পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○&B প্রবাসী S\లి8g ভারতীয়েরা চীনের পক্ষে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে যাইতে পারে না । তাহারা চীনকে অর্থ সাহায্য করিতে পারে, এবং ডাক্তার, ঔষধ ও য়্যামূল্যান্স পাঠাইতে পারে । ভারতবর্ষের ধনী ব্যক্তিরা এ-বিষয়ে মনোযোগী হইলে চীনের কিছু সাহায্য হইতে পারে । কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় ধনী নিধন সকলকে চীনকে সাহায্য করিতে অনুরোধ করিয়াছেন । ত্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঁচ শত টাকা দিয়াছেন । পাচ লক্ষ টাকা দিতে সমর্থ লোকও ভারতবর্ষে আছেন—যদিও অধিকাংশ ভারতবাসী द्भियं । চীনে ডাক্তার, ঔষধপত্র ও স্বাস্থূল্যান্সের কিরূপ প্রয়োজন তাহা আমরা মডার্ণ রিভিয়ুর লেখিকা শ্রযুক্ত য়্যাগ্নেস্ মেডলির চিঠি অনুসারে ডিসেম্বর মাসের মডার্ণ রিভিয়ুতে লিখিয়াছিলাম। পরে কংগ্রেসের সভাপতি মহাশয়ও সেই মৰ্ম্মের আবেদন করায় আমাদের লেখা সমর্থিত হইয়াছে । “স্বর্ণময়ী বয়ন বিদ্যালয়” মৈমনসিংহের স্বর্ণময়ী বয়ন বিদ্যালয় ১৯২৯ সালে স্থাপিত হয়। ইহাতে মহিলাদিগকে তোয়ালে, ধুতি, শাড়ী, চাদর, মটকা ও পশমী বস্ত্র বুনিতে শিখান হয়, এবং কাপড় ও স্বতা রঙীন ও সেলাই শিক্ষা দেওয়া হয় । বালিকাদিগকে বাংলা ইংরেজী ও হিসাব শিক্ষা দেওয়া হয় । এই বিদ্যালয়ের অর্থসাহায্যের প্রয়োজন । সাহাধ্য মৈমনসিংহে শ্ৰীমতী লাবণ্যপ্রভা বসুকে পাঠাইতে হইবে । বঙ্কিমচন্দ্র শতবার্ষিকী - কয়েক মাস পরে বঙ্কিমচন্দ্র শতবার্ষিকী অমুষ্ঠিত হইবে। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষধ তাহার উদ্যোগ করিতেছেন । তাহার গ্রন্থাবলীর একটি শতবাধিকী সংস্করণ প্রকাশিত হুইবে । র্তাহার কাঠালপাড়াস্থিত বাড়ীটি রক্ষিত হইলে বাঙালীর মান রক্ষা পাইবে । তাহার স্মৃতিরক্ষার ব্যবস্থা নিজ লেখনী দ্বারা তিনি নিজেই করিয়া গিয়াছেন। বঙ্গে দেশভক্তির অভিব্যক্তির ইতিহাসে তাহার নাম উজ্জল হইয়া থাকিবে । কেশবচন্দ্র শতবার্ষিকী বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবার্ষিকীর কয়েক মাস পরে (১৯৩৮ সালের নবেম্বর মাসে ) ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের শতবার্ষিকী অতুষ্ঠিত হইবে। তাহার বকৃত, উপদেশ, প্রার্থনা, রচনাবলী প্রভৃতির একটি সংস্করণ মুঞ্জিত হইবে । তাহাকে সচরাচর কেবল ধৰ্ম্মোপদেষ্ট ও সমাজসংস্কারক মনে করা হয়। তিনি ধৰ্ম্মোপদেষ্ট ও সমাজসংস্কারক ছিলেন ইহা সত্য । কিন্তু তিনি সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের শাস্ত্রকে উপযুক্ত মৰ্য্যাদা দিয়া মহাজাতি গঠনেও সাহায্য করিয়াছিলেন । শিক্ষাক্ষেত্রেও তাহার কৃতিত্ব কম নহে । বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উপরও র্তাহীর প্রভাব পড়িয়াছিল । ছেলেদের জন্ত তিনি “বালকবন্ধু" নামক কাগজ বাহির করেন । তাহার এক পয়সা দামের “স্থলভসমাচার* বাংলা প্রথম সুলভ খবরের কাগজ। পানদোষ-নিবারণে তিনি এক জন শক্তিশালী নেতা ও কৰ্ম্মী ছিলেন। তাহার সাক্ষাৎ ও পরোক্ষ প্রভাবে এক সময়ে বঙ্গের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর, রবীন্দ্রনাথের মতে, ইউরোপীয় তাৎকালিক তরুণ-তরুণীদের চেয়ে চারিত্রিক শ্রেষ্ঠতা লাভ করিয়াছিলেন । সংস্কারদিগকে ভাঙার কাজ অল্পাধিক করিতে হয় । কেশবচন্দ্রও ভাঙিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি ধৰ্ম্মাহুমোদিত নূতন আচার অনুষ্ঠানাদি প্রবর্তনের চেষ্টাও করিয়াছিলেন। ধৰ্ম্মামুগত সাম্যবাদের প্রতি তাহার দৃষ্টি ছিল । তাহার ভারতাশ্রম তাহার প্রমাণ । ফুকার বিরুদ্ধে আন্দোলন বীভৎস ও অনিষ্টকর ফুকা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলিতেছে । কয়েক দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতার থিয়সুফিক্যাল হলে ইহার বিরুদ্ধে যে সভা হয়, সি এফ, এওল সাহেব তাহার সভাপতি হন । তিনি এবং সভাস্থ অন্যান্য বক্তার: ফুকা প্রথার উচ্ছেদের জন্য কঠোরতর অাইন আবশ্বক বলেন। সভা বড়লাটকে, কুয়ার সবু জগদীশ প্রসাদকে এবং বঙ্গের মন্ত্রিমণ্ডলকে আইন প্রণয়ন করিতে অনুরোধ করেন । নিখিল ভারতীয় শিক্ষা কনফারেন্স গত মাসে যে-সকল বৃহৎ সভা-সমিতি হইয়াছে, নিখিল ভারতীয় শিক্ষা কনফারেন্স তাহার মধ্যে অন্যতম। অস্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার ত্রযুক্ত সি আর রেড ডি সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। এই কনফারেন্সে তাহার ও অন্ত কয়েক জন বক্তার বকৃত শিক্ষাপ্রদ হইয়াছিল। ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কনফারেন্সকে শিক্ষাবিষয়ে অস্তদৃষ্টিপূর্ণ র্তাহার ষে মন্তব্য পাঠাইয়াছিলেন vetai *fttsfaû qwtsta* (“Visva-bharati News") পত্রিকায় মুদ্রিত হইয়াছে। হরিদ্বারে কুম্ভমেলা ও সেবাসমিতি আগামী কুম্ভমেলা হরিদ্ধারে হইবে । তখন ভারতের সকল প্রদেশ হইতে লক্ষ লক্ষ যাত্রী সেখানে সমবেত হইবে।