পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झोङ्घन्म অঞ্জলি জবাব দেয় “কেন দিদি ” ওর কণ্ঠস্বর ক্ষীণ। "ছেলেটা কেন শব্দ করল দেখত।” ক্ষীণ আলোটা উস্কাইয়া দিয়া অঞ্জলি ছেলেটিকে দেখে। কেমন সন্তপণে কত পটু হন্তে নেকড়-জড়ানো শিশুটিকে তাহার বুকের কাছে তুলিয়া ধরে। একটু মৃত্যু দোল দেয়। একটি চুম্বন তাহার অতি কোমল মন্থণ কপোলে ভাকিয়া দেয়। মলয়া অবাক হইয়া চাহিয়া দেখে । তাহার চোখ দুটা কিসের এক অস্বাভাবিক তৃষ্ণায় ভরা। ঐ মাতৃস্নেহের মূর্ত প্রতীকের দিকে চাহিয়া থাকিতে থাকিতে অঞ্জলির চোখের দিকেও চোখ পড়িয়া যায় । মলয়া অঞ্জলির মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন দেখিতে পায়, যেন কি এক অপরূপ স্বপ্নে তার চোখ আজ ভরিয়া উঠিয়াছে, তাহাতে যেন কিসের ভাষা—সে যেন ঐ শিশুর মুখে চোখে কি খুজিয়া ফিরিতেছে। লণ্ঠনের আলোয় অঞ্জলির পাংশু মুখ আরও বিবর্ণ দেখাইতেছিল। তাহার শুভ্ৰ গণ্ডের উপর নীল শিরাগুলি বেশ স্পষ্ট হইয়া ফুটিয়াছিল। তাহার দিকে স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া চাহিয়া মলয়ার মনে হইল ঐ পাংশুবর্ণ শিরাগুলি— ওরা প্রত্যেকেই আজ অঞ্জলির মাতৃত্বকে বরণ করিবার জন্য কোথা হইতে একত্রে' আসিয়া তাহার দেহকে ঘিরিয়া রাথিয়াছে। সে চাহিয়াই থাকে। অঞ্জলি বলে, “দিদি অমন ক’রে চেয়ে আছ ষে ! গুতে যাবে না ? যাও শোও গে।” মলয়া বলে, “তা হোক গে—কিন্তু কেমন ছেলেটা হয়েছে বল ত ! কেমন আদর করতে ইচ্ছে করে। যেন ননীর গোপাল । হ্যা ভাই অঞ্জলি, ছেলেটা আমায় দেবে ভাই ! তোমার ত আরও হবে । ওকে আমায় একেবারে দিয়ে দাও না। অামায় ও মা বলবে’খন " বলিয়াই এই চাহিয়া ফেলার জন্য তাহার বড় লজ্জা হয়। কেন সে চাহিতে গেল ! না চাহিলেও ত হইত ! কি দরকার ছিল ? বড় লঙ্গ হয় ! কথাটা যে অঞ্জলির বেশ মনের মত হয় তা নয়। কিসের একটা অজ্ঞাত শঙ্কায় তার বুকটা ঘড়ঘড় করিয়া উঠে। সে তবু দিদির এই আকুলত দেখিয়া করুশান बकT WՆԳՊ করিয়া পারে না। এই প্রথম সস্তান, তবু যেন তার বয়স আজ দিদির চেয়ে কত বেশী, সে যেন দিদিকে কত উপদেশই দিতে পারে ; তাই বেশ গিল্পীর মত সে বলিল “হ্যা তোমার বইকি দিদি । আমার আর কি ! নইলে তোমারই ত সব ভোগ পোয়াতে হবে।" কিন্তু মলয়ার মন ভরে না । সে বলে, “ওসব কথায় ভুলছি নে। স্পষ্ট ক'রে বল, ও আমার। ও আমারই হরে, তুমি ওকে আমায় দিলে, ও একেবারে আমার খোকা ।” এই কাতরতা,9এই তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখিয়া অঞ্জলির প্রাণ দয়ায় গলিয়া যায়। তাহার দিদিকে এত চঞ্চল সে কখনও দেখে নাই। গলা তাহার ভারী হইয়া উঠে— সে বলে, “হ্যা দিদি, খোকা আজ থেকে তোমার-ওকে আমি তোমায়ই দিলাম।” কিন্তু একথাটা উচ্চারণ করিবার সময়ে মলয়ার প্রতি তাহার এত মমতা, এত শ্রদ্ধা, এত অমুকম্পা থাকা সত্বেও অস্তর ষেন কেমন কঁাপিয়া উঠে, স্বভাব কেমন যেন সাড়া দেয় না, মনের কোণে কিসের একটা খোচা যেন বেঁধে । অঞ্জলির এমন স্পষ্ট'দান-বাক্য শুনিয়াও মলয়ার শূন্য স্থানটা ভরে কই ? সেটা যেন আরও বিরাট হা করিয়া তাহার লোলুপতার পরিচয় দিতে থাকে। অঞ্জলির প্রতি ঐকান্তিক গাঢ় প্রেম থাকা সত্বেও তাহার এই দানকে মলয়া হৃদয়ের সঙ্গে গ্রহণ করিতে পারে না। তাহার শূন্ত মন্দির শূন্যই রহিয়া যায়, অসীম মেহের পাত্রী সখী মমতাময়ী অঞ্জলি বা তাহার এই নবজাত মুকুমার নবযুট যুী-কলির ন্যায় শিশু সে-শূন্ততা ভরাইয়া তুলিতে পারে না । কিন্তু মানুষ মায়ায় গড় জীব। মায়ার মোহে তাহার সব ব্যথা কোথায় মিলাইয়া যায় তাহা টেরও পাওয়া যায় না । মলয়ার বেলায়ও ঠিক তাহাই হইল। অঞ্জলি খোকাকে লইয়া আঁতুড়-ঘর ছাড়ার পর হইতেই মলয়ার সব সময়কার কাজ হইল ঐ ছেলেকে আদর করা। কি যত্বে, কি আগ্রহে, কি ঐকান্তিক স্নেহ দিয়া, যে মলয়া খোকাকে ভালবাসিতে লাগিল—যে দেখিল সেই বলিল, “জাহা श्रयन नेिलगङai१ ! ७व्र चौवनछैग्न ७ श्रांद्र गच्छांटमब्र