মাঘ ভোগের বেগবতী ম্রোতে ত্যাগের কুটা ভাঙিয়া কোথায় ভাসিয়া গেল। পল্লীর অলক রায় শহরের আলোকে নবজন্ম লাভ করিলেন। নবজন্ম ও নূতন কৰ্ম্মক্ষেত্রের স্বদীর্ঘ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নিম্প্রয়োজন । নূতন অলক রায় বহু দিন পরে পুরাতন মাটিতে পা দিয়া অনেকগুলি পুরাতন প্রশ্নই করিয়া ফেলিলেন । হঠাৎ অলক রায় অঙ্কমনস্কের মত প্রশ্ন করিলেন, "আমাদের বাড়ী আর কত দূর ? পরিচিত পথও এত অপরিচয় বহন করে। যেখানে মাঠ ছিল সেখানে হয়ত পুকুর তৈয়ারী হইয়াছে কিংবা বাড়ী উঠিয়াছে, যেখানে বাড়ী ছিল সেখানটা জঙ্গলে ভরা । কোথাও ভগ্ন চালার পরিবর্তে দ্বিতল অট্টালিকা, কোথাও ভগ্নপ্রায় দ্বিতল অট্টালিকায় চামচিক ও বাদুড় ঝুলিতেছে । কুমোরপাড়ার অনেক লোক কমিয়াছে, কলুদের শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। তাতঘর বাড়িয়াছে, কিন্তু কামারশালার চিহ্নমাত্র নাই । রমেশকে ধরিয়৷ অলক রায় নিজের বাড়ীতে আসিয়া পৌছিলেন। নিজের বাড়ীতে পৌছিবার মুখে অনেকগুলি নবীন ও প্রবীণ র্তাহাকে কুশল-প্রশ্ন, নমস্কার কিংবা প্রশংসামুগ্ধ দৃষ্টির দ্বারা সম্বৰ্দ্ধনা করিল। তিনি মাখা হেলাইয়া ও হাসি ফুটাইয়া সাৰ্ব্বজনীন শিষ্টাচার বজায় রাখিলেন । বাড়ীতে ধে-আত্মীয়টি ছিলেন, তিনি পূর্কেই সংবাদ পাইয়া বৈঠকখানা-ঘরটি যথাসম্ভব স্বসংস্কৃত ও স্থসজ্জিত করিয়া রাখিয়াছিলেন । জনতাসমেত অলক রায় তাহার মধ্যে গিয়া ঢুকিলেন । গড়গড় আসিল । অলক রায় সেটি স্পর্শ না করিয়া স্বধৃপ্ত সিগার-কেস বাহির করিলেন। আত্মীয়কে বলিলেন, গোটাকতক ভাব যেন পাড়াইয়া রাখেন, আর সোডলেমনেড নৌকার মধ্যেই আছে ; ষে কয়দিন তিনি গ্রামে থাকিবেন এখানকার অস্বাস্থ্যকর জল পান করিবেন না। আত্মীয় বলিলেন, ‘শ-খানেক ডাব পাড়ান আছে, আনব ५ीकüt ?? 纖 অলক রায় হাসিলেন, “না। রাত্রিতে ভাব সঙ্ক হবে جي يخ حمد هجمة বহু মৃত্যু ●●? ন, সোডা একটা দিও। আর রাত্রিতে ভাত আমি খাই ন, খুব বেশী হয় ত চারখানা লুচি কিংবা পাউরুটি व्यां५थांनाँ ।’ তার পর আত্মীয়ের নির্দেশমত বহু লোকের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটিল। তাদের মধ্যে গুরুসম্পৰ্কীয় নমস্ত আছেন, আবাল্যস্কন্ধা আছেন, নাম-জানা অথচ অপরিচিত वह् श्रांज्रौञ्च श्रांद्दछ्न । cम-कांप्लव्र यह कषां श्हेल ७ष९ फौ* আত্মীযুতার স্বত্র টানিয়া অলক রায়ের নিকটতম হুইবার চেষ্টাও দেখা গেল কিছু কিছু। মোটের উপর অলক রায় তৃপ্তিলাভ করিলেন না। কুড়ি বৎসর আগেকার রং বহুলাংশে ফিক হইয়াছে, হৃদর্ঘের যোগসূত্রটি ঠিক খুজিয়ী পাওয়া ধাইতেছে না ; এই গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশের মত বাসিন্দাগুলিও কেমন খাপ খাইতেছে না—বিয়ালিশ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা লোকের জামা যেমন বত্রিশ ইঞ্চি ছাতিধারীর গায়ে বেমানান হয় । পুরাতন পরিচয়ের ক্ষণিক প্রীতি বিদ্যুদ্বিকাশের মতই অলক রায়ের মনের আকাশ ধাধিয়া দিতেছে, পরক্ষণেই গভীর অন্ধকার । বহু শত ক্রোশ পারে চলিয়া চলিয়া গন্তব্য স্থানে না পৌছিয়াই কোন পথিক কি পুরাতন আবেষ্টনে ফিরিবার লোতে যাত্রারম্ভের স্থানটিতে আসিবার চেষ্টা করে ? অনস্ক চলার পথে জীবনের মেয়াদ কতটুকু ? যাদের অগ্রগতি নাই, জীবনের বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ ও বিকাশ মান হইয়া গিয়াছে, যুদ্ধের অস্ত্ৰলেখা যাদের সর্বাঙ্গে—পুরাতন পখকে সযত্নে আঁকড়াইয়া ধরিয়া আৰ্ত্তনাদ করে তাহারাই । বাক্যালাপে অলক রায় শীঘ্রই ক্লাস্ত হইয়া পড়িলেন। অত্যন্ত ক্লাপ্তি ও অবসাদে তাকিয়ার উপর হেলিয়া চক্ষু মুদিতেই জনতা ছত্রভঙ্গ হইয়া গেল । রমেশ কিন্তু আহার-নিজা ত্যাগ করিয়া অলক রায়ের পিছনে লাগিয়াই রহিল। এখানকার যা-কিছু দেখা অলক রায় রমেশের চোখেই দেখিলেন, যা-কিছু শোনা রমেশের কানেই শুনিলেন এবং যত কিছু ধারণা রমেশের মস্তব্যের উপরই গড়িয়া উঠিল। তথাপি রমেশকে তার ভাল লাগিল না। রমেশের বহু অভাব-সাংসারিক ও মানসিক । नांश्नांब्रिक अछांब$ाहे वफ़ नररु, बङ ८वनै छिड-शश्च । टैक
