Նօo মাণ্ডালেতে আমাকে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজী ৰকৃভা করিতে হয়। ষে দিন সেখান হইতে সন্ধ্যায় চলিয়া আসি, সেই দিন পরের পর একটি ভদ্রলোক ( বোধ হয় পঞ্জাবী কিংবা গুজরাটী আসিয়া বলিলেন, “আমাদের মহিলারা ( অবাঙালী মহিলার ) অনেকেই বলিতেছেন তাহারা ইংরেজী বাংল কিছুষ্ট বুঝেন না ; আপনি হিন্দীতে তাহাদিগকে কিছু বলুন।” কিন্তু তখন আর সময় ছিল না। নতুবা ভাঙা অশুদ্ধ হিন্দীতে কিছু বলিতে চেষ্টা করিতাম। মেমিওতেও বাংলায় একটি বক্তৃভা করিতে হইয়াছিল। ব্রহ্মদেশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা ব্ৰহ্মদেশে বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন এই দুই বার হইল । তাহার ফলে তথাকার বাঙালীদের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চ কিছু বাড়িবে । চর্চ অবশ্য আগে হইতেই ছিল । রেজুনে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ আছে। কেহ কেহ বাংলা বহি লিখিয়াছেন। রেঙ্গুনে বাংলা পুস্তকাদি ছাপিবার একাধিক প্রেস অাছে। ব্রহ্মদেশের বাঙালীদের এক খানি মাসিক, নৃনেকল্পে এক খানি ত্রৈমাসিক, পত্রিক থাকা একান্ত আবশ্যক। এবারকার তন্ত্রভ্য সাহিত্য সম্মেলনে তথা কার সাহিত্য-পরিষদকে এইরূপ একটি কাগজ বাহির করিতে অনুরোধ করা হইয়াছে । ব্ৰহ্মদেশের বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন দুই বারই রেজুনে হইয়াছে। ইহার অধিবেশন ব্রহ্মের অন্য যে কয়টি শহরে ইহার উদ্যোগ আয়োজন করিতে ইচ্ছ,ক ও সমর্থ যথেষ্ট ংখ্যক বাঙালী আছেন, পৰ্য্যায়ুক্রমে সেখানেও হইলে বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্যের চর্চ অধিকতর বুদ্ধি পাইবে । আগামী বৎসর মাগুালের নেতৃস্থানীয় বাঙালীরা তথায়ু সম্মেলনের অধিবেশনের ভার লইতে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন। সেখানে অধিবেশন হইলে মেমিওর বাঙালীরাও উদ্যোগ আয়োজনে যোগ দিবেন। ব্রহ্মদেশে ভারতীয়দের সমস্যা ব্ৰহ্মদেশে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে তথাকার ব্যবস্থাপক সভায় এমন কয়েকটি বিল উপস্থাপিত হইবে যাহা আইনে পরিণত হইলে ব্রহ্মের ভারতীয়দের অস্থবিধ হইবে । আগম্ভক কাহার। কিরূপ যোগ্যতাবিশিষ্ট হইলে ব্রহ্মের স্থায়ী বাসিন্দ্ৰ গণ্য হইবে, একটি আইন ভবিষয়ক । ঐ দেশের নারী ও ভারতের পুরুষদের কি প্রকার মিলন বিবাহ বলিয়া গণ্য হইবে এবং এইরূপে বিবাহিত বলিয়। গণিত পুরুষনারী কিরূপ উত্তরাধিকার আইনের অধীন হইবে তাহারও ব্যবস্থা হুইবে । এই সকল সমস্তার আলোচন৷ করিয়া কৰ্ত্তব্য নির্ধারণার্থ ভারতীয়দের একটি কনফারেন্স রেঙ্গুনে হইয়া গিয়াছে।" - ব্রহ্মদেশ ও বাঙালী • ব্ৰহ্মদেশ সম্বন্ধে কিছু লিখিলে, উপরে সেই দেশের প্রবাসী