পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ৰিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞানকংগ্রেসের জুবিলী (ఫెషి ভাষাকে এবং সকল প্রধান ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে উপযুক্ত মৰ্য্যাদা দিয়াছে অন্য কোন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাহা দেয় নাই । একটি প্রস্তাবে বলা হয়, যে, লক্ষ্মেীয়ের বেঙ্গলী ক্লাব ও যুবক সঙ্ঘের নাম স্বগীয় অতুল প্রসাদ সেনের নাম অনুসারে *অতুল সমিতি” রাখা হউক । অন্য কয়েকটি প্রস্তাবে বলা হয়, প্রবাসী বাঙালীদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হউক, এবং আগামী অধিবেশনে ছাত্রদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করা এবং সমাগত প্রতিনিধি ও দর্শকদের মধ্যে পরিচয়ের জন্য আলোচনাদির ব্যবস্থা করা আবখ্যক । আগামী বৎসর গৌহাটীতে অধিবেশন করিবার জন্য আহবান আসিয়াছে । কয়েক মাস পূৰ্ব্বে আমরা যখন গৌহাটী গিয়াছিলাম, তখন এই কথা তুলিয়াছিলাম। শ্ৰীযুক্ত প্রমথ চৌধুরীকে জগত্তারিণী পদক প্রদান সর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাহার মাতার নামে এই স্বর্ণপদক দানের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন এবং তদৰ্থে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে যথেষ্ট টাকা দিয়া গিয়াছেন ।

  • বাংলা ভাষায় সাহিত্য অথবা বিজ্ঞানে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মৌলিক গ্রন্থের রচয়িতাকে” দুই বৎসর অন্তর এই পদক দেওয়া হয় । এ-পর্য্যস্ত যাহারা এই পদক পাইয়াছেন, তাহারা সকলেই সাহিত্যিক গ্রন্থের রচয়িত, বিজ্ঞানের পুস্তক লিখিয়া এ-পর্ধ্যস্ত কেহ এই পদক পান নাই । ১৯৩৭ সালের জন্য শ্ৰীযুক্ত প্রমথ চৌধুরীকে এই পদক দেওয়া হইবে। তিনিও সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক নহেন। ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে যে, বাঙালীদের মধ্যে কয়েক জন বৈজ্ঞানিক গবেষণা করিয়া থাকিলেও কোন বাঙালী বৈজ্ঞানিক নিজের মৌলিক গবেষণাপূর্ণ এরূপ বাংলা বহি লিখেন নাই ষাহী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে পদকপ্রাপ্তিসম্মানের ধোগ্য। প্রমথ বাবু এই পদক পাইবার

ধোগ্য। ইতিপূৰ্ব্বেই তাহাকে ইহা দিলে অন্যায় হইত {{| || বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক বহি আগে লিখিয়াছি, এ-পর্ধ্যস্ত কোন বাংলা বৈজ্ঞানিক বহির জন্ত কোন বাঙালী গ্রন্থকারকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ' দেওয়া হয় নাই। দেওয়া হইবার সম্ভাবনাও ছিল না । সাধারণ বাঙালী পাঠক-পাঠিকাদিগের নিমিত্ত বাংলা বৈজ্ঞানিক বহি লিখিত হয় না—তাহার। ওরকম বহি প্রায় পড়েন না । বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্ত বৈজ্ঞানিক বহি লেখা হয়। তাঁহাদের মধ্যে যাহারা বাংলা বিদ্যালয়ে পড়ে, তাহাদেরই জন্ম বাংলা বৈজ্ঞানিক বহি লিখিত হয় । সে রকম বালকবালিকা-পাঠ্য পুস্তকে মৌলিক-গবেষণা-লব্ধ তত্ত্ব থাকিবার কথা নয়। যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার মধ্য দিয়া বিজ্ঞান শিখান হয়, তাহ হইলে উচ্চতর মানের {ষ্টাণ্ডাডের) বৈজ্ঞানিক বাংলা বহি লিখিত হইবে এবং তখন মৌলিক গবেষণার বহি ৪ বাংলায় লিখিত হইবে। তাহার জন্য নূতন নূতন পারিভাষিক শব্দ আবশ্বক হইবে। সংস্কৃত ধাতু ও প্রত্যয়ের সংযোগে এই প্রকার শব্দ রচিত হইতে পরিবে । ইতিমধ্যে বহু পারিভাষিক শব্দ রচিত ও ব্যবহৃত হইয়াছে। এই কাজ বৈজ্ঞানিক বহির ও প্রবন্ধের লেখকের করিয়াছেন, কোন কোন কোষকার করিয়াছেন, বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ করিয়াছেন, এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় করিতেছেন । বৈজ্ঞানিক পরিভাষা প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত আচার্ষ্য জগদীশচন্দ্র বস্থ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদকে কয়েক হাজার টাকা দিয়া গিয়াছেন । বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের অভাব কত বেশী, তাহ আচার্ধ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পাটনা অধিবেশনের অভিভাষণের শেষে মুদ্রিত বিজ্ঞানগ্রন্থপঞ্জী দেখিলে বুঝা যায়। তালিকাটি অবগু অসম্পূর্ণ। কিন্তু তাহা হইলেও ইহা হইতে বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের স্বল্পতা সম্বন্ধে ধারণা জন্মে । ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞানকংগ্রেসের জুবিলী গত মাসে কলিকাতায় বিজ্ঞানকংগ্রেসের জুবিলীর সঙ্গে ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক এসোসিয়েশ্যনের অধিবেশন শুধু কলিকাতার বা বঙ্গের নহে, সমগ্র ভারতবর্ষেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় ঘটনা। এই উপলক্ষে ভারতবর্ষের সকল প্রদেশ হইতে বৈজ্ঞানিকের কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, ব্রিটেন হইতে বহু জগদ্বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক আসিয়াছিলেন, এবং পৃথিবীর অপ্ত কোন কোন সভ্য দেশ হইতেও বহু প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক আসিয়াছিলেন। কেহ কেহ সস্ত্রীক আসিয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন মহিলা বৈজ্ঞানিকও অল্পসংখ্যক আসিয়াছিলেন। ইহঁাদের সকলের ভারতবর্ষে আগমনে ও ভারতবর্ষের বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক অনেকের সহিত সংস্পশের ফলে র্তাহাদের সম্বন্ধে ভারতীয়দের এবং ভারতীয়দের সম্বন্ধে র্তাহীদের ধারণ অধিকতর স্পষ্ট ও সত্যসঙ্গত হইবে । বিদেশিনী মহিলা যtহারা আসিয়াছিলেন, তাহাদিগকে কলিকাতার নানা ভ্রষ্টব্য প্রতিষ্ঠান ও স্থান কয়েক জন বাঙালী মহিলা দেখাইয়াছেন । 創 বিজ্ঞানকংগ্রেস জুবিলীর সভাপতি স্বপ্রসিদ্ধ পদার্থবিদ্যাবিং ও পদার্থবিদ্যাবিষয়ক গবেষক লর্ড রাদারফোর্ডের