রাজপুত্র \》 বুকে হাত দিয়া বসিয়া পড়িল । সকলে উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিল । —-কি হ’ল বিশুদা ? —বিশুদা-বিশুদা ? বিশু উত্তর দিল—বুকে বিধে গিয়েছে ! ---কি ? কই দেখি ! —ও তোদের সঙ্গীতের সঙ্গীন । উঃ ! সকলে আবার কলরব করিয়া হাসিয়া উঠিল। বিশ্বনাথ বুকে হাত বুলাইয়া বলিল-বাপ ! এমনি ভাবে বেতালা চীৎকার করে । কানের ভিতর দিয়া মরমে একবারে প্যাক ক’রে—উঃ ! এক জন বলিল— বিশুদা সেই মেমসাহেবের সেইটে একবার হোক । --ईr-ईr । --দোহাই বিশুদ ! বিশুদার আপত্তি নাই, সে উঠিয়া বলিল—একটা বোর্ড চাই যে ! অtছ এই আলকাতরামাখা জানলাতেই হবে। কিন্তু খড়ি খানিকটে ? চট করিয়া এক জন সাজঘর হইতে এক টুকরা খড়ি আনিয়া বিশুদাদার হাতে জোগাইয়া দিল । --বাৰু! o ঠিক সেই সময়েই দরজার বাহির হইতে কে ডাকিল— বাৰু ! —-কে ? কাকে চাই ? সমস্বরে কয় জন প্রশ্ন করিয়া উঠিল । --আঞ্জে, আমাদের রায় বাবুকে । • --কে রে ? অামাকে বলছিস ? বিশ্বনাথ বাহির• হইয়া আসিল। দরজার বাহিরে দাড়াইয়াছিল তাহারই লাপরাজের এক জন প্রজা রামদাস কৈবৰ্ত্ত। পাশের গামেরই অধিবাসী রামদাস । রামদাস কাদিয়া বলিল—“ বাবুগো, আমাকে বচোন ! বিশ্বনাথ বলিল—বেঁচেই ত রয়েছিস বাবা, এর ওপরে ' আর কি বচাব ? ইউি হাউ করিয়া কাদিয়া রামদাস বলিল-আমার বাবাকে বে নিয়ে গিয়ে বুকে কাঠ চাপিয়ে দিয়েছে, বাৰু গো! বহু কষ্টে জানা গেল রামদাসের পিতা সম্প্রতি ঘোষবাবুদের এলাকার মধ্যে কয়েক বিঘা জমি খরিদ করিয়াছে। সেই সম্পতির খারিজ-ফি আদায়ের জন্য তাহাকে ঘোষ-বাবুদের কাছ}রতে ধরিয়া লইয়া গিয়াছে, এবং সে বর্তমানে অক্ষমতা জ্ঞাপন করায় টাকা আদায়ের জন্য তাহার হাতে পায়ে বাধিয়া বুকে কাঠ চাপাইয়া দেওয়া হইয়াছে। বিশ্বনাথ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল-মাচ্ছ এ রাত্রে ত আর কিছু হয় না । কাল সকালে যা-হয় করব। আর এই চিঠিখানা আমার বাড়ীতে দিয়ে ধাও, বুঝলে ! - একটা কাগজে কি খানিকটা লিথিয়া সে রামদাসের হাতে দিল। তার পর সঙ্গীদেরু বলিল—আঙ্গু চললাম ভাই। কাজ আছে একটু ! বাইসিক্লখানা টানিয়া লইয়। সে পথ ধরিল জেলার সদর শহরের মুখে । সে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকট চলিয়াছে। 净“ 秦 - 拳 পরদিনই বেলা বারটা নাগাদ ক্ষুদ্র গ্রামখানা চঞ্চল হইয়া উঠিল। লোষ্ট্রপাতে চঞ্চল মধুচক্রের সহিত অবস্থাটার তুলনা করা চলে। একেবারে খোদ মাৰুিষ্ট্রেট সাহেব আসিয়া হাজির হইয়াছেন, সঙ্গে বিশ্বনাথ। কয়েক মিনিট পূৰ্ব্বেই ঘোষবাৰু কেমন করিয়া সংবাদ পাইয়া বনজঙ্গলের আড়াল দিয়া পলাইয়া বঁচিলেন, কিন্তু সমগ্র ব্যাপারটা নিজের চোখেই সাহেব দেখিতে পাইলেন। লোকটার বুকের উপরে কাঠটা ছিল না, কিন্তু পাশেই পড়িয়া ছিল, হাতে পায়ে বাধনের দাগ লাল হইয়া ফুটিয়াছিল । সাহেব বাঙালী এবং তরুণ আই-সি-এস, তিনি সবই বুঝিলেন । • সাহেব প্রতিকারের জন্ত স্থানীয় ডাক-বাংলোয় চাপিয়া বসিলেন। ভাঙা বাইসিক্সট্রা ঠেলিতে ঠেলিতে বিশ্বনাথ যখন বাড়ী ফিরিল তখন বেলা একটা। মা বললেন— বাবা বিস্ত, কাজটা কি ভাল হ’ল । —কেন মা । গরিবের ওপর এই অত্যাচার, পথ
