পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

をおの প্রবাসী 令N°88 ক্ষণিক গর্জন অস্তে ক্ষীণস্বরে তখনি জানায়ু নিরাপদ নীরব নম্রতা। রাষ্ট্রপতি যত আছে প্রৌঢ় প্রতাপের, মন্ত্রসভাতলে আদেশ নির্দেশ রেখেছে নিম্পিষ্ট করি রুদ্ধ ওষ্ঠ অধরের চাপে সংশয়ে সংকোচে। এদিকে দানব-পক্ষী ক্ষুদ্ধ শূন্তে উড়ে আসে ঝণকে ঝণকে বৈতরণী নদীপার হতে যন্ত্রপক্ষ হুংকারিয়া নরমাংসক্ষুধিত শকুনি, আকাশেরে করিল অশুচি ৷ মহাকাল-সিংহাসনে সমাসীন বিচারক, শক্তি দাও, শক্তি দাও মোরে, কণ্ঠে মোর আনো বজ্ৰবাণী, শিশুঘাতী নারীঘাতী কুৎসিত বিভৎস পরে ধিক্কার হানিতে পাfর যেন নিত্যকাল র’বে যা স্পন্দিত লজ্জাতুর ঐতিহের হৃৎস্পন্দনে, রুদ্ধকণ্ঠ ভয়াত এ শৃঙ্খলিত যুগ ধবে নিঃশব্দে প্রচ্ছন্ন হবে আপন চিতার ভস্মতলে ।”

প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চদশ অধিবেশন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চদশ অধিবেশন যথাযোগ্য সমারোহ ও উৎসাহের সহিত এবার পাটনায়ু হচয় গেল। আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয় মূল সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন । র্তাহার অভিভাষণের বিষয় ছিল “বাঙালীর ভবিষ্যৎ” । এবিষয়ে তিনি বহু বৎসর ধরিয়া নানা কথা বলিয়াছেন ও লিখিয়াছেন । তথাপি তাহার পাটনার অভিভাষণটিতে নূতন কথা আছে। অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতি সব মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় উাহার অভিভাষণে “সাহিত্য” শব্দটি সম্বন্ধে কয়েকটি অনুধাবনষোগ্য কথা বলিয়াছেন । এই দুটি অভিভাষণ এবং বিভিন্ন শাখাসমূহের সভাপতিদিগের এবং সঙ্গীত শাখার সভানেত্রীর অভিভাষণ কোন কোন সংবাদপত্রে মুদ্রিত হইয়াছে এবং তাহা পাঠ করিয়া পাঠকগণ উপকৃত হইয়াছেন। সম্মেলনের পাটনা অধিবেশনের উদ্যোক্তাগণ অধ্যাপক বিমানবিহারী মজুমদার প্রণীত “পাটনার বিবরণ" মুদ্রিত করিয়া সমবেত প্রতিনিধি ও দর্শকদিগকে পাটনার পুরাতত্ত্ব জানিবার এবং পাটনা ও বিহারে বাঙালীর ইতিহাস ও কীৰ্ত্তি অবগত হইবার স্বধোগ দিয়াছিলেন। এই পুস্তিকার গোড়ার ছবিগুলি কাল কালিতে ছাপা হইলে স্পষ্টতর হইত। অভ্যর্থনী-সমিতি কর্তৃক কাৰ্য্যসূচী পুস্তিকাটি প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিনিধি ও দর্শকের উপকৃত হইয়াছিলেন । সম্মেলনের এই অধিবেশনে বহুপূৰ্ব্বেই যাহা করা উচিত ছিল তাহার সেইরূপ একটি কৰ্ত্তব্য করিয়া সম্মেলন প্রশংসাড়াজন হইয়াছেন–র্তাহারা সম্মেলনের পরিচালক-সমিতির কাণ্ডারী পরম শ্রদ্ধাভাজন ডাক্তার ঐযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ সেনকে অভিনন্দিত করিয়াছেন । সম্মেলনে পঠিত অনেক প্রবন্ধ জ্ঞানগর্ত ও মননশীলতার পরিচায়ক হইয়াছিল। সম্মেলনের এই অধিবেশনে অনেকগুলি দরকারী প্রস্তাব श्रृंशैंउ श्हेब्राप्छ । “বন্দেমাতরম্ সংগীতটি ষাহাতে আদ্যোপাস্ত গীত হয়, তাহার অনুকূলে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। অ-বাঙালীর উহার কোন অংশ বা সমস্তটি গান করুন বা না-করুন, উহার অনুরাগী বাঙালীদের সব সভাসমিতির অধিবেশনে ত উহ! আগাগোড়া গীত হইতে পারে ; তাহ হয় না কেন ? উহ কিন্তু ঠিক স্বরে গাওয়া উচিত। প্রবাসী বাঙালী সমিতি ও সাহিত্যসমিতি সকলকে আগামী বঙ্কিম শতবার্ষিকীতে সহায়তা ও সহযোগিতা করিতে অনুরোধ করা হয়। কলিকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় শিক্ষা দিবার ও পরীক্ষা লইবার অনুরোধ করিয়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। শ্রযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্তের সভাপতিত্বে চন্দননগরে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের অধিবেশনে এইরূপ প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছিল। সেই প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়ের কর্তৃপক্ষকে মৃথারীতি প্রেরিত হইয়াছিল কিনা এবং প্রেরিত হইয়া থাকিলে তাহার কি উত্তর আসিয়াছিল, জানি না । পাটনার সম্মেলনের প্রস্তাবটি সভাপতি মহাশয়ের স্বাক্ষরসহ বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়ের কর্তৃপক্ষকে পাঠান হইবে আশা করি। নতুবা এরূপ প্রস্তাব গ্রহণ করা নিরর্থক । . উক্ত প্রস্তাব সম্পর্কে বলা হয়, যে, যত দিন তদনুসারে কাজ না হয় তত দিন যেন ইণ্টারমীডিয়েট ও বি এ পরীক্ষার জন্ত প্রত্যেক বিষয়ে অন্ততঃ একটি করিয়া বাংলা পুস্তক পঠনীয় বলিয়া নিদিষ্ট হয়। এই কথাটিও বিশ্ববিদ্যালয়দ্বন্ধের কর্তৃপক্ষকে জানান আবশুৰ । আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দী মরাঠী প্রভৃতি ভাষার স্কায় বাংলাও একটি শিক্ষিতব্য বিষয় হউক, এবং নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থল ফাইন্যাল ও হাইস্কুল পরীক্ষায় বাংলা লইবার ব্যবস্থা হউক, এইরূপ দুটি প্রস্তাবও গৃহীত হয় । প্রস্তাব দুটি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে পাঠান হইবে আশা করি । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতবর্ষের প্রধান সব ভাষার কোনটিকেই বাদ দেন নাই, সকলকেই যথাযোগ্য মৰ্য্যাদা দিয়াছেন । ভারতবর্ষের অস্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাকে তাহার প্রাপ্য সম্মান ত দেনই না, তাহার অস্তিত্বকে পৰ্যন্ত উপেক্ষ করেন। আমরা কিছু দিন পূৰ্ব্বে মডার্ণ রিভিয়ু কাগজে একটি প্রবন্ধে দেখাইয়াছিলাম, যে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ষে অর্থে স্থাশগুলি অর্থাৎ ভারতে সকল প্রধান