পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

((S প্রবাসী S°88 যদি বন্ধুর মত রমেশ সমান তালে মাখা উচু করিয়া অলক রায়ের হাতে হাত রাখিত, ত এতটা বিরক্তিকর সে হইত না। পুরাতন বন্ধুত্বের দাবিতে সে ভূত্যের চেয়েও পরিচর্ধ্যাপটুত্ব দেখাইতেছে । নদীর ধারে ঝাউবন দেখাইয়া রমেশ বলিল, স্কুল পলাইয় ঐ বনে কত দিন তাহারা চড়ুইভাতি করিয়াছে। অলক রায় ফাক জায়গায় দাড়াইয়া মাথা নাড়িয়া হাসিলেন । যে বনের সঙ্গে গভীর ভাবে আলিঙ্গিত হইয়া তিনি একদা অসীম উল্লাস উপভোগ করিয়াছেন, আজ পোক-মাকড়ের ভয়ে সে-বনের ধারে ঘেষিতেও তার ভয় । ফুটবলের মাঠে অলক রায়ের নাম ছিল ; বাশের খুটি পোতা গোল-পোষ্ট দেখিয়া তার মনে হইল, মাঠটা খুবই বড়। মাঠে গরুর পাল চরিতেছে, অলক রায় হাতের মোটা লাঠি শক্ত করিয়া ५ब्रिध्ना दणिtजन, ‘eद्र भाषा वांeध्न *िक न६, कि छांनि यदि *-سمو وي - অন্ত পথই তাহারা ধরিলেন । এই পথে সারি সারি চাষীর ফুটার-রোদে পুড়িয়া জলে ভিজিয়া ভূমিলক্ষ্মীর সেবা করিয়া যাহার দিন গুজরান করে । অলক রায়ের মন্দ লাগিল না। দু-দণ্ড বসিয়া ছ-একটি সহানুভূতির কথা छांनांझेt७ वफ़ इंछ् श्ल । बनिवांब्र हेछ् श्eग्नॉल्ले অস্বাভাবিক নহে, ইটার পরিশ্রমে দেহ কিছু বিশ্রামের সহানুভূতি প্রার্থনা করিতেছে । সম্পন্ন এক মোড়লের উঠানে মোড়া পাতিয়া তাহারা দুই বন্ধু বসিলেন। অতঃপর অলক রায় প্রশ্ন করিলেন, ‘এবার ধান কেমন হবে মনে হয় ? পাটে কিছু পেলে ? মোড়ল করজোড়ে কহিল, "হুজুর কোষ্টার বাজার মাটি । নেহাৎ জমি পড়ে থাকে তাই বুনি । ধান এবার কিছু হবেন, কিন্তু মুগ-কলুয়ের আশা নেই।" —কেন ? - —মাঠ সব জলের মধ্যে । জল ন সরলে বাঁচি ফ্যালাবো কোথায় ! —ওঁ । তা তোমরা কলের লাঙ্গল আনাও না কেন ? ७८ङ छभि छषां श्छ छांग, कभण श्ध्न फू-७१ ।। মোড়ল হাসিল, এই হাল-বগাই রাখতে পারি নে, বাৰু, তা কল ! পর পর ক-সন অজন্ম, মোরা বেঁচে আছি এই স্বখা নাভ।" —আমি যদি কল কিনে পাঠিয়ে দিই তোমরা চালাতে পারবে ? —কেনে পারব না বাৰু। আপনি পেঠিয়ে দিও।' মোড়ল হাসিয়া অলক রায়কে প্রণাম করিল। সে জানে এখান হইতে পিছু ফিরিলেই বাৰু সব ভুলিয়া যাইবেন। শহর হইতে ধে-বাবুই আসেন, কলের কথা বলিয়া চাষীদের কাছে বtহাঙ্কুরি লন। কল কিনিবার প্রতিশ্রুতিও কেহ কেহ দিয়াছেন, কিন্তু সে ঐ পৰ্যন্তই। আসলে বলদ জুড়িয়া পুরাতন লাঙ্গলের গোড়ায় দাড়াইয়া চাষীকে ‘হট হট’ শব্দে হলচালনা করিতে হয় । কল এ-ধাবৎ তাহাদের চোখে দেখাই ঘটিল না ! যাহা হউক, চাষাপাড়া ছাড়াইয়া অলক রায় একটা পোড়ে। বাড়ীর সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন। বাড়ীট যেন চেনা-চেনা বোধ হইল। বাহির অঙ্গনে দুটি বুদ্ধ জামরুল গাছ শাখাপ্রশাখা মেলিয়া অনেকখানি জায়গা অন্ধকার করিয়াছে। অলক রায়ের মনে হইল, জ্যৈষ্ঠের দ্ধিপ্রহরে কোলাহল করিতে করিতে কত দিন তাহারা ওই গাছে চাপিয়া জামরুল পাড়িয়াছেন। যত না খাইয়াছেন তত ছড়াইয়াছেন, ডাল ভাণ্ডিয়াছেন, এ-গাছ হইতে ও-গাছে জামরুল ছড়িয়া যুদ্ধাভিনয়ও কত হইয়া গিয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলেন, “গাজুলীদের বাড়ী না ? রমেশ বলিল, “স্থা গে। অমলা এই বাড়ীতেই থাকে।’ —অমল ? কেন ? বিহালের মত অলক রায় প্রশ্ন করিলেন । রমেশ বলিল, “গাজুলী-মশাইয়ের কেউ ছিল না, জামাইটিরও তিন কুলে কেউ নেই, কাজেই আমল এখানে রয়েছে।' . —জামাই কি করে ? —একটা দোকানে খাতা লিখত, মুহরীগিরি। যা পেত কষ্টেস্থষ্টে সংসার চালাভ । ছেলেমেয়ে অনেকগুলি । এমন সময় জামরুল গাছের সামনের ছুয়ার খুলিয়া এক বীয়সী বিধবা বাহির হইয়া জালিলেন। পরনে তার ময়ল খান, মাখার চুলে পাক ধরিয়াছে, দেহ অত্যন্ত ক্ষীণ। সংবাদ