পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 مياء " " রবীন্দ্রনাথ ও পল্লী-সংগঠনের আদর্শ ঐবিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথকে আমরা সকলেই জগত্বরেণ্য কবি রূপেই জানি । কিন্তু তিনি যে এক জন সত্যকার স্রষ্টা, সংস্কারক ও কৰ্ম্মী তাহা অতি অল্প লোকেরই জানা আছে। রবীন্দ্রনাথের কবি-প্রতিভার প্রেরণা ও প্রস্রবণ বঙ্গদেশের নিভৃত পল্লীতে। এই সকল নিভৃত পল্লীতে কৰি শুধু নানা প্রকার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যই উপভোগ করেন নাই— পল্পীসমাজের দৈনন্দিন জীবনপ্রণালীর সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হইবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছিলেন। পল্লীর অভাব, অভিযোগ, দৈন্ত কবির মনকে অভিভূত করিয়াছে ; পল্লীবাসীর জন্য কবি অন্তরে গভীর বেদন অনুভব করিয়াছেন। কবির বিবিধ রচনার মধ্য দিয়া পল্পীজীবনের কত হৃদয়স্পশী কাহিনীই তিনি ব্যক্ত করিয়াছেন। এই সব রচনা মাত্র কবির কল্পন-প্রস্থত নহে—এগুলি তাহার বাস্তব জীবনের সত্যকার রূপ। ধর্থন কবির বয়স ত্রিশ বৎসর তখন তিনি স্বেচ্ছায় জমিদারী তদারকের গুরুভার গ্রহণ করেন। কোন প্রকার খেয়ালের বশবৰ্ত্তী হইয়া রবীন্দ্রনাথ জমিদারীর এই গুরুভার গ্রহণ করেন নাই । এই প্রকার কায্যের দায়িত্ব ও গুরুত্বের বিষয় তিনি উত্তমরূপে অবগত ছিলেন। যে দরিদ্র পল্লীবাসীর অভাব, অভিযোগ ও দৈন্ত কবির মনকে এত দিন অভিভূত করিয়াছিল জমিদারী তদারকের ভার গ্রহণ করিদ্ধা তাহাদের কথা তিনি বিশ্বত ६न नाझे ॥ ७झेथां८नझे कfद *झौ वरिष्ठद छौवहनद्र সহিত হাতে-কলমে পরিচিত হন এবং পল্লীর নানা প্রকার সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেন। কবির পল্পী-সংগঠন-জীবনের এই স্থচনা। এইখানেই কবি প্রখম বুঝিতে পারেন ৰে আমাদের দেশের লোৰ, কত নিরুপায়, অসহায় ও দুৰ্ব্বল, কত অজ্ঞ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ; পল্লীর সমস্ত দুঃখের মূলে যে প্রকৃত শিক্ষার অভাব ও সহযোগিতার *कोंब ठाश कवि भए* प्रt* अछूछद करब्रन । যাহাতে প্রকৃত শিক্ষা দ্বারা সত্যকার কৰ্ম্মী ও দেশসেবক স্বষ্টি হয়, এই আদর্শ মনে রাখিয়াই ১৯৪১ সনে কৰি শাস্তিনিকেতনে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন । শিক্ষার অভাব, প্রাণহীনতা ও ব্যর্থতা কfবর মনকে গভীরভাবে পীড়া দেয় । কবি অন্তরে অস্থভব করেন যে শুধু বাহিরের লেখাপড়াই আমাদের শিক্ষার পক্ষে যথেষ্ট নহে। যাহাতে মাসুবের প্রতি মামুষের সহজ সম্বন্ধ, প্রীতি, সেবা ও সম্মানবোধ জাগ্রত হয়, যাহাতে মানুষের দুঃখে-কষ্টে, অভাব-অভিযোগে, বিপদে-আপদে আমরা আত্মোৎসর্গ করিতে পারি, যাহাতে আমাদের অস্তরের কোমল হৃদয়-বৃত্তিগুলির পূর্ণ বিকাশপ্রাপ্তি হয় সেই শিক্ষাই আমাদের আসল শিক্ষা, সেই শিক্ষারই আমাদের আসল প্রয়োজন । ধাহাতে আমরা অন্তের মুখাপেক্ষী না হইয় আত্মনির্ভরশীল হইতে পারি, এই বাণীই কবির শিক্ষার মূলমন্ত্র। প্রকৃত শিক্ষার আদর্শ সম্বন্ধে কবি বলেন :– ছাত্রণের পরস্পরের প্রতি, গুরুজনের প্রতি ব্যবহারে নিয়ম রক্ষা ; যাহতে সামাজিকতা-বৃত্তির বিকাশ হয় সেইরূপ অমুষ্ঠানের প্ৰবৰ্ত্তন ; আপং কৰ্ম্মে অভিজ্ঞতা ও প্রতিবেশীর সব্বপ্রকার আম্ৰকুল্যে তৎপরতা ; স্বদেশের সকল বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান ও তৎপ্রতি কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে বোধের উদেক ; পরজাতির প্রতি প্রতিবৃত্তি ও তাহদের সম্বন্ধে চিস্তার, বাক্যে ও কৰ্ম্মে স্থায়পরতার বিকাশসাধন ; সভ্য সমাজে লোকহিতের জঙ্ক যে সকল অমুsান প্রচলিত আছে ও যে সকল নূতন প্রচেষ্টার প্রবর্তন ঘটিভেছে সে সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ ;–এইগুলি আমাদের শিক্ষার অঙ্গ। সংক্ষেপত:, মনে হৃদয়ে ও ব্যবহারে যাহতে ছাঞ্জেরা মমুখ্যত্বের সকল বিভাগেই সম্পূর্ণ সত্য হইতে পারে ইহাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নিজেদের প্রতিবেশকে সব্বতোভাবে সমর্থ ও আত্মশাসনক্ষম করিয়৷ তোলাই যে সমস্ত দেশের স্ব{াজের ভিত্তিস্থাপন, ছাত্রদিগকে হাতে-কলমে ठाशझे दूकाशे८ड श्ईcद । ('दिरउ१डी (नाकमरनम' ) • এই আদর্শকে পল্লীর প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে কুপ দিবার জগুই ১৯২২ সনে তিনি ইনিকেতনে পল্পী-সংগঠন বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেন। নিজৰ পল্লীর মধ্যে যাহাতে প্রাণের गकाव्र श्, याशरउ आश्वानिनव जाज्रमि७झनैण, गरध्डे ७