পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م3)) وقS শাসন করিয়া গিয়াছেন । তাহার আমলে ( অtহুমানিক ৯৮৫ খ্ৰীষ্টান্ধ হইতে ১০২০ খ্ৰীষ্টাব্দ) রাজবাড়ীতে বৌদ্ধ মন্দির থাকাই স্বাভাবিক এবং এমন অপূর্ব কলানৈপুণ্যমণ্ডিত মূৰ্ত্তি ঐ আমলেই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া নিৰ্দ্ধারণ যুক্তিসঙ্গত। এই হিসাবে এই দারু-মূৰ্ত্তিটির বয়স প্রায় ৯৩৭ বৎসর হইয়াছে বলিয়া নিৰ্দ্ধারণ করা যায় । ইছামতী নদীর তীর হইতে দক্ষিণে প্রস্থত একটি স্বপ্রশস্ত রাস্তার দুই পারে কি ভাবে বিক্রমপুর রাজধানীটি গড়িয়া উঠিয়াছিল, মানচিত্ৰখানি অনুধাবন করিলেই তাহা বুঝা যাইবে । হিন্দু-আমলের এই স্বপ্রশস্ত রাস্ত অদ্যাপি কাচকী দরজা নামে পরিচিত এবং এই ইছামতী-তীর হইতে প্রায় ৫০ মাইল দক্ষিণস্থ প্রাচীন পদ্ম-মেঘনাসঙ্গম পৰ্য্যস্ত অদ্যাপি ইহার অস্তিত্ব অনুসরণ করা যায়। ইছামতীতাঁর হইতে স্বারম্ভ করিয়া মাকুহাটর থাল পর্য্যস্ত এই রাস্তার যে অংশ, সেই প্রাম ছয় মাইল বিস্তৃত স্থানে, রাস্তার দুই ধারে এবং বিস্তুভ জলাশয়গুলির পারে পারে নাগরিকগণের অট্টালিকা, দেবমন্দিরাদি নিৰ্ম্মিত হইয়া বিস্তৃত নগর গড়িয়া উঠিয়াছিল। মানচিত্রে অনেকগুলি দীঘির অবস্থান দেখান হইয়াছে । ইহাদের মধ্যে বিখ্যাত রামপাল দীঘি লম্বীয় মাইলের তৃতীয়াংশেরও বেশী। নৈর পুকুর* এবং ধামারণের দীঘি রামপালের দীঘি হইতে আয়তনে বড় কম মহে । বিক্রমপুরে প্রাচীন দেবালয়ের ধ্বংসাবশেষ ঢিপিগুলি দেউল নামে পরিচিত । দেউলগুলির ংলগ্ন প্রায়ই একাধিক দীঘি বিদ্যমান । এই সমস্ত ছোটবড় দীঘি হইতে সৰ্ব্বদাই কাঠ ও পাথরের প্রাচীন মূৰ্ত্তি ইত্যাদি বাহির হইতেছে। এইরূপ কয়েকটি দারুভাস্কর্ষ্যের পরিচয় দিয়া প্রবন্ধ সমাপ্ত করিব । রামপাল দীঘির দক্ষিণ পারে জল শুকাইয় অনেকটা স্থান ভরাট হইয়া গিয়াছে। ঐ ভরাট জমির ২-চিহ্নিত স্থান হইতে মাটি তুলিতে কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে দুইটি কারুকার্ধ্য

  • এই নৈ এক জন অজ্ঞাতকুলশীল রাজার নাম বলিয়া মনে হয় । পুকুরের ফ্রায়তন দেখিয়া মনে হয়, ইনি বেশ বড় রাজা ছিলেন। ভাগীরথীর উভয় কুলেও নৈহাটি অভিধেয় গ্রামগুলিৰ নামে, এই রাজারই নাম বিজড়িত রহিয়াছে বলিয়া বোধ হয় । অপর পক্ষে বক্তব্য এই যে, নৈ নদী শব্দের অপভ্রংশ হওয়াও অসম্ভব নহে ।

