পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রলয়ের সৃষ্টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক সময়ে, এই বিশ্বস্বষ্টির প্রথম যুগে স্বাক্ট ও প্রলয়ের দ্বন্দ্বনৃত্য চলেছিল, স্বষ্টি ও প্রলয়ের শক্তির মধ্যে কে যে বড় তা বুঝবার জো ছিল না, চারি দিকে নিয়ত সংঘাত চলেছিল। তখন যদি বাইরে খেকে কেউ এই পৃথিবীকে দেখতে পেত তাহলে বলত এই বিশ্ব প্রলয়েরই লীলাক্ষেত্র, স্বষ্টির নয়। চারি দিকে তখন ক্রমাগত ভয়ংকরের নাট্যলীলা চলেছিল। সেই মহাতাগুবের যুগে আমরা যাকে প্রাকৃত জগং বলি তাই ছিল, তখন পৃথিবীতে জীব আসে নি। কিন্তু এই মহাপ্রলয়ের অস্তরে স্বষ্টির সত্যই গোপন হয়ে ছিল ; যা বিনাশ করে, যা ভীষণ, বাইরে থেকে তাকেই সত্য ব’লে মনে হ’লেও তা সত্য নয়, এই ভীষণ তাণ্ডবলীলাই স্মৃষ্টির ক্ষেত্রে চরম কথা নয় । ক্রমশ সব আলোড়ন-উপদ্রব থেমে গেল, এর অস্তরে যে সৌন্দর্যলীলা গোপন ছিল তাই প্রকাশ পেল । সেই প্রলয়ের তাণ্ডব, সেই ঝড়ঝঞ্জামহামারী আজো আছে বটে, কিন্তু সে আছে নেপথ্যে, সে একবার দেখা দেয় আবার চলে যায়, তাকেই আমরা চরম পরিণাম বলি নে । সমস্ত উপদ্রব শাস্ত হয়ে আসে, উপনিষদে ধাকে শাস্তম্ বলেছে তারই রূপ পরিস্ফুট হয়ে ওঠে । আকাশে নক্ষত্রে নক্ষত্রে ষে হোমহুতাশন অগ্নির উচ্ছ্বাস, আমরা দেখি তার শাস্তরূপ, নক্ষত্রলোক জুড়ে কী অসহ উপজব কী অগ্নিবাম্পের উচ্ছ্বাস চলেছে সে কথা আমরা ভাবি নে; আমাদের শয়নগৃহের বাতায়ন দিয়ে যখন আকাশকে দেখি, তখন দেখি ভার স্নিগ্ধ রূপ, তথন দেখি আকাশ হাসছে—সে আমাদের নিদ্রাকে ব্যাহত করে না। এই শাস্তিই চরম সত্য—এ শাস্তি দুর্বলের শাস্তি নয়, এ প্রবলের শাস্তি। ' পৃথিবীতে প্ৰচণ্ডের মধ্যে সংঘাতের মধ্যে শাস্তির যেঅভু্যদয় দেখি আদিযুগে, তাই দেখি আজ মানুষের हेडिशरनe । ॐकांभ* निईब्रडा बांख डौषभाकांद्र शृङ्गाटक জাগিয়ে তুলছে সমুদ্রের তীরে তীরে ; দৈত্যের জেগে উঠছে মামুষের সমাজে, মামুষের প্রাণ যেন তাদের খেলার জিনিস। মানুষের ইতিহাসে এই দানবিকতাই কি শেষ কথা ? মানুষের মধ্যে এই যে অস্থর, এই কি সভ্য ? এই সংঘাতের অস্তরে অস্তরে কাজ করছে শান্তির প্রয়াস, সে কথা বুঝতে পারি যখন দেখি এই দুঃখের দিনেও কত মহাপুরুষ দাড়িয়েছেন শাস্তির বাণী নিয়ে, সেজন্ত মৃত্যুকে পর্বস্ত স্বীকার করেছেন । এদের সংখ্যা বেশি নয়, সাম্রাজ্যলুন্ধর এদের হিংসা করে মারে, তবু এদের শক্তিকে নিঃশেষ করতে পারে না । এখনো মানুষ বিপদকে স্বীকার করেও দূর ভবিষ্যতের বাণী বহন ক'রে চলেছে অকুতোভয়ে। সত্য এখানেই । আজ চীনে কত শিশু নারী কত নিরপরাধ গ্রামের লোক দুৰ্গতিগ্রস্ত—ষখন তার বর্ণনা পড়ি হৎকম্প উপস্থিত হয় ; আজ এই সংগীতমুখর শাস্তপ্রভাতে আমরা যখন উৎসবে যোগ দিয়েছি এই মুহূতে ই চীনে কত লোকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, পিতার কাছ থেকে পুত্রকে, মাতার কাছ থেকে সস্তানকে, ভাইয়ের কাছ থেকে ভাইকে বিচ্ছিন্ন ক’রে নিয়ে যাচ্ছে, যেন মানুষের প্রাণের কোন মূল্য নেই— সে কথা চিন্তা করলেও ভয় হয় । অপর দিকে আছে আপন मांझांखाप्लांडी औक्रद्र मज, डीव्र1 ७झे भांमदरमव्र ८कtन প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। ক্ষীণ এর, ইতিহাসে এদের স্বাক্ষর লুপ্ত। চীনকে যখন জাপান অপমান করেছে সিনেমার ভিতর দিয়ে, সাহিত্যের ভিতর দিয়ে—যেমন অপমান আমাদের দেশেও হয়ে থাকে—তখন এই প্রতাপশালীর দল কোনো বাধা দেয় নি,বরং চীনকে দাবিয়ে দিয়েছে, বলেছে, চীনের চঞ্চল হবার কোনো অধিকার নেই। আমাদের দেশেও দেখি বলকে অবমাননার কোনো প্রতীকার নেই। তবুও একথা বলব, যারা আজ দুঃখ পাচ্ছে প্রাণবিসঙ্গণ করছে, স্বষ্টি করছে তারাই। এই ছিন্নবিচ্ছিন্ন অপমানিত জাতিরাই নূতন যুগকে রচনা করছে। প্রতাপশালী ভীক্ষর তাদের ঐশ্বর্ধভারে নত, পাছে কোনো জায়গায় তাদের কোনো ক্ষতি হয় এই জন্তু তারা দুর্বলের পক্ষে দাড়াল না