পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسوا جوهي প্রবাসী SNరి88 মুখ দেখলে না। আর যাদের ঘরে খাওয়াবার নেই, দেখবার নেই, তাদের ঘরে যে কত দিয়েছ ভগবান ।” মলয়ারও একথাটা আজকাল মাঝে মাঝে মনে হয়। কিন্তু সে খোকার দিকে চাহিয়া বলিয়া উঠে, “না:, কি দরকার আমার ছেলের। এই ত আমার দুলাল রয়েছে, আমার স্বাধারে আলো রয়েছে, আমার বুকছুড়ানো মাণিক বুয়েছে।” কিন্তু সত্যই কি তাই ? বুক কি মলয়ার জুড়ায় ? হয়ত জুড়ায়ও বা ! তা না হইলে আর আমন স্নেহ কি সম্ভব । অঞ্জলিও দেখিয়া অবাক হইয়া যায়—বলে, “দিদি, তুমি নইলে খোকাকে দেখা আমার হয়ে উঠত না ! বাবা, যা ক'রে কর তুমি । আমি ও কিছুতেই পারতাম না ।” মলয়া কথাগুলি শুনিয়া ছেলেটাকে বুকে চাপিয়া ধরে আবু চুমার পরে চুমা দিয়া তাহাকে বিত্রত করিয়া তোলে। আর ছেলেটাও কি সবই বোঝে ! ঐটুকু ছয় মাসের ছেলে, কেমন তাকায় মলয়ার দিকে, চুমা দিলে কেমন হাসে । স্বপুষ্ট ধবধবে হাত-পাগুলি কি উল্লাসে ছোড়ে ; হাসিবার সময়ে ফুলো গালটায় কেমন টোল খায় ; চিবুকের মাঝখানটা কেমন নামিয়া যায়। আর ভাষাহীন তৃপ্তিভরা কি এক বিচিত্র কলশব্দ কণ্ঠে। বেশী হাত-পা ছোড়ায় মাঝে মাঝে দুধ তোলে— মলয়া তাড়াতাড়ি আঁচল দিয়া মুখ মুছাইয়া লয়, অঞ্জলি দেখিয়া বলে, “আঁচল দিয়ে মুছছ দিদি, দেখবে এখন মজা ” মলয়া বলে, “কেন মেজ কি ?” ত্ৰাস । কোন অমঙ্গল নাকি ? হাসিয়া অঞ্জলি বলে, “ন গো ভয়ের কিছু নয়। তবে বলে ছেলেরা নাকি ওতে ভারী আঁচল-ধরা হয়। তাই বলছিলাম।” g - মলয়া বলে, “নাও আর গিল্পীদের মত উপদেশ দিতে হবে না। আঁচল-ধরা হবে না ছাই। জ্ঞান নেই তাই, নইলে জ্ঞান স্কুলে কি আর আমায় জানবে, না মানবে ?” * t; অঞ্জলির দুঃখ হয় এ-কথাটা গুনিয়া, কারণ থোকা যে যেন কণ্ঠে কত মলয়ার ছেলে নয় এ-কথাটা সে তাহাকে কিছুতেই ভুলাইতে পারিতেছিল না। তবু মুখে হাসি. টানিয়া আনিয়া সে বলে, “নাঃ মানবে না বইকি ! বরং ও ওর মাকেই জানতে পারবে না দেখো ।” মলয়া বলে, “ও-সব আমার দেখা আছে । এখন একটু এ-ধারে এসে ওকে একটু থাইয়ে দাও ত। সেই কখন খেয়েছে।” অঞ্জলি হাত ধুইয়া রান্নাঘরের বাহিরে আসে। ছেলেটার নিকটে আসিয়া একটু চাহিয়া দেখে । দু-বার হাততালি দেয়। আর ছেলেটাও কেমন চেনে। আমনি খাইবার জন্ত মলয়ার কোলে নড়াচড়া করিতে থাকে। মলয়া বলে, “দেখ দেখ কেমন নেমকহারাম। এত ক'রে ক’রে মরি, কিন্তু যেই মা এসেছে আমনি আর কাউকে চান না। ও কি, ঐ ভিজে হাতে ছেলে নেবে নাকি! ভাল ক'রে আঁচল দিয়ে হাতটা মুছে ফেল।” - অঞ্চলের প্রান্তভাগে বেশ করিয়া হাতটা মুছিয়া ফেলিয়া সে ছেলেকে কোলে লইতেই ছেলেটা বুকের উপর কিসের অনুসন্ধানে মুখ ঘষিতে লাগিল । মলয়া বলিল, “আহা বাছা রে, কত খিদে পেয়েছিল ।” অঞ্জলি ছেলেকে স্তন্য দিতে থাকে। ছেলেটি চুকচুক শব্দ করিয়া খায়, আর মলয়া কেমন ভাবে ঐদিকে চাহিয়া দেখে, ঐ শব্দ শোনে, এক এক সময় ঐ অবস্থায় তাহার গালে দু-একটি চুমো দেয়। এই ভাবেই দিন যায়। ছেলের ভবিষ্যৎ লইয়া দুই জায়ে কত কথাই হয় । দ্বিপ্রহরে দুই ভাই কাজে গেলে দুটি জায়ে ছেলেটিকে মাঝে লইয়া বসে। অঞ্জলি চুল শুকাইবার জন্য পিঠের উপর চুলগুলি ছড়াইয়া দিয়া পা ছড়াইয়া লাল কালো নানা রঙের মুতা দিয়া কাথা সেলাই করে। ছোট হাত-মেশিনটা দিয়া মলয়া খোকার জামা সেলাই করিতে থাকে । তাহার শব্দে ছেলেটা সেই ঘূর্ণায়মান চাকার দিকে চাহিয়া থাকে, মাঝে মাঝে মলয়া হাসিয়া চোখের ভঙ্গ করিয়া কত অাদরের কথা বলিতে থাকে। অঞ্জলির এ-সব দেখিয়া भूव श्रांमम श्ब्र ।