পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W.位8 প্রবাসী ゞつ88 ডক্টর ভট্টাচার্ষ্য-প্রদত্ত স্থিরচক্রের বর্ণনা নিম্নরূপ :– "স্থিরচক্রের এক স্তে তরবারি, অপর ইস্তদ্বারা তিনি বর প্রদান করিতেছেন । ঠাচার বর্ণ শ্বেত, ভ্রমরবর্ণের অলঙ্কারে ঠিাগার দেহ মণ্ডিত । পদ্মের উপর চন্দ্রাসনে তিনি উপবিষ্ট । fভনি চারক(বস্ত্রসমূহ )kাধী ঐ সমস্ত বস্ত্রের প্রভায় র্যাঙ্গার দেঙ্গ উজ্জ্বল। য়াহাব সৰ্ব্বাঙ্গে রাজকুমারের মত অলঙ্কার । ऊँ** আনন শুঙ্গার-রসে সমুদ্ভাসিত । প্রজ্ঞদেবী টাঙ্গার সঙ্গিনী, ঠাহারও আনন শুঙ্গার-রসে সমুজ্জ্বল ও তাম্প্রদীপ্ত ।” . ডক্টর ভট্টাচাৰ্য স্থিরচক্রের কোন মূৰ্ত্তি দেখেন নাই, এবং ছবিও দিতে পারেন নাই । বঙ্গীধ সাহিত্য-পরিষদের fচত্রশালায় রক্ষিত একটি মূৰ্ত্তিকে তিনি স্থিরচক বলিয়। সসন্দেহে নিদিষ্ট করিয়াছেন এবং ছবিও দিয়াছেন । এই মূৰ্ত্তিটির সহিতও উপরের বর্ণনার সৰ্ব্বাংশে মিল নাই । তবে আমাদের আলোচ্য মূৰ্ত্তিটি কি স্থিরচক্ৰ মঞ্জুশ্রী নহে ? মিলও যে কিছু কিছু পাওয়া যাইতেছে ! আমাদের দেবতাটির হাতে এবং গলায় ক্টোচানো চাদরখানি যে-ভাবে স্থাপিত তাহাতে স্পষ্টই বুঝা যায়, ইহা শুধু শোভার্থে প্রদত্ত হয় নাই, ইহু! এই দেবতার একটি বিশেষ চিহ্ন । কাজেই স্থি রচক্রের চীরক পাওয়া যাইতেছে। হস্তে তরবারিও মিলিতেছে। সৰ্ব্বাঙ্গে রাজকুমারের মত অলঙ্কার ও দেখা যাইতেছে । কিন্তু সঙ্গে প্রজ্ঞাদেবী ত দেখা যায় না ! বৌদ্ধ “সাধনমালা” নামক বৌদ্ধ দেবদেবীর পূজাপদ্ধতি গ্রন্থপানি ডক্টর ভট্টাচার্যের linkthis Icono graphy গ্রন্থের প্রধান অবলম্বন ছিল । সাধনমালায় কয়েকথানি প্রাচীন পুথি মিলাইয়া ১৯২৫ সনে ডক্টর ভট্টাচার্ষ্য । এই সাধনমালার একটি উংকৃষ্ট সংস্করণ "গাইকোবাড় প্রাচ্য গ্রন্থমালা"র অস্তগত করিয়ু বড়োদ হইতে প্রকাশিত করিয়াছেন। সাধনমালায় স্থিরচক্রের দুইটি সাধনপদ্ধতি প্রদত্ত হইয়াছে। প্রথম সাধনটি (নং ৪৪ ) পদ্যময়, উহার অল্পাংশ গদ্যে লিখিত। দ্বিতীয় সাধনটি গদ্যে লিখিত, উহার রচয়িভার নাম মুক্তক। উভয় সাধন হইতেই প্রয়োজনীয় অংশগুলি উদ্ধৃত করা হইতেছে — প্রথম সাধনের আরম্ভ : শ্ৰীমদগীর্গৰিমানিরস্ত সকল ভ্রাত্তি প্রতানোজ্জল; প্রোন্তদেগীর গভস্তিবিশ্ববিমলং বুদ্ধং চ বালাকৃতিং । বিভ্রানং করলালমুদগীতরুচিং প্রজ্ঞাং চ মত্বাদরাৎ আত্মামুন্মরণায় লিখ্যত ইদং তচ্চক্ররত্বং ময় ॥ এই শ্লোকটি সাধন-রচয়িতার মুখবন্ধ । বাংলায় ইহার নিম্নরূপ অমুবাদ করা যায় : "নবপল্লবের মত উজ্জ্বল, শ্ৰীমান, বাক্যগরিমা দ্বারা যিনি সকল ভ্রাস্তি নিরস্ত করিয়াছেন, উদগত শ্বেত আলোকবিন্ধের মত বিমল, যিনি জ্যোতিষ্মান তরবারি ধারণ করিয়া আছেন, সেই বালকের মত আকৃতি বুদ্ধকে এবং প্রজ্ঞাদেবীকে সাদরে নমস্কার করিয়া নিজের পুনঃ পুনঃ স্মরণের জন্য আমাকর্তৃক এই চক্ররত্ন লিখিত হইল ।” এইখানে দেখা যাইতেছে, রচয়িত বালাকৃতি স্থিরচক্রকে এবং প্রজ্ঞাদেবীকে নমস্কার করিয়া সাধন রচনা আরস্থ করিতেছেন। স্থিরচক্রের সহিত প্রজ্ঞ থাকিবেন, এমন কোন কথা ইহাতে নাই । পরের একটি শ্লোকে আছে, সাধক মুঃ এই বীজ হইতে জাত সুন্দর পত্রসমন্বিত ইন্দীবরের চিস্থা করিবেন । তাহার উপরে চন্দ্রাসনে উপবিষ্ট বাগীশ্বরের ধ্যান করিবেন। ভ্রমরের মত কৃষ্ণ এবং উজ্জল বস্তুসমূহ হইতে নি:স্বত রক্তরশ্মিসমূহ দ্বারা ইনি নিবিড় অন্ধকার দূর করিতেছেন এবং ইনি সৰ্ব্ব প্রকার বরপ্রদাননিপুণ । লালিত্য শুঙ্গাররসাভিরামং ব্যাজ স্তমানখুরূড়ান্স লক্ষ্মীম্। বীরং কুমারাভরণং দধানং ধ্যায়াং পদং তপ্ত সমীহমানঃ ॥ Buddhist Iconography stw e?* sŘtst4, 28" ছত্রের পাঠ ধরিয়াছেন (পৃ ৩০, পাদটীকা)—“লালিত্য শুঙ্গাররসাভিরামাং ” সাধনমালাতে ইহার শুদ্ধ পাঠ— “রামং"ই আছে । কাজেই স্থিরচক্রের সহিত প্রজ্ঞা আছেন বলিয়া ডক্টর ভট্টাচাৰ্য্য যে সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন, মূলে তাহা কোনই ভিত্তি নাই। উপরের শ্লোক হইতে দেখা যায় দেবতার মূৰ্ত্তি লালিত্য এবং শৃঙ্গার-রসের দ্বারা মনোরম তাহার মুখশ্ৰী প্রস্ফুটিত কমলসদৃশ। তিনি বীর এই কুমারাভরণধারী। মুক্তক-রচিত দ্বিতীয় সাধনটিতে আছে যে মু-কার" উজ্জল কমলের উপর— কুঙ্কুমাভ পঞ্চটরং কুমারাভরণং শৃঙ্গারেকস খড়গপুস্তক ধরং বাগীশ্বরমাত্মানং চন্দ্ৰস্থং ধ্যায়াৎ।"