পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ৰিবিধ প্রসঙ্গ—নিখিল ব্ৰহ্ম-প্রবণসী ৰঙ্গসাহিত্য সম্মেলন ○。@ -حصيrrصيجابيعيي কর্তৃপক্ষের স্ববন্দোবস্ত সত্বেও অনেকের পীড়া হইবে, অনেকে আহত হইবে, অনেকের আত্মীয়স্বজন বা শিশু হারাইয়া যাইবে, অনেকে রেলের টিকিট কিনিতে পারিবে ন, ও অন্ত নানা দুঃখ ও অস্ববিধ অনেকের হইবে । এলাহাবাদের সেবাসমিতি যাত্রীদের সকল প্রকার সেবা কfরবেন। এ বিষয়ে তাহাদের অভিজ্ঞতা আছে। পত্তিত মদনমোহন মালবীয় এই সমিতির সভাপতি । কমিটি ২০,০০০ টাকা ও ১২• • স্বেচ্ছাসেবক চান । যাহার সাহায্য করিতে চান, র্তাহারা সমিতির এলাহাবাদস্থ প্রধান কাৰ্য্যালয় ১ নং কটর রোডে সাহায্য পাঠাইবেন। নিখিল ভারত দেশীয় খ্ৰীষ্টিয়ান সম্মেলন .৯৩৭ সালের ডিসেম্বর কলিকাতায় সেণ্ট পলস কলেজে নিখিল ৪ারত দেশীয় খ্ৰীষ্টিয়ান সম্মেলনের অধিবেশন হয় । যুক্ত সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতিরূপে বলেন, “মূভল শাসনতন্ত্রে আপত্তিকর অংশ হইল সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার । রাষ্ট্রভস্ত্রে এরূপ বিধান অন্তভুক্তি করিয়া বিভেদ স্বষ্টি কর ব্রিটিশ-পালিরামেন্টের উপযুক্ত কাৰ্য্য হয় নাই। ইহা গ্রহণের সম্পূর্ণ অধোগ্য। ইহা হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে ঠিক ভাব আনয়ন করিয়াছে ও হিন্দুদিগকে অস্থবিধাজনক অবস্থার ফেলিয়াছে। আমরা যেন ন ভুলি যে, হিন্দুগণই বাংলা দেশে রাজনৈতিক চতন আনয়ন করিয়াছে ও বৰ্ত্তমান বাংলা গঠন কল্পিয়াছে। সাম্প্রদায়িক বাঢ়োয়ার প্রত্যাহার করা উচিত, অন্ততঃ উহার এরূপ সংশোধন করা উচিত যাহাতে হিন্দু ও মুসলমানদিগের মধ্যে সঙ্গতভাবে উপযুক্তসংখ্যক প্রতিনিধি হয়। খ্ৰীষ্টিয়ানগণ অত্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাহাজের রাজনীতি সাম্প্রদায়িকত হইতে যুক্ত। বহু পূর্বে আমরা ঘোষণা করিয়াছি, রাজনীতিক দিক হইতে আমরা আমাদিগকে প্রথমে ভারতীয় সাম্রাজ্যের নাগরিক বলিয়া মনে করি । আমরা সাম্প্রদায়িক যুক্তিকে ভত্তি করিয়! দাবী করি না । আমরা বিশেষ নিৰ্ব্বাচক মণ্ডলীর বিরোধী, উহার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিয়াছি। তথাপি আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালিয়ামেণ্ট আমাদের উপর উহা চাপাইয়াছেন। উহার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করিয়াছি। আমরা সদস্তপদ সংরক্ষণ করিয়া যুক্তনির্বাচনের পক্ষপাতী। মিঃ জিন্ন বিশেষ নিৰ্ব্বাচনের জন্য সংগ্রাম করিয়া ভারত্তের যোর অশিষ্ট করিয়াছেন। আমাদের আদর্শ স্বরাজ লাভ ।” লেডী মহারাজ সিংহ সভানেত্রীর আসন গ্রহণ করিয়া বলেন, “কংগ্রেস মস্ত্রিমণ্ডলী যে মনোভাব লইয়৷ কাৰ্য্য করিতেছেন, তজ্জন্য র্তাহাদিগকে ধন্যবাদ দিতেছি । খ্ৰীষ্টিয়ান সম্প্রদায় কোন বিশেষ সুবিধা প্রার্থনা করার অপরাধ করে নাই । সম্প্রদায়ের স্বার্থের উপরে দেশের স্বার্থকে স্বাণ দিত্তে হইবে।” ভারতীয় খ্ৰীষ্টিয়ান সমাজের এইরূপ মত প্রকাশ প্রত্যেক প্রকৃত দেশভক্তকে আনন্দিত করিবে । হিন্দু মহাসভার অধিবেশন ১৯৩৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আহমদাবাদে ছিনু মহাসভার উনবিংশ অধিবেশন হয়। সভায় ৫ শত প্রতিনিধি উপস্থিত হন। তন্মধ্যে ४जद्रांगैि ७ भशंद्रांझेब्रई वदिक । छूझे *ठ अश्लि छैशरङ cषांनं cफ्न । সভাপতি বিনারক দামোদর রাও সাভারকর বলেন, রাষ্ট্রীয় কোন ব্যাপারে কাহাকেও যেন জিজ্ঞাপ করা ন হয় সে হিন্দু, মুসলমান বা খ্ৰীষ্টিয়াল কিনা। