পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

करें छुन्र মাটির বাস। wmveግ যাইবার সে কখনও চেষ্টা করে নাই। হঠাৎ একটা মোকদ্দমায় হারিয়া গিয়া তাহাদের সবচেয়ে ভাল ও বড় তালুকখানি বেহাত হইয়া গেল। অগত্যা তখন তাহাকে অর্থকরী বিদ্যার দিকে মন দিতে হইল। বয়স তাহার প্রায় চব্বিশ, এবার সে আই-এ দিবে। ইতিমধ্যেই ভাল পণ সহযোগে বিবাহ করিয়া নষ্ট তালুক ফিরাইবার চেষ্টাও চলিতেছে । হাজার-থানিক টাকা হইলেই হয় । দুঃখের বিষয় যে পল্লীগ্রামে এমন শাসাল শ্বশুর পাওয়া খুবই শক্ত। নগদ টাকা কাহারও বেশী থাকে না। আর পাড়াগ তিন্ন শহরে পঞ্চাননের মহিমা বুঝিবে কে যে কন্যাদান করিবে ? সে নিজেও অবশ্য কলিকাতার মেয়ে বিবাহ করার বিন্দুমাত্রও পক্ষপাতী নয়। " বিমল যে-মেসে থাকে তাহাতে খরচ খুবই কম। পঞ্চাননকেও সে সেই মেসে থাকিতে বলিয়াছিল, কিন্তু জাত যাইবার ভয়ে সে এখানে থাকে নাই । নিজে সে বাসা করিয়া থাকে, স্বপাকে রাধিয়া খায় । চেনাশোনা এক ভদ্রলোকের বাড়ীর চিলা কোঠার একটি ঘর ভাড়া করিয়া সে সংসার পাতিয়াছে । তাহারই পাশে টিন দিয়া ঘিরিয়া তাহার রান্নাঘর। ছাদের উপরেই বিশুদ্ধ গঙ্গাজলের ট্যাঙ্কটা থাকাতে পঞ্চাননের খুব সুবিধা হইয়াছে। অনেকে তাহকে ভয় দেখায় বটে, কিন্তু ভয় সে পায় না । বিমল ক্লাস্ত হইয়াই পড়িয়াছিল । সুটকেশটা খাটের তলায় ঠেলিয়া দিয়া, বিছানাটা খুলিয়া পাতিয়া সে সোজাস্বজি ঘুমাইয়া পড়িল। তাহার রুমমেট দুইজন আসিয়া প্রচুর চেচামেচি করিয়া তাহার ঘুম না ভাঙাইয়া দিলে রাতটা তাহার অনাহারেই কাটিয়া যাহত । সকালে উঠিয়া চা খাইয়া সে ভাবিতে লাগিল একবার বাহির হইবে না পড়িতে বসিবে। অবশেষে বাহিরই হইল। সোজা পঞ্চাননের বাড়ী গিয়া অনেক ধাক্কাধান্ধি করিয়া তাহাকে টানিয়া তুলিল, বলিল, “এই বুঝি আর্ধ্যপুজবের আচার রক্ষা ? তোমাদের না ভোর তিনটেয় ওঠা নিয়ম ?” 錢 পঞ্চানন হাই তুলিতে তুলিতে বলিল, “তাই উঠি ত সচরাচর, কাল ক্লাস্ত হয়ে পড়ায় বেশী ঘুমিয়েছি। তা বোস, আমার এখানে চা-টা নেই কিন্তু " বিমল বলিল, “ভাবনা নেই, চা খেয়ে এসেছি । তুমি কি খাবে, গঙ্গাজল ?” পঞ্চানন খড়ম পায়ে দিতে দিতে বলিল, “না, দুধ থাই সকালে ।” বিমল বলিল, “সাধে কি আর এই বয়সে এমন বিশাল ভূড়ি ? মামী এসে চটে যাবে কিন্তু । আজকালকার মেয়েরা আমন নধর দেহ পছন্দ করে না ।” পঞ্চানন গরম হইয়া উঠিল । বলিল, “মামী যিনি আসবেন, তিনি বেশী আধুনিক না হন তা আমি দেখে নেব।” - বিমল বলিল, “কই আর দেখছ? ভাবী মামী যিনি হবেন, তা ত এক রকম আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামে থাকতে মায়ের কাছে শুনেছিলাম, কাল ত চোখেই দেখলাম। তিনি বেশ পুরোমাত্রায় আধুনিক হবেন, তোমার ভাবনা নেই এবং প্রথম নম্বরেই তোমার ভূড়ি এবং টিকি সংশোধন ক’রে দেবেন।” পঞ্চানন বলিল, “যা যাঃ, ঝড়ের আগে কুটি নাচে । কোথায় কি তার ঠিক নেই। এখনও কিছু আসলেই ঠিক হয় নি।” কিন্তু বিমলের কথায় খুব যে সে রাগিয়াছে তাহা মনে হইল না। মোটের উপর মুণালের সহিত তাহার বিবাহ হইবে ভাবিতে তাহার ভালই লাগে । বিমল বলিল, “কি আসলে ঠিক হয় নি ? কত টাকা মারবে তাই না? ও সব ঠিক হয়ে যাবে এখন। মেয়ে পছন্দ করেছ ত ?” পঞ্চাননের শাস্ত্র অনুযায়ী নিজে মেয়ে পছন্দ করা অন্যায়, কাজেই সে বলিল, “জ্যাঠামশায় জ্যাঠাইমা ওঁরা পছন্দই করেছেন ৷” বিমল বলিল, “তাই নাকি ? তোমার নিজের কেমন লাগল ?” , পঞ্চানন বলিল, “অত খবরে তোর কাজ কি ? আমি যাকে বিয়ে করব সে হবে তোর গুরুজন, তার সম্বন্ধে আত ছ্যাবলামি ভাল না।” 鱗 বিমল বলিল, “ঢের হয়েছে, থাম ত বৎস। যেমন