পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ অলঙ্ক রায় হাসিয়া উত্তর দিলেন, "তা জানি। আরও জানি, গরিব-দুঃখীকে দেওয়াতেই টাকার যথেষ্ট সদ্ব্যয়, তাতে পুণ্যও হয় বেশী।" —তবে ? টাকা খরচের ভয়ে তুমি পালাচ্ছ কেন ? —ন রমেশ, টাকা খরচের ভয়ে আমি পালাই নি, আমি পালাচ্ছি এখানে আমার জায়গা নেই বলে। কুড়ি বছর ধরে এই গ৷ আমাকে বাচিয়ে রেখেছে, কুড়ি বছর পধ্যস্ত এই গ ছিল আমার ধাত্রী, কিন্তু আজ বুঝলাম এখানে আমার স্থান নেই । —কেন ? কিসে বুঝলে ? তুমি যদি এখনও এই शैtि६ ७भ-श्रांभद्रां ग्रैरिञ्चद्र ८णांक भांथांग्न क'zब्र ८७ॉभाग्न द्रॉशिंद ! অলক রায় হাসিমুখে বলিলেন, "তাও জানি। এখানে রাজার মধ্যাদায় থাকতে পারি, কিন্তু থাকতে পারলাম না, কারণ সে মৰ্য্যাদার ভিত্তি কোথায় আমি জানি । উত্তর রূঢ় শোনাবে, তবু একটা সত্যি কথা শোন, রমেশ । এখানে যারা আছে, এই গাছপালা, রাস্তাঘাট, আকাশ-নদী, মানুষ, কেউ আমার আপন নয়। এদের সবার কাছেই আমার মৃত্যু হয়েছে অথবা আমার চোখে এদের মৃত দেখছি । সময় বড় নিষ্ঠুর, রমেশ, কাউকে সে রেহাই দেয় না।" —তোমার প্রলাপ আমি বুঝতে পারি নে। নৌকা লাগাও, নামি । —চল না শ্মশানে একবার। সেখানে ষে-মৃত্যুর ভয়ে সেখানে ধারা আমরা বেবি না, তা সভ্যকার মরণ নয়। বহু মৃত্যু ●●● चरिझन-छांहे, वकू, चिञ्च, चांद्यौञ्च-श्रांभांब्र भरन क्ष তারাই সত্যিসত্যি বেঁচে আছেন। --ছাড়, ছাড়, ভাল পাগলের পারায় পড়েছি যা হোক । —পাগলামি নয়। ভাব দেখি, দশ বছর আগে যাকে এখানে রেখে গেছ, তোমার মনের মধ্যে সে কি দশ বছর বেড়ে গেছে ? তার দাত পড়েছে, চুল পেকেছে, না চামড়া ফুকড়ে গেছে ? বল ত, তাকে তখন যেমন ভালবাসতে, এখনও মনে মনে তেমন ভালবাস কিনা ? তার আচরণে ও কথায় কোন ? ধরতে পারবে কি আজ ? রমেশ মুখ ভার করিয়া কহিল, ‘রাত-জুপুরে প্রলাপ ভাল লাগে না, ছাড়। ঠাণ্ড লেগে আবার অস্থখ করবে। তোমার কি, পয়সা আছে ডাক্তারের অভাব নেই—হ্যা।’ রমেশের প্রবল আপত্তিতে নৌকা পুনরায় তীরে লাগিল । রমেশ তীরে নামিয়াই বলিল, 'চামার, চশমখোর, হাড়-কিপ্লন কোথাকার ।" বলিতে বলিতে অন্ধকারের মধ্যে সে অদৃগু হইয়া গেল। चलक ब्रां★ cनौकांग्न ठे°ब्र उहेष्ठ *ष्क्लिब ७कछि शौर्षনিঃশ্বাস মুক্ত করিয়া উপরের নক্ষত্রভরা আকাশের পানে চাহিলেন । বিশ বৎসর আগেকার শরতের আকাশ তেমনই নীল, তেমনই অসংখ্য নক্ষত্ৰভর, অথচ তার নীচের গ্রামখানি—অলক রায়ের জন্মভূমি ? চলন্ত নৌকার পাশে জলস্রোতের অপ্রান্ত কল কল ধ্বনি অলক রায়ের কানে বার-বার আঘাত করিতে লাগিল । সমস্ত চিন্তা ভুলিয়া পাশ ফিরিয়া তিনি অন্ধকারমাখা খালের জলের পানে চাহিয়া রহিলেন ।