ উৎপন্ন হয় যে, বিবিধ অবস্থার প্রতিকূলতায় তাহদের অধিকাংশ বিনষ্ট হইয়া গেলেও একেবারে বংশলোপের আশঙ্কা ঘটে না । বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থায় পড়ির অধিকাংশ বীজ নষ্ট হইবার দরূনই বোধ হয় ক্রমবিকাশের ফলে এমন বীজের উদ্ভব হইয়াছে যাহাদের বহির্ভাগ কঠিন আবরণে আবৃত। কঠিন বহিরাবরণে সুরক্ষিত থাকার ফলে অভ্যস্তরস্থ বৃক্ষশিশু অতিরিক্ত শৈত্য বা উত্তাপে সহজে নষ্ট হুইয়া যায় না। কিন্তু কেবল বীজ সুরক্ষিত হইলেই ত বংশবিস্তারের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় না । বীজ পরিপঞ্চ হইলে বুক্ষের তলায়ু ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িয়া থাকে। শক্ত খোলার আবরণে সুরক্ষিত থাকিয়া সময়মত না হয় বীজ উপ্ত হইবার दुर्भ श्छिल ७ झक्रिए° ५श्वज्र माकोरञ्जन्त्र क्ल সুবিধাই হইল ; কিন্তু আর এক বিপদ তখন অবশ্যম্ভাবী হইয়া পড়ে । অল্পপরিসর স্থানের মধ্যে একযোগে অসংখ্য বৃক্ষশিশু জন্মিয়া যখন ক্রমশ: বাড়িতে থাকে তখন আলো, বাতাস ও খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহের জন্য পরস্পরের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিত সুরু হইয়া যায় । তাঙ্গার ফলে অধিকাংশই জীবনসংগ্রামে পরাভূত হইয়া যায়। অধিকন্তু এই উপায়ে পৃথিবীর উপর আধিপত্য বিস্তারের গতিও মন্থর হইয়া পড়ে। এই সল অসুবিধার ফলেই হয়ত উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য ক্রমশঃ অভিনৰ কৌশল আয়ত্ত করিতে বাধ্য হইয়াছে । অনেকেই বংশবিস্তারে প্রাণীজগতের সাহায্য লইয়াছে। জীবজগতে লেশমাত্র স্বার্থশূন্ত হইয়া কেহ কোন কাজ করে না । এই কঠোর সত্য উপলব্ধি করিয়াই যেন আম, জাম, কঁঠাল প্রভৃতি সুরসাল ফলের গাছসমূহ তাহাদের বীজকোষের উপরে মনুষ্য ও পশুপক্ষীর রসনাস্তৃপ্তিকর মাংসল পদার্থের বেষ্টনী হষ্টি কৰিয়া দূরদূরান্তরে বিস্তৃত হইবার উপায় উদ্ভাবন করিয়া লইয়াছে। প্রাণীর সুস্বাস্থ ফলের লোভে নান উপায়ে দেশদেশাস্তরে ইহাদের বংশবৃদ্ধির সুধোগ ঘটাইয় দেয় । বিশেষতঃ মানুষেরা কেবল ফলের লোভেই নয়, ফুলের সৌরভ, পত্রপল্লবের সৌন্দৰ্য্য ও অম্লান্ত বিবিধ প্রয়োজনে তাহাদিগকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হইবার জন্ত সাহায্য করিয়া থাকে। তাহাদের কেহ কেহ মানুষের অপরিসীম আদরষত্ত্বে লালিতপালিত হইয়া প্রজনন-ক্ষমতা পর্য্যস্ত হারাইয়া ফেলিয়াছে । ডাল কাটিয়া বা কলম বাধিয়া তাহদের বংশ বৃদ্ধি করাইতে হয় । কিন্তু মামুষের প্রয়োজনে লাগে না পৃথিবীতে এমন উদ্ভিদের সংখ্যা কম গুড়িকচু। শিকড়ের কাছে লত্বার মত অংশগুলি প্রবাহণী— প্রবাহীর প্রান্তে নৃষ্ঠন গাছ জন্সিয়াছে