পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسویسbgخG প্রবাসী Sలి38 মিঃ জিন্নার বাঞ্ছিত “সাম্য” সম্বন্ধে আমাদের অনুমান মিঃ জিন্না জব্বলপুরে বলিয়াছেন, হিন্দু-মুসলমানের মিলনের সর্ব সম্বন্ধে তিনি হিন্দুদের সহিত আলোচনা সমানে সমানে করিতে প্রস্তুত আছেন, অর্থাৎ তিনি হিন্দুদের নিম্নস্থানীয় হইয়া কোন আলোচনা করিতে চান না। আমরাও চাই না, যে, কেহ কাহারও সহিত আলোচনায় আপনাকে অপর পক্ষ অপেক্ষ নিকৃষ্ট মনে করে । সেই জন্য ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের কিরূপ সাম্যে আমাদের সম্মতি আছে তাহা আমরা বলিয়াছি । তাহার পর মিঃ জিক্স কিরূপ সাম্য চান, সে সম্বন্ধে আমাদের অনুমানও লিপিবদ্ধ করিয়াছি। এই অনুমানটা ভিত্তিহীন, অমূলক, নিছক ব্যঙ্গ মনে হইতে পারে ; কিন্তু তাহা নহে। কেন নহে, তাহ বলিতেছি । পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরুর বিবৃতির উত্তরে মিঃ জিন্না এক জায়গায় এই মৰ্ম্মের কথা বলিয়াছেন – { ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের } ধৰ্ম্ম, সংস্কৃতি ও ভাষাতে হস্তক্ষেপ করা হইবে না, কংগ্রেসের পক্ষ ইষ্টতে এইরূপ সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে, বার-বার এই কথাটি প্রচারিত হইতেছে । এ বিষয়ে আমার বক্তব্য এই যে, আমরা এইরূপ ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করিতে পারি না । আমি চাই, পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরু আজ একথা উপলব্ধি করুন, যে, তাহার বা কংগ্রেসের আজিও সমগ্রভারতে এমন কোন চূড়ান্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমত হয় নাই, ষাহার প্রভাবে বা ফলে ঠিাতাদের পক্ষে কাৰ্য্যকর কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা ঘোষণা প্রচার করা সম্ভবপর। আমরা সুনির্দিষ্ট ও কাৰ্য্যকর এরূপ রক্ষাকবচ (safeguard) চাই এবং কার্ধ্যকর এরূপ হাতিয়ার চাই যাহার দ্বারা কেবল আমাদের ধৰ্ম্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা অক্ষুন্ন রাখাই সম্ভবপর হইবে না, পরস্তু আমাদের রাজনৈতিক অধিকার এবং দেশ শাসনের ব্যাপারে আমাদের সম্যাক্‌ মৰ্য্যাদা ও অধিকার বজায় রাখার ব্যবস্থা করাও সম্ভবপর হইবে ।” কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অমুসারে যাহাতে কাজ হয় । সেরূপ ব্যবস্থা করিবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কংগ্রেসের নাই—মিঃ জিন্নার এই মর্শের কথা খুব সহজবোধ্য। মিঃ জিন্না যাহা বলিয়াছেন, তাহা সম্পূর্ণ সত্য নহে । যে-ছয়টি প্রদেশে কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল গঠিত হইয়াছে, তথায় ধৰ্ম্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা সম্বন্ধে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি পালন করিবার মত যথেষ্ট ক্ষমতা জন্মিয়াছে, ধদিও সমগ্র ভারতে তাহ জন্মে নাই। ষাহী হউক, এ-প্রকার আলোচনা এখন আমাদের অভিপ্রেত নহে। তাহা করিবার প্রয়োজনও নাই । কংগ্রেস (কিংবা হিন্দু সম্প্রদায় ) মুসলমানদের ধৰ্ম্মে ংস্কৃতিতে ও ভাষায় ব্যাঘাত জন্মায় নাই, জন্মাইতে ইচ্ছাও করে নাই । আমরা জানিতে চাই, যে, যদি মিঃ জিন্নার মতে কংগ্রেস নিজ প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করিতে বা করাইতে অক্ষম, তাহা হইলে তিনি কংগ্রেসের সহিত বা কংগ্রেসের কোন কোন নেতার সহিত চুক্তি বা রক্ষার সপ্তাদি সম্বন্ধে আলোচনা আগে কেন করিয়াছিলেন, এবং এখনই বা তিনি কেন বলিতেছেন, “কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ হইতেই হিন্দু-মুসলমান চুক্তিত্ব সুস্পষ্ট প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়া আবশ্যক,” “মহাত্মা গান্ধী যদি প্রস্তাব রচনা করিয়া ঠাহার সহিত আলোচনা করেন, তাণ্ড হইলেই ভাল হয় ?” প্রতিশ্রুতি অনুষায়ী কাজ করিবার বা করাইবার ক্ষমতা যাহাদের নাই, তাহাদের প্রস্তাবের কি মূল্য আছে । যাহা হউক, ইহাও আমাদের প্রধান আলোচ্য নহে। মিঃ জিয়া এরূপ রক্ষাকবচ ও হাতিয়ার চান, যাহার বলে মুসলমানদের ধৰ্ম্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা এবং রাজনৈতিক অধিকার ও শাসনকার্ধ্যে সম্যক মর্যাদা আদি অক্ষুণ্ণ থাকিবে । ংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিতে র্তাহার আস্থা নাই । গবন্মেন্ট সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার দ্বারা মুসলমানদিগকে যাহা দিয়াছেন, তাহাও তিনি যথেষ্ট মনে করেন না। কারণ, তিনি তাহ যথেষ্ট মনে করিলে নূতন করিয়া রক্ষাকবচ ও হাতিয়ার চাহিতেন না । তিনি যাহা চাহিতেছেন তাই যাহাই হউক, একমাত্র গবন্মেস্টই তাহা দিতে পারেন । সুতরাং এখন বিচার করিয়া দেখা আবগুক, কি হইলে মুসলমান বা অন্ত কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অন্তনিরপেক্ষভাবে সম্পূর্ণ নিজেদের ক্ষমতায় সব দিকে আত্মরক্ষা করিতে পারে। অবগু ইহা ধরিয়া লওয়া হইতেছে যে, সংখ্যাভূমিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় অন্য সকলকে অধিকারচুতি ও ক্ষতিগ্রস্ত করিতে উন্মুখ হইয়া রহিয়াছে (যাহা সত্যু নহে ) । ব্যবস্থাপক সভাসমূহে মুসলমানদের প্রতিনিধি মোট প্রতিনিধির সংখ্যার অর্ধেকের কিছু অধিক হইলে এবং