পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ミミ প্রবাসী ఫిలి38 নহে । বংশবৃদ্ধির জন্য তাহাদের চেষ্টারও বিরাম নাই । বংশ বিস্তার করিয়া পৃথিবীর উপর আধিপত্য করিবার উদ্দেশ্যে তাহারা কত রকম অদ্ভুত যশীর আশ্ৰয় লইয়াছে, সেই সম্বন্ধে বর্তমান প্রবন্ধে আমাদের দেশীয় কয়েকটি উদ্ভিদের কথা আলোচনা করিব । এই উদ্দেশ্যে আমাদের দেশীয় উদ্ভিদের কেহ কেহ জলস্রোত বা বাতাসের সাহায্য গ্রহণ করিয়াছে । কেহ কেহ লতানে সংবাহক বা প্রবাহণী-লতার সাহায্যে কচুরিপানার বংশবিস্তার ফুল দূরে ছিটাইয়। বংশ বিস্তার করিয়া থাকে। কেহ কেহ আবার প্রাণীদের গাত্রসংলগ্ন হইয়া দুরে দূরে ছড়াইয়ু পড়িবার কৌশল আয়ত্ত করিয়াছে। এইরূপ বিভিন্ন উপায় অবলম্বনকারী উদ্ভিদদের সম্বন্ধে আমরা ক্রমশ: আলোচনা করিতে চেষ্টা করিব । বাংলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত: পূৰ্ব্ববঙ্গের থাল বিল বা অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমির ধারে ধারে বুনো বা শ্বেত-মাকাল নামে এক জাতীয় বড় বড় গাছ জন্মিতে দেখা যায় । ইহাদের ঈষৎ হরিদ্রাভ শ্বেতবর্ণের ফুলের স্তবকগুলি দেখিতে অতি সুন্দর ; কিন্তু গন্ধ বড়ই অপ্রীতিকর । গাছে মাকাল ফলের মতই বড় বড় গোলাকার ও শ্বেতবর্ণের ফল ধরে । পরিপক্ক অবস্থায়ও বর্ণ পরিবর্তন হয় না । ফলগুলি পাকিস্থা ফাটিয়া গেলে একটা ন্যস্কারজনক দুর্গন্ধ নির্গত হয়। মানুষ ত দুরের কথা, পশুপক্ষীরাও দুৰ্গদ্ধে ইহাদের কাছে ঘেঁষে না । কাজেই পশুপক্ষীদের দ্বারা বংশবিস্তারের সহায়তার কোন সম্ভাবন। ত নাই-ই, অধিকন্তু মামুষেরা তাহদের বংশ লোপ করিতেই সৰ্ব্বদা সচেষ্ট । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়, তাহারা যেন মামুষের দৃষ্টি এড়াইয়৷ অতি সস্তপণে ধীরে ধীরে বংশ বিস্তার করিয়া চলিয়াছে। একটু লক্ষ্য করিলেই দেখিতে পাওয়া যাইবে জলের ধারে ধাৱেই এই গাছের প্রাচুর্য্য । , বর্ধার জলে যখন সমস্ত মাঠ ঘাট ডুবিয়া যায় এবং খাল-বিলে জলস্রোত বহিতে থাকে সেই সময়েই ইহাদের ফল পাকিয়া জলে পড়ে এবং ভাসিতে থাকে। জলস্রোতের সঙ্গে ভাসিতে ভাসিতে ফলগুলি বহু দূরে দূরে চলিয়া যায়। এইরূপে কেহ কেহ জলস্রোতের আশেপাশে আবৰ্জ্জনা বা ফাকফন্দীতে আটকা পড়িয়া যায় এবং অনেকে ইতস্ততঃ ভাসিতে ভাসিতে বর্ষার অবসানে জল নামিবার পর ডাঙ্গ পাইলেই অম্বুর'উদগম করিতে থাকে। বৃক্ষশিশুগুলি অসম্ভব দ্রুতগতিতে লম্বালম্বি বাড়িয়া পুনরায় বর্ষাসমাগমের পূৰ্ব্বেই বেশ বড় হইয় উঠে। পরবর্তী বর্ষার জলে সে কোন গতিকে মাথ৷ পাথরকুচির গাছ মাটিতে লতাইয়। অবশেষে এক স্থানে শিকড় বাহির করিয়া মাথা খাড়া করিয়া উঠিয়াছে উচু করিয়া দুই-চারিটি পত্র বা কোন কোন স্থলে পত্রহীন অবস্থাতেই দাড়াইয়া থাকে। তার পর আর বছরখানেক সময়ের মধ্যেই দস্তুরমত গা ঝাড় দিয়া বাড়িয়া উঠে । এই ফন্দী অবলম্বন করিয়া তাহারা নিশ্চিস্তভাবে খালবিলের আশেপাশে বংশবিস্তার করিয়া চলিয়াছে । হিজল নামে এক প্রকার গাছও শ্বেত মাকালের মত উপায় অবলম্বন কঞ্জিয়া বংশবিস্তার করিয়া থাকে । বর্ষার সঙ্গে সঙ্গেই হিজল গাছে অজস্র লাল রঙের ফুল ফুটিতে থাকে। জলের ধারে ধারেই হিজল গাছের প্রাচুর্য্য দেখিতে পাওয়া যায়। কাজেট বর্ষাকালে গাছের তলায় জলের উপর এত ফুল পড়িয়া থাকে যে দেখিয়া মনে হয়—কে যেন জলের উপর লাল মখমলের চাদর বিছাইয়। রাখিয়াছে। জল নামিয়া যাইবার পূর্বেই হিজলের ফল পাকে এবং জলের উপর পড়িয়া ভাসিতে ভাসিতে দূরদূরাস্তরে বিস্তৃত হইয় পড়ে । মামুষের অতি প্রয়োজনীয় নারিকেল ফলের পূর্বকথা আলোচনা করিলে অম্বুরূপ ইতিহাসেরই সন্ধান মিলিবে । মানুষ যখন এই ফলের ব্যবহার শিখে নাই তখন পৰ্য্যস্তু একমাত্র জলস্রোতই তাহাদের বংশবিস্তাৱে সহায়তা করিত। সমুদেৱ উপকূলে নোন। জায়গায় ইহাৱা প্রচুর পরিমাণে জন্মিয় থাকে। শুষ্ক নারিকেল নদী বা সমুদ্রজলে ভাসিয়া বহু দূরে উপনীত হইয়া সুবিধামত স্থানে আত্মপ্রতিষ্ঠা করিয়া লইত । এখন মামুষেরাই তাহাদের উপরিউক্ত উপায় অবলম্বনের পথ বন্ধ করিয়া দিয়াছে । - কতকগুলি গাছ আবার বংশবিস্তানের জন্ত বীজের উপর নির্ভর करब ना । इंशप्नब दौख दए 4कफे श्ब्रू ब्र! ; थाब्र श्हेंtश९ ज्राश श्श्रङ अछूद्ध छैनाभ झ्द्र नं। क्वविद्यारबद्र अछ हेशी