SNS)R総 বাঙালীদের কোন কোন প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কেন এত কথা লিথিয়াছি ( আরও অধিক কথা বাকী রহিল ) ভাহা বুঝ যাইবে । নীচের তালিকাটি হইতে বুঝা যাইবে ব্রহ্মদেশে আরও কত মানুষের স্থান ও জীবিকার সংস্থান হইতে পারে । দেশ বর্গমাইলে লোকসংখ্যা । ১ বর্গমাইলে মাঞ্ছস । অাধুতল । বঙ্গ կrծ : d : 載 . obr"やこレア \ు 8SS"> 電s 伦虑〉 ۰ لاوت دوه چ ټ%3 মোটামুটি বলিতে গেলে ব্রহ্মদেশটা বাংলা দেশের ভিন গুণের চেয়েও বড় এবং ইহার লোকসংখ্য। বঙ্গের এক-তৃতীয়াংশেরও কম ; প্রায় সিকি । বঙ্গে প্রতি বর্গমাইলে ৬০১ জন লোকের বাস, ব্রহ্মদেশে ৫৬ জন মাত্র । স্বতরাং ব্রহ্মদেশবাসীদিগকে একটুও বঞ্চিত না করিয়া এখানে এখনও কয়েক কোটি লোকের স্থান ও জীবিকার উপায় হইতে পারে। ইহাতে নানাবিধ শস্ত ফলমূল যত উৎপন্ন হইতে পারে, তাহার অল্প অংশই এ-পর্য্যস্ত উৎপাদিত হঃতেছে। ইহার আরণ্যসম্পদ এখনও সম্পূর্ণরূপে মামুষের ব্যবহারে লাগান হয় নাই । খনিজ সম্পদ ও তাই । বস্তুত:, ইহার ভূগর্ভে ত প্রকার খনিজ পদার্থ আছে, এখনও তাহা নিঃশেষে নির্ণীত হয় নাই। বস্তুও, মহুৰ্য্য কর্তৃক আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত এবং মনুষ্য কর্তৃক অনধিকৃত ইহার প্রাকৃতিক সম্পদ এত বেশী বলিয়াই ব্রিটিশ গবষ্মেণ ইহাকে ভারতবর্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়াছেন—যাহাতে ইহা প্রধানত: ব্রিটিশভোগ্য হয়, ব্রহ্মদেশীয়দের ও ভারতীয়দের ভোগ্য ততটা না হয়। পূৰ্ব্ব দিকের ভরের কারণ হইতে এশিয়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে রক্ষার নিমিত্ত ব্ৰহ্মদেশকে একটা সাম্রাজ্যিক ঘাটিতে পরিণত করা ভারতবর্ণ ও ব্রহ্মর বিচ্ছেদের আর একটা কারণ। বলিয়াছি, ব্রন্ধে আরও অনেক মাহুষের স্থান হইতে পারে। কিন্তু সরকারী চাকরিজীবীর স্থান হইবে না। উকীল, ব্যারিষ্টার, ডাক্তারেরও বেশী নহে। কিন্তু উদ্যোগ, বুদ্ধিমান সাহসী, কষ্টসহিষ্ণু মানুষ রোজগারের অন্ত অনেক পথ আবিষ্কার করিতে পারে । অবশু, ব্রিটিশ গবষ্মেণ, এবং ব্রহ্মদেশীঘেরাও, ব্রহ্মদেশে আর ভারতীয়ের প্রবেশ । ংখ্যাবৃদ্ধির বিরোধী। কিন্তু স্পষ্ট নিষেধাত্মক আই. হইবে না। কারণ, ভারতীয়দের ব্ৰহ্মদেশে প্রবেশ বদ্ধ করি:ে ইংরেজ কাহাদের বুদ্ধি, শিক্ষ, বা দৈহিক প্রমের সাহা:ে ব্রহ্মের প্রাকৃতিৰ ধন আহরণ করিবে ? অতএব, উদ্যোগী লোকের ব্রহ্মদেশ সম্বন্ধে খবর লউন । পুস্তকাদির সাহাধ্যে লউন, ব্রহ্মদেশবাসী ভারতীয়দের সাহাধে লউন, এবং সৰ্ব্বোপরি সেখানে গিয়া লউন । ভারতবথে ও ব্রহ্মের বাহিরে আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়, প্রস্থতি অন্তর্গত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কোথাও ভারতীয়দের প্রবেশ "
