পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dSS বেলা ২টা ২ টার সময় আমাদের জাহাজ সিঙ্গাপুর ছাড়িয়ে চলল। তখন ‘ভিক্টোরিয়া’ বলে মস্ত একটা नषिां श्छैiजौब्रॉन छांशंख दम८ब्र नैग्निरञ्च चांtझ । चांभब्र! বোম্বাই থেকে বারো দিনে সিঙ্গাপুরে এসেছি, শুনলাম ভিক্টোরিয়া ছয় দিনেই এসেছে। সন্ধ্যা ৭ট ৭ টায় গুনলাম উপরের ডেকে মহা কোলাহল হচ্ছে "something wonderful" কে দেখবে ছুটে এস। ছুটে গিয়ে দেখা গেল আলোয় ঝলমল করতে করতে ভিক্টোরিয়া আসছে। নাচের ঘরে এত জালে দিয়েছে ষে দেখলে চোখ ঝলসে যায় । দূর থেকে মনে হয় হীরার গহনা-পরা প্রকাও একটা রাজইসি ভেসে চলেছে। দেখতে দেখতে সা করে আমাদের জাহাজকে পিছনে ফেলে চলে গেল। ধাত্রীর দীর্ঘনিশ্বাস cows quito, “leaving it behind like a dirty shirt,” বেশী পয়সা দিতে পারলে তারাও ঐ ইন্দ্রপুরীর মত জাহাজে যেতে পারতেন মনে মনে বোধ হয় এ-কথাও বলছিলেন । মালাক্কা প্রণালী ছাড়ার পর সমূদ্র জার তেমন শাস্ত নেই। আবার তার অল্প অল্প নৃত্য স্বরু হয়েছে। কিন্তু শীতের এখনও নামগন্ধ নেই। মাঝে মাঝে টিপ, টিপ, ক'রে বৃষ্টি হয়। একটি মিশনারী মহিলা এক দিন আমাকে ধ'রে বসলেন, "খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মকে তুমি কি রকম মনে কর । মানুষকে তা কি দিয়েছে ?” - আমি বললাম, “সংক্ষেপে এ-কথার উত্তর দিতে আমি পারি নে, এ-বিষয়ে আমি খুব বেশী কিছু ভাবি নি।” কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। আমাকে দিয়ে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম, হিন্দুধৰ্ম্ম, মুসলমান-ধৰ্ম্ম সব বিষয়েই কিছু না বলিয়ে ছাড়লেন না। ব্রাহ্মসমাজের লোকেরা কোন ধৰ্ম্মমতে চলে ইত্যাদি— আরও অনেক বিষয়েই তিনি প্রশ্ন মুরু করলেন। সারা পৃথিবীর ধর্শ্ববিষয়ে বক্তৃতা করে যখন প্রাণ নিয়ে পালাব ভাবছি, তখন তিনি আমায় ধ'রে ধগুবাদ দিতে আরম্ভ করলেন। সেদিন থেকে আমি সাবধান হয়ে থাকতাম যেন আবার কারুর কাছে বিনা নোটিসে ধৰ্ম্মবিষয়ে বক্তৃত৷ করতে না হয় । " - হংকঙে কয়েক জন ধাত্রী নেমে যাবেন ৰ'লে তার আগে জাহাজে একটা ‘ফ্যান্সি ড্রেস পার্টি" করবার জন্তে এক দল প্রবাসী SN998 খুব উৎসাহিত হয়ে উঠলেন। ইউরোপ আমেরিকার লোকের এ-বিষয়ে সৰ্ব্বজ তৈরি থাকে দেখলাম। এই ত ছোট্ট জাহাজ, এতে ওসব কোনওদিন হয় না, তৰুবলবামাত্রই BBB DB BB BD DDD BBDD BBDD DDD করল। আমাকে সবাই ধরল “তুমি মহারাষ্ট্ৰীয় সাজ।” আমি বললাম, “ও রকম পোষাক করা আমার অভ্যাস নেই।" কিন্তু ছাড়ে কে ? এক জন মেম সাহেব বললেন, *আমি তোমাকে শিখিয়ে দেব।” শিখিয়ে দিলেও যে আমার পরবার ইচ্ছা নেই সেটা স্পষ্ট না বললেও মেম সাহেবরা ক্রমে বুঝলেন । কথা হ’ল প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের ও জাহাজের কৰ্ম্মচারীদের নিমন্ত্রণ করা হবে। তাদের আগে জিজ্ঞাসা করা হ’ল, গুনলাম তারা আসতে রাজী আছেন, কিন্তু জাহাজের আইন-মত সব নিমন্ত্ৰণ-পত্র নোটিল ইত্যাদি দিতে হবে। আমাদের স্বার্ড এক দিন সারাক্ষণই কাগজপত্র ও দু-পক্ষের জবানী কথা নিয়ে ছুটোছুটি করতে লাগল। অবশেষে কাগজ টাইপ করতে দেওয়া হ’ল । ২৩শে জামুয়ারী আমাদের দিকে ম্মোকিং-কমে মহাউৎসব লেগে গেল । স্বয়ং কাপ্তেন মুসলমান ফকির সেজে হাজির ৷ পোষাক বিষয়ে ভারতবর্ষেরই জয়-জয়কার। কেউ সাজলেন রাজপুতানী, কেউ নেপালী, কেউ কাশ্মীরবাসিনী, কেউ পশ্চিমী মুসলমান বেগম। অনুষ্ঠানের কোন ক্রটি নেই। ওড়না, ঘাঘরা, পেশোয়াজ, সেরবাণী কোট, নাগরা জুতা জরির পাগড়িতে চারি দিক কলসে উঠল। তার উপর নাকের বেশর, হাতের তাবিজ, পায়ের মল, চুটকী, বুড়ো আঙুলে আয়ন-বসান আংটি, জরির কাটুলী এ সবও দেখলাম ষাক্রিণীর সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। নাকে কানে ফুটে নেই, কিন্তু যথাস্থানে সবই ঠিক পরেছিলেন র্তারা । কাপ্তেন পাচটা পুরস্কার ঘোষণা করলেন, ভোটে যে যত স্থান পাবে সে সেই-মত পুরস্কার পাবে। বোধ হয় কাপ্তেনকে খাতির করে সকলে তাকেই দ্বিতীয় পুরস্কার পাইয়ে দিলেন । প্রথম পুরস্কার যিনি পেলেন তিনি সেজেছিলেন আরব। মাৰায় শাল বেঁধে দাড়ি গোফ লাগিয়ে বিরাট ঝোল্পী পোষাক পরে এমন সেজেছিলেন ষে মনে হ’ল তখনই বুকি