পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ای با این ১৩৪৪ শোষণ-নীতি অনুসরণ না করিয়া প্রজাবর্গের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধন করা দেশের জমিদারগণের একান্ত কৰ্ত্তব্য । এই প্রসঙ্গে কবি বলেন :– দেশের জমিদারদের প্রতি আমার নিবেদন এই ষে বাংলার পল্পীর মধ্যে প্রাণ সঞ্চারের জন্ত তাহার উদ্যোগী ন হইলে এ কাজ কখনই সুসম্পন্ন হইবে না । পল্পী সচেতন হইয়া নিজের শক্তি নিজে অমুভব করিতে থাকিলে জমিদারের কর্তৃত্ব ও স্বাৰ্থ খৰ্ব্ব হইবে বলিয়। আপাততঃ আশঙ্কা হইতে পারে—কিন্তু এক পক্ষকে দুৰ্ব্বল কমিয়া নিজের স্বেচ্ছাচারের শক্তিকে কেবলই বাধাহীন করিতে থাকা আর ডাইনামাইট বুকের পকেটে লইয়৷ বেড়ান একই কথা— একদিন প্রলয়ের অস্ত্র বিমুখ হইয় অস্ত্রীকেই বধ করে । ( পাবন। প্রাদেশিক সম্মিলনীর সভাপতির অভিভাষণ ) দেশে যখন সফলতার দিন দেখা দিয়াছে কবি তখন দেশবাসীকে আনন্দের সহিত প্রস্তুত হইবার জন্ত আহবান করিয়া বলিয়াছেন – মঙ্গলে পরিপূর্ণ সেই বিচিত্র সফলতার দিন বহুকাল প্রতীক্ষার পরে আজ ভারতবধে দেখা দিয়াছে, এই কথা নিশ্চয় জানিয়া আমরা ৰেল আনন্দ্বে প্রস্তুত হই । কিসের জঙ্ক । ঘর ছাড়িয়া মাঠের মধ্যে নামিবার জঙ্গ, মাটি চধিবার জগু, বীজ বুনিবার জঙ্ক তাহার পরে সোনার ফসলে যখন লক্ষ্মীর আবির্ভাব হইবে তখন সেই লক্ষ্মীকে ঘরে আনিয়া নিভ্যোংসবের প্রতিষ্ঠা করিবার জঙ্ক । ( রাজাপ্রজা—“সমস্তা” ) তোমরা যে পার এবং যেখানে পার এক একটি গ্রামের ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ কর । শিক্ষা দাও, কৃষিশিল্প ও গ্রামের ব্যবহার-সামগ্রী সম্বন্ধে নূতন চেষ্ট প্রবর্ধিত কর ; গ্রামবাসীদের বাসস্থান সাহাতে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও সুপার হয় তাহাদের মধ্যে সেই উৎসাহ সঞ্চার কয়, এবং যাহাতে তাহার নিজের সমবেত হইয় গ্রামের সমস্ত কৰ্ত্তব্য সম্পন্ন করে সেইরূপ বিধি উদ্ভাবিত কর । এ কৰ্ম্মে খ্যাতির আশা করিও না ; এমন কি, গ্রামবাসীদের নিকট হইতে কৃতজ্ঞতার

  • ब्रिवté लाषा ७ यदिवान , दौकाद्र कविtड श्हेcव । हेशtड cकाम छेरखछन! माझे, ८कांन वि८बां५ माझे, ८कांन ८घाद१॥ নাই, কেবল ধৈর্ধ্য এবং প্রেম এবং নিভৃতে তপস্ত-মনের মধ্যে কেবল এই একটিমাত্র পণ যে দেশের মধ্যে সকলের চেয়ে যাহারা দুঃখী তাহাদের দুঃখেৰ ভাগ লইয়। সেই দুঃখের মূলগত প্রতিকার সাধন করিতে সমস্ত জীবন সমর্পণ করিব। ( পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনীর সভাপতির অভিভাষণ )

দেশসেবার কার্ধ্যে আত্মনিয়োগ করিতে হইলে কৰ্ম্মীকে কত কঠোর তপস্যা ও ত্যাগম্বীকারের মধ্য দিয়া অগ্রসর হইতে হইবে তাহার আদর্শ সম্বন্ধে কবি বলেন – ক্ষুদ্রতারে দিয়া বলিদান ש বঞ্জিতে হইবে দূরে জীবনের সর্ব অসম্মান, সম্মুখে দাড়াতে হবে উন্নত মস্তক উচ্চে তুলি যে-মস্তকে ভয় লেখে নাই লেখা, দাসত্বের ধূলি অাকে নাই কলঙ্ক-তিলক । তাহারে অস্তরে রাখি জীবনকণ্টক পথে যেতে হবে নীরবে একাকী, সুখে দুঃখে ধৈর্য্য ধরি বিরলে মুছিয়া অশ্রু-আঁখি, প্রতি দিবসের কৰ্ম্মে প্রতিদিন নিরলস থাকি , সুখী করি সর্বজনে –( “এবার ফিরাও মোরে" ) ' পল্পী-সংগঠনের এই সব সমস্যা ও উদ্বেগু মনে রাখিয়াই কবি শ্রীনিকেতনে পল্পী-সংগঠন প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এই প্রকার সৰ্ব্বাদীন উন্নতিমূলক পল্পীসংগঠন প্রতিষ্ঠান ভারতবর্ষের মধ্যে ইহাই প্রথম । পল্লীসংগঠনের আজকাল নূতন যুগ উপস্থিত হইয়াছে ; দেশ যখন পল্পী-সংগঠনের কোন স্বসম্বদ্ধ কাৰ্য্যপ্রণালীই নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারে নাই, সেই সময় রবীন্দ্রনাথ তাহার জমিদারীতে পল্পী-সংগঠনমূলক কার্ষের স্বচনা করেন এবং তাহার পর হইতে কৰ্ম্মীদিগের সহযোগিতায় শ্রীনিকেতনে তাহার পল্লীসংগঠনের আদর্শকে রূপ দিবার প্রচেষ্টা করিয়া আসিতেছেন।