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার দোষগুণের স্বারা বিচার করিতে হইবে । জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সকলে এক ভোটের অধিকারী হউক । হিন্দু মহাসঙ। অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র স্থাপনের জন্ত অনুরোধ করেন। ডাঃ মুঙ্কে বলেন, “ন স্তন শাসনতন্ত্রের অনেক দোষত্রুটি থাকা সত্ত্বেও এবং উহা অসন্তোষজনক হইেলও হিন্দুস্থানকে একটি সম্মিলিত জাতিরূপে সংগঠন করার উদ্দেশ্নে যেটুকু স্ববিধা আছে, তাহার সুযোগ হিন্দু জাতির গ্রহণ করা উচিত। এই উদ্দেষ্ঠে অবিলম্বে গবন্মেটিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তন করিতে বলা হইয়াছে। সম্প্রদায়ভেদে ভারতকে হিন্দু-ভারত ও মোrশ্লম-ভারত এই দুই ভাগে বিভক্ত করার জন্ত চেষ্টা চলিতেছে । যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তনে এস চেষ্টা ব্যর্থ হইবে।” পঞ্চাবের ভূতপূর্ব মন্ত্রী ডাঃ সর গোকুলচাদ নারাঙ্গ বলেন, প্রদেশসমূহ মস্থিত্বগ্রহণে যে শক্তিলাভ করিয়াছে, যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণে সেইরূপ শক্তি লাভ হইবে।” মিঃ কারাণ্ডিকর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এক্ষণে আর কল্পন নহে, সুতরাং কংগ্রেস ও হিন্দু রাজগণের বুদ্ধিমালের স্কার কার্য্য করা উচিত ।” সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার নিন্দা করিয়া ও বাটোয়ার বন্ধ ন হইলে ऍशएक वां५ दिांद्र अशु शशांमांक्षा (फ़ठे कद्रांद्र मकब्र कब्र श्रॅग्नांtछ् । মুসলমান শাসনাধীনে দেশীয় রাজ্যে হিন্দুদের অবস্থা তদন্তের জন্য এক কমিটি নিযুক্ত কর হইয়াছে । নিখিল ব্রহ্ম-প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রেসুন শহরে নিখিল ব্ৰহ্মপ্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশন হইয়া গিয়াছে । ব্ৰহ্মদেশের বাঙালীর সমুদ্রপারে ভারতবর্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া বাস করেন । সেই জন্ম ভারতবর্ষের প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনে তাহারা যোগ দিতে পারেন না । তাহাদের একটি আলাদা সাহিত্য সম্মেলন করিবার ইহাই কারণ। ব্ৰহ্মদেশে বাঙালী আছেনও ত কম নয় । আসাম প্রদেশে ও বিহার প্রদেশে বাঙালীর সংখ্যা বেশী হইবার একটি প্রধান কারণ, ঐ দুই প্রদেশের সহিত ভৌগোলিক বঙ্গের কোন কোন জেলা ও অংশ জুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে । ভৌগোলিক বঙ্গের অংশগুলিতে বিহারে ও আসামে যত বাঙালী বাস করেন, তাহাদিগকে বাদ দিলে ঐ দুই প্রদেশে বাঙালীর সংখ্যা খুব বেশী নয়। ঐ দুটি প্রদেশ ছাড়া ভারতবর্ষের অঙ্ক প্রদেশগুলিতে বঙ্গের বাহিরে মৃত বাঙালী বাস করেন, তাহ অপেক্ষ অনেক বেশী বাঙালী ব্ৰহ্মদেশে বাস করেন, এবং ব্ৰহ্মদেশের বাঙালীবু মোটের উপর ভারতবর্ষের বঙ্গের বাহিরের বাঙালীদের চেয়ে বিদ্যাবুদ্ধিকৃতিৰ ও সম্পদে নিম্নস্থানীয়, নহেন । অথচ আমরা তাহাদের বিষয় কমই ভাবি। বস্তুতঃ তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ দুঃখ করিয়া স্পষ্টই আমাকে বলিয়াছেন, ষে, আমরা