পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ তাহার পর দুজনেই নীরবে একত্রে বাড়ী পৰ্য্যন্ত গেল। পৰে তাহাজের মধ্যে আর কোন বিষয় আলোচনা হইল না। এডও ঘাড় বাকাইয়া মাঝে মাঝে তার সনীির চলার ভদী লক্ষ্য করিয়াছে। গত বৎসর পর্যন্ত এই তরুণী কতই মা দুখভোগ করিয়াছে। কিন্তু এখন তাহাকে বেশ শাভ দেখাইতেছিল। তাহার শরীর বেশ ঋজু এবং মুখখানা বেশ ফুটফুটে গোলাপী হইয়া উঠিয়াছে। আকারে সে ছোট কিন্তু বড়ই মিষ্টি ও কোমল ; চুলের বেণী মাথার চারি দিকে গোল করিয়া বাধা ; চোখগুলি সম্বন্ধে ঠিক করিয়া কিছু বলা কঠিন। রমণীস্থলভ কোমলতা ও মাধুর্ঘ্যের সহিত সে মুদ্রপদে হাটিয়া চলিয়াছে। যখন সে কথা বলে, শব্দগুলি তখন যেন একটার পর একটা করিয়া মুখ হইতে বাহির হয়। কিন্তু কথা বলিতে তাহার যেন সম্পূর্ণ সাহসের অভাব। পাছে কেহ উপহাস করে বলিয়া সে কোন কথা বলিতে ভয় পাইত। কিন্তু তৎসত্ত্বেও সে নিজের মনের কথা লুকাইয়। রাখিতে পারিত না। গুভমুণ্ড নিজেকে জিজ্ঞাসা করিল—“হিলন্ধরও ঠিক এইরূপ হয় তাহা কি তুমি চাও?” কিন্তু সে তাহ চায় নাই। হাজার হইলেও বিবাহ করার পক্ষে হেলগা যে किहूझे नञ्च । উপরিউক্ত ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর হেলগা শুনিল যে, আগামী এপ্রিল মাসে তাহাকে নেরবুদী ছাড়িয়া দিতে হইবে। কারণ এক ঘরের ছাদের নীচে তাহার সহিত বাস করিতে ঈরিকের মেয়ে হিলছুর মোটেই রাজী নয় । বাড়ীর কৰ্ত্তা ও গিল্পী সেকথা গোপন রাখিয়াছিলেন, হেলগাকে বলেন নাই। শ্ৰীযুক্ত ঈঙ্গেবর্গ সংবাদটা তাহাকে এইরূপ ভাবে দিয়াছিলেন যে, নূতন বউমা ঘরে আসিলে বাড়ীর কাজে তাহার এত সাহায্য পাওয়া যাইবে যে, তখন তাহাজের আর এত চাকর-চাকরাণী রাখিবার প্রয়োজন হইবে না। অন্ত এক সময় তিনি হেলগাকে বলিয়াছিলেন যে, তিনি কোথাও ভাল একটা কাজের সন্ধান পাইয়াছেন, হেলগা ঐ কাজ পাইলে নিশ্চয়ই বেশী মুখে থাকিবে। কাজ ষে ছাড়িয়া দিতে হইবে, ইহা বুঝিবার জন্ত হেলগার আর বেশী কথা শোনার প্রয়োজন ছিল না"। সে তখনই জানাইল, সেও কাজ ছাড়িয়া দিতে চায়, অন্ত কোন কাজ তরাইয়ের তরুণী a.N9\9 লইতে ইচ্ছা করে না । কারণ, সে বাড়ীতে ফিরিয়া যাইতে हेछछूक । হেলগাকে ষে অনিচ্ছায় কাজ ছাড়ানো হইতেছে তাহ বাড়ীর লোকের কথাবাৰ্ত্তার ভঙ্গীতে বেশ ভাল করিয়া বুঝা গেল । হেলগার চলিয়া যাইবার দিন উপস্থিত হইলে পর বড় স্বরের টেবিলের উপর এত রকমের জিনিষ সাজানো হইল,—যেন সমস্তই বিশেষ কোন উৎসবের আয়োজন। ঐযুক্ত ঈঙ্গেবর্গ তাহাকে নানা রকমের পোষাক ও জুতা এত উপহার দিলেন যে তরুণীর বড় বাজেও সব ধরে না। ষে-তরুণী এক দিন শূন্ত ব্যাগ লইয়। তাহাজের বাড়ীতে ঢুকিয়াছিল, আজ তাহার পক্ষে সমস্ত উপহার-স্ত্রব্য বহন করিয়া লইয়া যাওয়া কঠিন। ঐযুক্ত ঈদেবর্গ বলিলেন, “তোমার মত এমন কাজের মেয়ে আমি কখনই পাইব না, এবং এখন তোমাকে ঘাইতে দিতেছি বলিয়া আমার উপর রাগ করিও না। তুমি নিশ্চয়ই বুঝ ষে, ইহা অামার ইচ্ছায় হইতেছে না। কিন্তু আমি তোমাকে কখনও ভুলিতে পারিব না । যত দিন আমার শক্তি আছে তত দিন তোমাকে কোন ছঃখ পাইতে হইবে না।” তিনি হেলগার সঙ্গে বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন, সে যেন বাড়ী ফিরিয়া তাহার জন্য বিছানার চাদর ও গামছা বুনে। তিনি হেলগাকে অস্ততঃ ছয় মাসের মত কাজ দিয়াছিলেন । হেলগা চলিয়া যাইবার দিন সকাল হইতেই গুডমুও একচালার নীচে দাড়াইয়া জালানী কাঠ টুকরা টুকরা করিতেছিল। ঘোড়ার গাড়ী সামনেই প্রস্তুত । কিন্তু তাহার বিদায়-মুহূর্ভে শুভমুণ্ড তাহাকে অভিবাদন জানাইতে আসে নাই। সে ধেন নিজের কাজে এত ব্যস্ত যে আর-কি হইতেছে না-হইতেছে তাহা দেখিবার তাহার অবসর নাই । च*उा।। ८श्! बिङ्गांश्च शश्बांङ्ग षश्च उांशंङ्ग झारड् আসিল । b গুস্থও হাত হইতে কুড়াল নামাইয়া জোরে লোর করমর্দন করিল এবং খানিকটা অতিরিক্ত তাড়াতাড়িতে বলিল, “সেই সময়ের জঙ্ক ধষ্ঠবাদ ।”—এই বলিয়াই সে