প্রবাসী SNరి83 মণ্ডিত কাষ্ঠপ্তম্ভ পাওয়া ষায় । স্তম্ভ ছুইটি বহু দিন পর্ব্যস্থ জাবিষ্কৰ্ত্ত শেখ আবদুল গণি এবং শেখ আবদুল রহমন ভ্রাতৃদ্বন্ধের বাড়ীতে পড়িয়া ছিল । সংবাদ পাইয়া আমি দেখিতে যাই । আমার অনুরোধে উক্ত ভ্রাতৃদ্বয় স্তম্ভ দুইটি ঢাকা মিউজিয়মে উপহার প্রদান করেন । স্তম্ভ দুইটি লম্বায় নয় ফুট পাচ ইঞ্চি, আকৃতিতে চতুষ্কোণ, নিম্নাংশে এক-একটি ধার এগার ইঞ্চি প্রশস্ত। স্তম্ভ দুইটির নিম্ন, মধ্য এবং শীর্ষ প্রদেশ নিপুণ কারুকার্ধ্য ও চিত্রাদি ভূষিত। স্তম্ভ দুইটির চিত্র এই সঙ্গে দেওয়া গেল। নিম্নে পৃষ্ঠগুলির নিম্নাংশের কারুকার্ঘ্যের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া গেল । ১ম স্তম্ভ ১ম পৃষ্ঠ । দেবী খড়গধারী অমুরের সঠিত যুদ্ধ করিতেছেন । দেবীর হস্তেও ত্বস্ব একটি তরবারি। ঐ, দ্বিতীয়ু পৃষ্ঠ । ঋষি ও মৃগের চিত্র । ঐ, তৃতীয় পৃষ্ঠ । ভূমিতে পা গুটীষ্টয়া বস একটি উটের চিত্র । ঐ, চতুর্থ পৃষ্ঠ । ধনুঃশর ভূমিতে নিক্ষেপ করিয়া এক রাজকুমার হাতের উপর মাথা রাখিয়া বিষন্ন ভঙ্গীতে একটি গাছের নীচে বসিয়া আছেন । - দ্বিতীয় চিত্রের সহিত মিলাইয়া অর্থ করিলে, “মুগী-আসক্ত ঋষিপুত্র হত্যা করিয়৷ মগরাজা পাণ্ডুর বিষ্ণতা” বলিয়। এই চিত্ৰখানির ব্যাখ্য' করা যায়ু । দ্বিতীয় স্তম্ভ, প্রথম পৃষ্ঠ । কৃত্তিমুখ নামে প্রসিদ্ধ ভাস্কৰ্য্য চিহ্ন । ঐ, দ্বিতীয় পৃষ্ঠ । অভিভঙ্গ ভঙ্গীতে নৃত্যপরায়ণ রমণী । ঐ, তৃতীয় পৃষ্ঠ । ধনুঃশরধারিণী রমণীর পার্থী-শিকারের দুখ । সঙ্গে একটি কিশোরী। উপরে দুইটি পাখী উড়িয়া যাইতেছে । ধমুর ছিল। পার্থীর দিকে এবং বাণ রমণীর নিজের দিকে স্থাপিত ব্যঙ্গচিত্র । ঐ, চতুর্থ পৃষ্ঠ । লতাপাত । একটি স্তম্ভ যে কৃত্তিমুখ চিহ্নাঙ্কিত, ইহা হইতেই বলা যায় ধে, স্তম্ভ দুইটি প্রাকৃ-মুসলমান যুগের। এগুলি ঐ আমলের দারু-তক্ষণ শিল্পের উৎকৃষ্ট নিদর্শন । এই সঙ্গে একটি বৃহৎ স্বারের চৌকাঠের উপরের কাষ্ঠখানির চিত্র দেওয়া গেল। ইহার উপরে পরস্পরে জড়ান দুইটি নাগের প্রতিমূৰ্ত্তি জঙ্কিত অাছে। দিনাজপুর