পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ー。 বলিল--তুমি বাবার কোলে ব'সে—মামি তোমাদের বাতাস করি। c বিশ্বনাথ একটু স্বম্ব হইলে মা প্রশ্ন করিলেন–টাকাটা বুঝি প্রজাদের কাছে আদায় করে নিয়ে এলি ?... গেলেই, তাগাদ করলেই, আদায় হয় বাবা ; আমি কত বার বলি তোমাকে, তা তুমি কাণেই তোল না। ও টাকাটা আদায় হলেও ত মাসে দশ-বার টাকা আসে । বিশ্বনাথ হাসিয়া বলিল--ম্যাড, ম্যাড, মাদার তুমি মjাণ্ড । 鯊 মা হাসিয়া বলিলো—তোর কি হাসি-ভামাশার সময়অসময় নেই রে! বিশ্বনাথ বলিল—পাগল, পাগল, তুমি পাগল তাই বলছি ! , লোকে কখনও পাওনা দেয় । বিশেষ খাজনা ! ওই রামনগরের কাঠওয়ালাকে চারটে তালগাছ বেচে দিলাম—তিন টাকা ক'রে-বার টাকায় । মায়ের মুখ আবার গম্ভীর হইয়া উঠিল, একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়। তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন। বলিলন— বেীমা বিগুকে তেল দীও গো ! বাণী তখন আবার ধরিয়াছে—বাব একটা গল্প বল । খুব ভাল গল্প ! —উীtছা ! – નર્મા-શા ! –এই একদিন মা আমি গিয়েছিলাম নদীর ধার দিয়ে বেড়াতে। শীতকাল, চাষীরা সব সরষে বুনেছে, সরষের গাছ হয়েছে। হঠাৎ মা, কোথা থেকে একটা ইয়া বড় বাঘ চলে এল। হালুম করে আমাকে ধরে আর কি ! বাণীর মুখ ভয়াতুর হইয়া উঠিয়াছিল, সে বলিল—কত বড় বাঘ বাবা ? –এই এত বড়। আমি আর কি করি, করলাম কি তাড়াতাড়ি একটা সরষে গাছে উঠে পড়লাম । —আর বাৰটা ? —বাঘট| সেই গাছতলাতেই দাড়িয়ে গর্জাতে লাগল, লাঞ্চাতে লাগল। এমন সময় মা, আকাশের ওপর থেকে সে ক’রে ঝাপ দিয়ে পড়ল একটা চড়ুই পাখী, ব্যাস ঋধটাকে ছে৷ দিয়ে নখে করে তুলে নিয়ে চলে গেল । প্রবাসী H 为N°88 আর আমি সেই চড়ুই পার্থীটার পাথার বাতাসে ভাল ভেঙে ধপাস করে মাটিতে— বুঝলে কিনা— । সঙ্গে সঙ্গেই সে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভঙ্গীতে মাটির উপর ধপ করিয়া পড়িয়া চোখ বিস্ফারিত করিয়া অদ্ভুত ভঙ্গীতে মেয়ের দিকে চাহিয়া রহিল । বাণী সে ভঙ্গী দেখিয় খিলখিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। তাহার স্ত্রী আসিয়াছিল তেল দিতে এবং অত্যস্ত গষ্ঠীর ভাবেই সে আসিয়াছিল, সে পর্য্যস্ত তাহার ঐ ভী দেখিয়া না হাসিয়া পারিল না। বিশু আবার আরম্ভ করিল—বুঝলে মা, আমি পড়ে গিয়ে ভাবছি কি ক’রে উঠব। এমন সময় কোথা থেকে বেরিয়ে এল এক পরী ; হাতে তার তেলের বাটী ! - বাণী সবিস্ময়ে বলিয়| উঠিল—পরী ! —ই মা, পরী—এই চুল পড়েছে পা পৰ্যন্ত, এই স্থলীর নাক—এই পটল-চেরা চোখ, গোলাপফুলের মত রং— —পরী কি বললে বাবা ? - —বললে ?—আমাকে আমনি করে বসে থাকতে দেখে মুখ বেঁকিয়ে বললে—মরণ আর কি ! * মা আবার বাহির হইয়া আসিয়া বলিলেন—আর মেয়ে নিয়ে খেলা করতে হবে না বিশু, ওঠ—উঠে স্নান কর, ভাত খা । - বাণী বলিল—তার পর বাবা | —তার পর এই ম্যা কুতু—কুতু— কাতুকুতুর ভয়ে বাণী পলাইয়া গেল। বিশ্বনাথ তেল মাখিতে বসিল । 臺 舉 舉 সন্ধ্যা হইতেই দিবানিদ্রা সারিয়া, বিশ্বনাথ উঠিয়া নিজেই চায়ের জল গরম করিতে বসিল । চা খাইরা আবার সে গাড়ীখানা বাহির করিয়া রওনা হইল থিয়েটার-ক্লাব অভিমুখে । ক্লাবে তখনও সকলে জমায়েখ হয় নাই, সপ্তপ্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত কয়েকটি অল্পবয়সী ছেলে হারমোনিয়াম ও ডুগি-তবলা লইয়া নিদারুণ অসঙ্গতির সহিত সঙ্গীতের শ্রাদ্ধ করিতেছিল । বিগুঞ্জাদাকে দেখিয় তাহারা উৎসাহে উৎকট ভাবে চীৎকার করিয়া ७ँल । বিশ্বনাথ আকস্মিক কোন একটা যন্ত্রণায় কাতর হইয়া