পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রামে একটি সাধারণ দৃপ্ত অতিক্রম করিয়! থাকে। অথচ তখনও যে আগুনের দাহিকাশক্তি বৰ্ত্তমান থাকে সে-বিষয়ে সন্দেহ নাই। আমার জনৈক বন্ধু ভোক্তাগণের পরে অগ্নিতে পা দিয়া পা পুড়াইয়াছিলেন। অপর এক জন ভোক্তাদের সঙ্গে সারাদিন উপবাসাদি করিয়া ভোক্ত হইয়া সব নিয়ম পালন করিয়া অগ্নিতে পদচারণ করিয়াছিলেন, তাহার কিছু হয় নাই। কিন্তু তাহার ধারণা “ফুলকুদনা" অনুষ্ঠানের ঠিক পূৰ্ব্ব মুহূর্বে স্বান করিতে হয় বলিয়া ভিজা পায়ে মাটি লাগিয়া থাকে এবং সেই মাটিই অগ্নি হইতে চৰ্ম্মকে রক্ষা করে । কথাটি হয়ত আংশিক ভাবে সত্য। কিন্তু আট দশ বছরের ছোট ছেলেকেও ফুলকুদনায় যোগ দিতে দেখিয়াছি, তাহাদের পা ছোট, চামড়াও নরম, অথচ কিছু হয় নাই। আবার রাচি হইতে দূরের গ্রামে শুনিয়াছি ফুলকুদনায় পাৰ্ব্বত্য নদীতে মাছধরা ভোক্তাগণ শুধু আগুনে ইটো নিরস্ত হয় না, অনেকক্ষণ তাহার উপর নৃত্য করিয়ু অবশেষে আগুনটিকে নিবাইয়া দেয়। আশ্চর্য্যের বিষয় কোথাও কিছুই অনিষ্ট হয় না। চোখের ধাধা ভাবিয়া ফটোগ্রাফ লইয়া দেখিয়াছি, ইহার মধ্যে কোনও জালজুঙ্কাচুরি নাই। ; যাহাই হউক, ফুলকুদন উৎসবের পরে সারারাত ধরিয় গ্রামে মৃত্যগীত হইতে থাকে। তাহাতে মুখোপ পরিস্থ রাম, রাবণ, ভীম, অৰ্জুন প্রভৃতি সাজিয়া লোকজন নৃত্য করে। পরদিবস বাংলা দেশের মত চড়কগাছে চড়া হয় এবং মেলা বলে। সেই মেলায় গ্রাম-গ্রামান্তর হইতে মুগুরো আসিয়া নাচগান করে এবং পরম উৎসবের মধ্যে মাও:-পরবের অবসান হইয়া থাকে।